আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরুষশাসিত সমাজ গড়নে নারীরাই অগ্রণী ভূমিকায়

######### পুরুষশাসিত সমাজ গড়নে নারীরাই অগ্রণী ভূমিকায় ***** কন্যাসন্তান কিম্বা পুত্রসন্তান হত্যার কালাচার নেই, উভয় প্রকারের মানবসন্তানে সুশোভিত এমন যেকোনো সভ্য সমাজে, সাধারণত, তুলনামূলকভাবে ছেলেরা মায়ের এবং মেয়েরা বাবার, প্রশ্রয়, বেশি পেয়ে থাকে এবং উপভোগ করে। মেয়েরা মায়েদের কাছ থেকেও প্রশ্রয় পেয়ে থাকে, তবে তা’ ছেলেদের প্রাপ্তির তুলনায় খুবই কম। কেন এমন প্রভেদ ঘটে, চলমান ঐ দৃশ্যটির কোনো নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কিম্বা ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ থাকলে থাকতেও পারে, বিষয়টির মনস্তাত্ত্বিক ব্যাকরণ নিয়ে ভাবনার ভার সম্মানিত পণ্ডিতবর্গের উপর ছেড়ে দিয়ে, আমরা কেবল সাধারণের চোখে যতটুকু দেখা যায়, সাধ্যমতো ততটুকুই সাধারণভাবে মেলে ধরতে পারি। যেমন আমরা দেখেছি, যেমন পুত্রসন্তান তেমনি কন্যাসন্তান, তাদের মননের অবকাঠামো গড়নের শুরুর দিকে বেশিরভাগ সময়ে তাদের পিতার চে’ মাতার সান্নিধ্যেই বেশি থাকে। বোধনের শুরুতেই যেখানে উভয় প্রজাতির মানবসন্তানের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়দাতা হিসেবে সাধারণত মায়েদেরকেই বেশি দেখা যায়, -- সেখানে শুধু কন্যা শিশুগুলোই নয়, পুত্র শিশুরাও মানুষরূপে গড়ে উঠতে পারে কেবল সচেতন মায়েদেরই দায়িত্বশীলতায়।

মানবসমাজকে ‘মানুষ’-শাসিত বা মানবতান্ত্রিক হতে না-দিয়ে, নারীশাসিত কিম্বা পুরুষতান্ত্রিক হওয়ালে, প্রমাণিত তার সবচে’ নোংরা পরিণতিতে, ‘মানুষ’-এর শ্রেষ্ঠত্বই যে কেবল অসম্মানিত এবং অস্বীকৃত হয়, তা’ নয়, --গোটা মানবসমাজটাই অত্যাচারীর অত্যাচারের শিকারে পরিণত হয়। কর্তৃত্বের কোন্দলে লিপ্তরা আচরণে ইতর জন্তুদের চে’ কোনো অংশেই কম নয়। কোনো মানবসন্তান যদি মানুষে পরিণত না-হয়, তার মানসিকতার উন্নতির সূচনাকালে, তথা অপরিণত বয়স্কালে ঐ পুত্র বা কন্যা শিশুটি যার নিয়ন্ত্রণাধীনে এবং যার সান্নিধ্যে বেশি ছিল, সে-ই যে দায়বদ্ধ, তা’ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারো কারো ধারণায়, পুরুষেরা হিংস্র হামলাকারী বিবেকহীন জন্তুর মতো কিম্বা নিরীহ অসহায় অবলা কোনো প্রাণী সমতুল্য, আর অমন ভাবনা, ভালো বা মন্দ, যেটাই হোক না কেন, ওতে কিছুই এসে যায় না। কেউ নারীকে পুরুষের প্রতিপক্ষ অথবা পুরুষকে নারীর শত্রু হিসেবে ভাবতেই পারে তার লাগামহীন ব্যক্তিক ভাবনার স্বাধীনতার জোরে, তবে পুরুষ যদি চায় তো পুরুষের বিপক্ষে যেতে পারে এবং নারী যদি চায় তো নারীর শত্রুরূপে দাঁড়াতে পারে বাস্তব জগতে।

অজ্ঞরা অজ্ঞতার সুযোগে স্বেচ্ছাচারী ভাবনায় যাচ্ছেতাই ভাবতেই পারি। তবে, জগতের অস্তিত্বের স্বার্থেই নারীরা কখনো পুরুষের কিম্বা পুরুষেরা কখনো নারীর শত্রু হওয়ার ক্ষমতা ধারণ করে না। কোনো সম্পূরক কখনোই প্রতিপক্ষ হতে পারে না। এ জগৎ সংসারে, কোনো সমাজকে পুরুষ-শাসিত রূপে দেখলেও, ঢালাওভাবে আমরা কখনোই সজ্ঞানে পুরুষদেরকে কোনোভাবেই দায়ী রূপে দেখিয়ে অভিযুক্ত করতে পারি না এজন্যেই যে, কিছু ব্যতিক্রমকে গণনায় না-নিলে, সাধারণত নারীদেরকেই মায়ের ভূমিকায় থাকতে দেখা যায় প্রকৃতির প্রাকৃতিক নিয়মে। করণিক : আখতার২৩৯ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।