আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি আমি জানি, হয়তো আমার এই লেখার কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই বা হয়তো আছে। কিন্তু তারপরেও লিখছি।
আমি রাজনীতির কিছুই বুঝি না, তারপরেও রাজনীতি নিয়ে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ না করে পারলাম না বা বলতে পারেন প্রকাশ করতে বাধ্য হলাম।
আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতির অর্থ এখন আর “নীতির রাজা” নেই। নিজের জ্ঞাতিত্ত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা একের পর এক “রাজার নীতি” তৈরী করে যাচ্ছেন।
আমরা সাধারন জনগন শুধু মাত্র পেপার পত্রিকা বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেগুলো কে গুনে গুনে শতকিয়া শিখতেছি। আমাদের দেশের এই রাজনীতিবিদেরা যে “রাজার নীতি” সৃষ্টি করতেছেন সেগুলোকে সমর্থন দেবার মত উপ-রাজনীতিবিদেরও অভাব নেই। উপ-রাজনীতিবিদেরা অন্যের উপর ছড়ি ঘোরানোর সপ্ন পুরন করতে বা নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য দিনের পর দিন সাধারন মানুষদের উপর নির্যাতন করে যাচ্ছে। এসব উপ-রাজনীতিবিদেরা নিজেদের চ্যালা বা উপ-চ্যালাদের দিয়ে এসব কাজ করিয়ে থাকেন, কিন্তু নিজের দল বাচানোর জন্য এদেরকে বাচিয়ে নিয়ে আবার জনগনের সামনে তুলসী পাতা সাজার চেষ্টা করেন। কিন্তু জনগন যখন এই নাটক বুঝতে পেরে আইনের কাছে যায় তখন রাজনীতিবিদেরা নিজেদের জ্ঞাতিত্ত্ব ধারা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে জনগনের কাছ থেকে তাদের সরিয়ে রাখে।
কিন্তু গন্ডমুর্খরা এমন সব কচুর লতি মার্কা কৌশল অবলম্বন করে, যেগুলো সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারে। কিন্তু তাদের করার কিছুই থাকে না। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কার কাছে অভিযোগ করব? আমার অভিযোগ করার ক্ষমতা তো ঐ ইউনিয়ন পর্যন্তই। তাও যা একটু আন্দোলন বা প্রতিরোধ করা হয় সেটা পাচ-সাত দিন পরে শুকিয়ে শুটকি হয়ে যায়। ফলে ভোগটা এই সাধারন জনগনেরই ভুগতে হয়।
এই হল আমাদের দেশের রাজনীতি(!!!)। অশ্লীল।
এবার আসি সাধারন মানুষের কথায়। আমরা যারা সাধারন নিরপেক্ষ লোক আছি, যাদের কাছে ভোটের সময় রাজনীতিবিদেরা ভোট ভিক্ষা চাইতে আসেন তারা আসলে কোন পরিবর্তন চাই না।
আপনার কি স্মরনশক্তি এতই কম যে একটা দুর্নীতির কাহিনী প্রকাশ হবার ২ মাসের মধ্যে ভুলে যান? ২ মাস পরে আপনাকে জিজ্ঞেস করা হলে আপনি বলবেন এরকম ঘটনা কি বাংলাদেশে ঘটেছিল? আর যদিও বা মনে থাকে তাহলে বলবেন “ওরকম একটু হয়েই থাকে”।
আমরা কেন এভাবে ভুলে যাব?? যে লোকটা আমাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমাদের টাকা মেরে আমাদের উন্নয়নের নামে নিজের পকেট ভারী করতেছে তাকে কেন আপনি দ্বিতীয়বার ভোট দিবেন? কেন তাকে নতুন করে নিজের গলা কাটার সুযোগ করে দিচ্ছেন? হয়তো বলতে পারেন যে, মানুষ কে ভালো হবার সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু পাশাপাশি এই কথাটাও মনে রাখবেন, কুত্তার লেজ সোজা হয় না। আজ আপনি যাদের বিরুদ্ধে কম্পিউটারের সামনে লিখে লিখে কিবোর্ডের বোতাম গুলো নষ্ট করছেন, যাদের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিনিয়ত আন্দোলনে নামতে হচ্ছে, যাদের জন্য প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের কেন কিছুদিন পরেই ভোট দেবার জন্য সবার আগে লাইনে দাড়াবেন? নিজেই যদি খুন হতে চান তাহলে অন্যকে আসামি করে মামলা করা কতটা যুক্তিযুক্ত???
হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন, তাহলে সমধান কি? আমি সমাধান দিতে না পারলেও একটা পথ বলতে পারি। আপনার যেমন ভোট দেবার অধিকার আছে, তেমনি ভোট না দিয়ে ঘরে বসে থাকারও অধিকার আছে। আপনার কাছে যদি প্রার্থীকে অসৎ মনে হয় তাহলে ভোট দিবেন না।
আপনাকে তো কেউ ভোট দেবার জন্য বাসা থেকে তুলে নিয়ে যেতে পারবে না। আর দেশে নিরপেক্ষ লোক কি ৫০% ও হবে না? যদি এই ৫০% ভোট না দেই তাহলে নির্বাচন টিকবে কি করে? নিজের কেন নিজের সর্বনাশ ডেকে আনেন বারবার। পার্থী পছন্দ না হলে নির্বাচন বয়কট করুন। তা করবে কেন? সর্বনাশ করার জন্য সর্বনাশকারীকে ভোটও দিবেন, আবার সর্বনাশ করলে বিচার চাইবেন। এটা কোন ধরনের তালবাহানা???
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ নিজের বেডরুমেও কেউ সুরক্ষিত নয়, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ স্পেশিয়াল তালা লাগিয়ে ঘর থেকে বের হতে হয়, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ আমড়া কাঠের ঢেঁকিরা বড় বর পদে অধিষ্ঠিত, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ বাংলাদেশের মত একটা গরিব দেশে চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি কিছুই না, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ “দেশপ্রেমিক” এর সংজ্ঞা বদলে গেছে, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ আদার ব্যাপারী জাহাজের দায়িত্বে(পড়েচে আর্টসে বা লেখাপড়াই করে নি কিন্তু এখন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা), আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ পদ্মা সেতুর জায়গায় পদ্মা সাঁকো হওয়া প্রশ্নবিদ্ধ, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ অশিক্ষিতরা লেখাপড়া শেখাচ্ছে, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ রাজাকারেরা আপনার প্রিয় মাতৃভুমিকে গ্রাস করতে চাইছে, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ আপনার ধর্মকে পুজি করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করছে, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ সন্ত্রাস আপনাকে রাস্তাঘাটে মেরে ফেলছে, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ আপনি আজ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, আপনার এই তালবাহানার জন্য আজ নিজেই বগলদাবা হচ্ছেন।
কিন্তু আপনি কেন এগুলোর স্বীকার হবেন। আমি জানি হয়তো আমার বলায় কিছুই হবে না। তালগাছটা আপনারই থাকবে। আপনি ভুলোমনা লোক। দুদিন পরে দেবার জন্য কাঠফাটা রোদ্দুরে সেই হায়েনাগুলোকে ভোট দিয়ে দেশ ও দশের ক্ষতি করার জন্য লাইনে দাড়াবেন।
আর আমি সপ্নেই দেখে যাবো আমার দুর্নীতিমুক্ত বাংলা মা কে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।