আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহীহ এবং সহজ পাঠ্য মুভি ডাউনলোডনামা.....!!!

বিষাদময় জীবন এগিয়ে যায় যুক্তিহীন মৃত্যুর দিকে !!! প্রিয় সহ-ব্লগারগণ, অনেক দিন পর লিখতে বসলাম। আশা করি সবাই ভাল আছেন। গেম নিয়ে রিভিউ দেয়াটা বেশ কঠিন কাজ, এছাড়া সময়েরও প্রয়োজন। তবে এখন থেকে আর সময়ের অভাব নাই, তাই খুব তাড়াতাড়ি আসব গেম রিভিউ নিয়ে। আজকের লেখার বিষয়টা আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন মনে করছি না।

এই পোষ্টটা সম্পূর্ণ নতুনদের জন্য যারা বুঝতে পারেন না কিভাবে ডাউনলোড করবেন বা কি ডাউনলোড করবেন। অভিজ্ঞদের অনেক কিছুই হয়ত জানা আছে, তারাও তাদের মতামত শেয়ার করতে পারেন। তাতে সবাই উপকৃত হবে। কি ডাউনলোড করবেন- প্রথম কথা কি ডাউনলোড করবেন??? অনেকে আছেন নতুন মুভি বের হলেই মাস্টারপ্রিন্ট ডাউনলোড করার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করে দেন। পেয়েও গেলেন ডাউনলোড লিঙ্ক।

কিন্তু ডাউনলোড করার পর যখন দেখলেন কি বস্তু ডাউনলোড করেছেন তখন আর কিছু করার থাকে না। আর যদি লিমিটেড ব্যান্ডউইথ হয় তাহলে তো কথাই নাই !!! এই ভোগান্তিতে যারা পড়েন তারা পরবর্তীতে সাবধান হয়ে যান। কিন্তু বুঝতে পারেন না কোনটা ভাল হবে কোনটা খারাপ। এটা বোঝার সহজ উপায় হল মুভির নামের পাশে লেখা কিছু হিজি-বিজি লেখা যেইটা দেখলেই বুঝবেন এইটা কি বস্তু। সেই হিজি-বিজি লেখা এবং হিজি-বিজি লেখাগুলোর ব্যাখ্যা মোটামুটি এরকম- CAM- এইটা হল একদম জেনুইন হলপ্রিন্ট, খুব তাড়াতাড়ি না থাকলে এগুলো ডাউনলোড না করাই ভাল।

সাইজ ৩০০ মেগা-১.৫ গিগা পর্যন্ত হতে পারে। সাউন্ড কোয়ালিটি জঘন্য। TS- এইটা আগেরটা থেকে কিছু ভাল কোয়ালিটি, অনেক ক্ষেত্রে বেশ ভাল। সাইজে আগের গুলোর মতই। সাউন্ড কোয়ালিটি চলার মত।

DVD-RIP- এইগুলো হল চলন সই কোয়ালিটি। তবে বড় ডিসপ্লে তে চালাতে গেলে ধরা খাইতে পারেন। বড় ডিসপ্লে বলতে ২০.৫” এর উপরের ডিসপ্লে বুঝানো হচ্ছে। এইটার সাইজও ৩০০মেগা-১.৫ গিগা। তবে বেশ আগে ৭০০ মেগার কিছু ডিভিডি রিপ পাওয়া যেত, কোয়ালিটির দিক দিয়ে বেশ ভাল।

সাউন্ড কোয়ালিটিও ভাল। এই সাইটে গেলে উপরে উল্লেখ্য সকল ফরম্যাট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন BLURAY-RIP/BR-RIP- এইগুলোকে বেস্ট-কোয়ালিটি বলা যায়। বড় ডিসপ্লেতে পারফরম্যান্স বেশ ভাল। সাইজ ১.৫ জিবি-১৫ জিবি। সাধারণত দুই ধরনের স্ক্রিন সাইজে সহজলভ্য- ৭২০পি এবং ১০৮০পি।

