আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থাইল্যান্ড ভ্রমন (পর্ব-১)



অনেকদিন ধরে থাইল্যান্ড যাওয়ার শখ ছিল। অবশেষে সেটা পূরণ হলো। আমি যে ফ্লাটে থাকি সেখানকার একজন ফ্রেন্ড এবং অন্য ফ্লাটের এক বড়ভাইসহ আমরা তিনজন ২৪ তারিখ শুক্রবার রাত ১১ টায় কেএল থেকে বাসে করে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। ১৭ সীটের বাসটি ছিল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং প্রত্যেক সীটের পিছনে টিভি ছিল। এর মধ্যে চাইনিজ, ইংলিশ, থাইল্যান্ডের অনেক মুভি এবং বিভিন্ন গান দেয়া ছিল।

যার যেটা খুশি দেখতে পারে। কেএল থেকে হারজাই পর্যন্ত ভাড়া ৫০ রিংগিত। তো আমরা শুয়ে শুয়ে গান শুনতে শুনতে যাচ্ছিলাম। ভালই লাগছিল। পথিমধ্যে একবার থেমে তাদের রেস্টুরেন্টে খাওয়া ছাড়া তেমন কিছুই ঘটে নি।

পরদিন সকাল ৬টায় আমরা মালয়েশিয়ার বর্ডারে পৌছায়। কাগজপত্র চেক করার পর আমাদের বাস আবার চলতে শুরু করে। ৭টার দিকে থাইল্যান্ড বর্ডারে পৌছায়। ইমিগ্রেশনে কাগজপত্র চেকিং এর জন্য আমরা একটি বুথের লাইনে দাড়ালাম। আধাঘন্টা পর যখন আমাদের পালা আসলো, তখন বাংলাদেশী বলে ইমিগ্রেশন অফিসারটি আমাদের পাসপোর্ট নিয়ে ভিতরের আফসারের সাথে কথা বলতে বললো।

আমরা তার কাছে গেলে পাসপোর্টগুলো দেখে পাশে রেখে দিল প্রায় ১৫ মিনিট। কোন অসুবিধা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলেও উত্তর দেয় না। মাঝখানে কয়েক থাইল্যান্ডি দালাল এসে বলে প্রতিজনে ৫০০ বাথ করে দিলে তারা সব ঠিক করে দিবে। আমরাও পণ করলাম ফিরে আসব কিন্তু ঘুষ দেবো না। এইভাবে প্রায় দু'ঘন্টা পর আমরা নিজেরাই পাসপোর্টগুলো নিয়ে অন্য বুথের লাইনে দাড়ালাম।

আগেই খেয়াল করেছিলাম যে, দালালরা এই বুথে আসে না। তো কিছুক্ষণ পর আমাদের পালা আসলে অফিসারটি আমাদের পাসপোর্টগুলো চেকিং করে সীল মেরে দিয়ে দিল। সেইসাথে আমরা বিরক্তিকর ঝামেলা থেকে রক্ষা পেলাম। শুধুমাত্র বাংলাদেশী বলেই আমাদের এমন ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল। এ ব্যাপারে থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাসের হস্তক্ষেপ কামনা করছি, যেন আর কোন বাংলাদেশীকে এরূপ বিড়ম্বনায় পড়তে না হয়।

যা হোক ইমিগ্রেশন থেকে বের হলেও যেতে পারছিলাম না, কারণ দেরী দেখে আমাদের রেখেই বাস চলে গিয়েছিল। একটু পর একই কোম্পানীর আরেকটি বাস আসলে তাতে সিট খালি থাকার ফলে আমরা সেই বাসে করে সকাল ৯টায় হারজাই এসে পৌছায়। ছবি: ১ম দুটো বাসের। ৩য় টা রেস্টুরেন্টের। পরেরগুলো হারজাই-এর।

(চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।