আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েদের পোশাক নির্ধারণে ফেসবুকে কিছু সস্তা (কিন্তু জনপ্রিয়) পেজের এ্যডমিনগন ও তাদের শিক্ষা

আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল কোন মেয়ে জিন্সের পেন্ট পরেছে, টি-শার্ট পরেছে, ওড়না কিভাবে পরেছে তা নিয়ে গভীর ভাবে চিন্তিত ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা সস্তা বিনোদনের ফেসবুক (বাংলা) পেজ-গুলি! এদের এডমিনদের মন মানসিকতা একটা অশিক্ষিত রিকশাওয়ালার চেয়ে কোন অংশে উচ্চতর না। তাদের নারী সংক্রান্ত পোস্ট দেখলেই, বিশেষ করে তাদের নিজেদের ভাবধারা যে সমস্ত পোষ্টে স্পষ্ট হয়, বোঝা যায় পুরুষতান্ত্রিক অশিক্ষিত একটা সমাজের চোরচামুন্ডা, দুর্বৃত্ত, রেপিস্টরা মেয়েদের সম্পর্কে যে ধরণের ধারণা পোষণ করতে পারে বলে একজন নৈরাশ্যবাদি তার দুঃস্বপ্নে আশঙ্কা করে শিউড়ে উঠে, তারা ঠিক সেই ধারণা লালন করে; এবং প্রচার করে। এই ধারনায় নিঃসন্দেহে থাকে এক বিকৃত যৌন চেতনা যা তাদের কুৎসিত সমালোচনার পিঠে এক বিকারগ্রস্ত স্থূল পুলক দিয়ে থাকবে, নাইলে অপ্রাসঙ্গিক ছবি সহ তাদের অকথ্য গালিগালাজে ভরা পোস্টগুলা অবিরত দিতে আর কিই বা উৎসাহিত করতে পারে? অদ্ভুত এই পেজগুলি! যা যেখানে পায় তাই পোস্ট দিয়ে অনুসারী সদস্যদের মনোরঞ্জন করে বেড়ায়। এইসব পেজে হয়তো পাওয়া যাবে রাজনৈতিক সমালোচনা, নৈমিত্তিক খবর, দেশ বিদেশের সস্তা বিনোদন, খেলার আলোচনা, কিই না? এদের নির্দিষ্ট কোনও ধারা নেই, আদর্শ নেই! হয়তো এখন দিল অতি কুৎসিত, অশ্লীল এক কৌতুক, পরমুহুর্তেই ধর্মীয় কোন ছবি দিয়ে লেখবে বলেন আলহামদুলিল্লাহ্‌ ! কুপমুন্ডুকতার চর্চা ব্যতিরেকে এরা আর যা করে থাকে, তার বিবরণ মাত্র দিলাম: কুৎসিত সমালোচনায় পিঠে বিকারগ্রস্ত পুলক উপভোগ। যখন যেখানে যা পায় তাই পোস্ট দিয়ে, আর কমেন্ট/লাইক ভিক্ষা করে এরা বেঁচে থাকে।

এইসব পেজের সদস্যদের কমেন্ট দেখলে আশ্চর্যান্বিত হতে হয়! এদেরকেও আমরা শিক্ষিত বলি! আসলে শিক্ষিত কারা? বই পড়ে বাজারজাতকরণের বা পণ্য বিক্রয়ের সর্বোত্তম কৌশল যে আয়ত্ত করেছে? মানব দেহ সম্পর্কিত কারিগরি জ্ঞান যে আহরণ করে তা বিকল হলে বা ত্রুটি দেখা দিলে সারতে জেনেছে? আইন মুখস্থ করে অর্থের বিনিময়ে যে সুবিচার দেওয়ার ফন্দি শিখেছে? নাকি অতি সুকৌশলী মিস্ত্রি, যে পুস্তক চিবিয়ে আধুনিক ও নিরাপদ ইমারত নির্মাণের উপায় জানে? শিক্ষা যদি এই হয়, তবে আমাদের দেশে শিক্ষিতের হার দশমিকের পরের শতকরায় বা তারও কম। সুশিক্ষা বলে কিছু নাই! থাকা উচিৎ না। শিক্ষা মানেই সু। একে পুনরায় বিশেষায়িত করার প্রচেষ্টা এর ভিত দুর্বল করে। হয় শিক্ষিত, না হয় অশিক্ষিত।

এই নিয়ে মাঝামাঝি ঝুলাঝুলি কেন? প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট একজন মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। প্রাতিষ্ঠানিক বই উল্টে শেষ করে ফেললেই শিক্ষিত হওয়া যে যায় না, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের মন মানসিকতার স্তর তাই প্রমাণ করে। অশিক্ষিত কুলাঙ্গার শুকরের ছানারা কোন মেয়ে কি পোশাক পরবে, ওড়নার ব্যবহার কি হবে, তা নির্ধারণ করার ভার নিয়ে বসে আছে। অশিক্ষিত পুরুষ-প্রভুরা যেন তাদের চেয়ে নিম্নস্তরের প্রাণীদের শাসন করতে বসেছে; কুকুরের জাত! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।