এর মধ্যে ১০৮০পি কে ফুল এইচ ডি বলা হয়। এগুলোর সাউন্ড কোয়ালিটি সবথেকে ভাল, বেশির ভাগ রিপ সাধারণত মাল্টি চ্যানেল অডিও এনাবলড থাকে। পিসির কনফিগারেশন পিসির কনফিগারেশন, যেটা অনেকেই খেয়াল করেন না। পরে মুভি নামিয়ে দেখেন মুভি চলছে স্লো-মোশনে। সাধারণত নরমাল কনফিগারেশনের থেকে কম কনফিগারেশনের পিসিতে মুভি চালাতে গেলে এইটা হতে পারে।

নরমাল কনফিগারেশন বলতে আমি বুঝিয়েছি ডুয়াল-কোর অথবা কোর-টু-ডুয়ো, ২জিবি র‌্যাম এবং বিল্ট-ইন গ্রাফিক্স কার্ড যুক্ত পিসি কে। সাধারণত এইসব পিসিতে ৭২০পি মুভি পর্যন্ত অনায়েসে চলে। তবে যদি এর থেকে কম কনফিগারেশন হয় এবং গ্রাফিক্স কার্ড না থাকে তাহলে ৩০০-৭০০ মেগা মুভিগুলোই আপনার শেষ ভরসা। সুতরাং আপনার পিসি বুঝে ডাউনলোড করলে আপনারই মঙ্গল। কোথা থেকে ডাউনলোড করবেন এবং কিভাবে করবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি ডাউনলোড করবেন??? এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোথা থেকে করবেন এবং কিভাবে করবেন।

প্রচলিত ধারার মধ্যে আপনি দুইভাবে ডাউনলোড করতে পারেন। প্রথমত, ডাইরেক্ট ডাউনলোড এবং দ্বিতীয়ত, টরেন্ট ডাউনলোড। ডাইরেক্ট ডাউনলোড ইদানিং খুব পরিচিত টার্ম। অনেক সাইট আছে যেখান থেকে আপনি মুভি ডাইরেক্ট ডাউনলোড করতে পারবেন। এই সাইট গুলোর অধিকাংশই আবার বিভিন্ন ধরনের ফাইল শেয়ারিং সাইটের লিঙ্ক দেয়া থাকে।

সুতরাং ডাইরেক্ট ডাউনলোড এখন কোন ব্যাপার ই না। বিশেষ করে যখন স্টেজভূ (উচ্চারণ নিয়ে আমি কনফিউজড) এর মত সাইট আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কিন্তু সমস্যা থেকে যায়। আমার জানামতে মিডিয়াফায়ার ছাড়া আর কোন ফাইল শেয়ারিং সাইট ফ্রিতে রিজিউমেবল এবং প্যারালাল ডাউনলোড এর সুবিধা দেয় না। আর যদি আপনি ব্লু-রে রিপ মুভি ডাউনলোড করতে চান, মিডিয়াফায়ারকে আপনার বিবেচনা থেকে এখনি বাদ দিয়ে দেন।

ফাইলসার্ভ, ফাইলসনিক, মেগাআপলোড সহ বেশকিছু সাইট আছে ব্লু-রে রিপ মুভি ডাউনলোড করার জন্য। কিন্তু ফ্রি ডাউনলোড রিজিউম না হওয়া, প্যারালাল ডাউনলোডের সুবিধা না থাকা এবং ফাইল সাইজ লিমিট থাকার সমস্যা থেকেই যায়। ফাইল শেয়ারিং সাইট গুলোর এই অসুবিধা দূর করার জন্য আছে বিভিন্ন লিচিং সাইট। আপনি যে ফাইল ডাউনলোড করতে চান তার লিঙ্ক টা শুধু লিচিং সাইটের নির্দিষ্ট যায়গাতে পেষ্ট করলেই হবে। লিচিং সাইট তাদের সার্ভারে ডাউনলোড শেষ করে আপনাকে একটা ডাউনলোড লিঙ্ক প্রোভাইড করবে।

ঐ লিঙ্ক থেকেই আপনার ডাউনলোডকার্য সমাধা করতে পারবেন, কোন ঝামেলা ছাড়াই। লিচিং এর জন্য আমি যে সাইট গুলি ব্যবহার করতাম সেই দুইটা সাইট বন্ধ থাকার কারনে লিন্ক দিতে পারলাম না। লিচিং সম্পর্কে জানার জন্য ব্লগার রাফি মাহমুদ এর এই পোস্ট টা পড়ে দেখতে পারেন। যাবতীয় নিয়ম কানুন অনেক সহজ ভাষায় সুন্দর করে বর্ণনা দেয়া আছে। ডাউনলোড কমপ্লিট করার পর দেখবেন অনেক গুলো অচেনা ফরম্যাটের ফাইল ডাউনলোড হয়েছে।

এক্সটেনশন এর জায়গাতে mkv.001 mkv.002 ইত্যাদি লেখা। চিন্তার কোন কারন নাই। HJSplit অথবা FFSJ দিয়ে আপনি সহজেই ফাইল জোড়া দিতে পারবেন। এইবার আসব টরেন্ট ডাউনলোড নিয়ে। আমার কাছে এইটাই সব থেকে বেশি সুবিধাজনক মনে হয়।

টরেন্ট নিয়ে অনেক ভাল কিছু পোস্ট আছে। এই পোষ্টগুলো পড়লে টরেন্ট সম্পর্কে আপনার আইডিয়া ক্লিয়ার হতে বাধ্য। টরেন্ট কি এবং কিভাবে টরেন্ট দিয়ে ডাউনলোড করা হয়-নাজিরুল হক টরেন্ট : কি এবং কেন (চর্বিত চর্বণ)- কোর আই সেভেন অনেকেই বলেন টরেন্ট এর স্পিড তাদের পছন্দ না। তারা ইচ্ছা করলে টরেন্টও লিচ করে ডাউনলোড করতে পারেন। লিচ করার ব্যাপারে জানতে হলে ব্লগার পুশকিন এর এই পোষ্ট টা পড়ে দেখতে পারেন।

টরিফিক ছাড়াও আরও সাইট আছে, তবে তাদের লিমিট বেশ কম, যেখানে টরিফিক এর লিমিট ১০ জিবি/২৪ ঘন্টা। টরিফিকে টরেন্ট লিচিং এর যে অসুবিধাটা আমার চোখে পড়েছে তা হল সম্প্রতি এখানে টরেন্ট লিমিট সেট করা হয়েছে যা সাধারণত ২-৪ গিগার মধ্যে উঠানামা করে। যদি আপনার টরেন্ট ফাইলটি ঐ লিমিট অতিক্রম করে তাহলে ঐটা লিচ করা সম্ভব হবে না। তবে মোট ডাউনলোড লিমিট একই আছে। যদি লিচ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে টরেন্ট সরাসরিই ডাউনলোড করা ছাড়া আর উপায় থাকে না।

তবে একটা কথা থেকেই যায়, তা হল আপলোড। টরেন্ট ডাউনলোড করতে গেলে একটা নির্দিষ্ট স্পিডে (সাধারণত ব্যান্ডউইথ এর হাফ স্পিড) আপলোড হয়। অনেকেরই এই ব্যাপারে আপত্তি, আমি কেন আপলোড করব??? প্রশ্ন হচ্ছে কেন করবেন না, আর কেউ আপলোড করছে বলেই আপনি ডাউনলোড করতে পারছেন। তাহলে আপনি কেন করবেন না ??? টরেন্টের পুরো ব্যাপারটাই শেয়ারিং, আপনি কেন শুধুই নিয়ে যাওয়ার মন মানসিকতা নিয়ে থাকবেন ??? লিমিটেড ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করলে আলাদা কথা, কিন্তু যারা আনলিমিটেড লাইন ব্যবহার করেন তারা তো পারেন। ফুল স্পিড না দেন, অন্তত ৫-১০ কেবি লিমিট সেট করে দেন।

চেষ্টা করেন যতটুকু নিলেন অন্তত ততটুকু দিতে। আর কিছুই লিখবো না। পোষ্ট শেষ !!! *** এই পোষ্টের ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। মূলত ২-৩ মাস আগে লিখেছিলাম, কিছু জায়গা পরিবর্তন করে প্রায় অবিকৃত রেখেই পোষ্ট করলাম। সবার কাজে লাগলে ২-৩ আগের শ্রম সার্থক বলে মনে করব !!! কষ্ট করে এই দীর্ঘ পোষ্ট পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।