... পল্টনে বইয়ের দোকানগুলো পুড়ে ছাই। কি গবেষণা গ্রন্থ, কি উপন্যাস, কি জার্নাল- সব হয়ে গেছে ছাইয়ের দলা। এমনকি কোরআন শরীফও পুড়েছে ধর্মাশ্রয়ী হেফাজতের আগ্রাসী আগুনে।
ধর্ম রক্ষার নামে চালানো স্মরণকালের ন্যক্কারজনক তাণ্ডবে বই পুড়ে ছাইয়ের স্তূপ হয়ে আছে রূপালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার নিচে। ইসলামী ব্যাংক পল্টন শাখার কাছে যাত্রী ছাউনির দোকানগুলোও যেন ছাইয়ের গাদায় পরিণত হয়েছে।
রোববার দুপুর থেকে শুরু করে সোমবার রাতভর পুড়েছে এসব দোকান। সোমবার সকালেও দেখা গেলো কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠছে ছাইয়ের গাদা থেকে।
এসব ছাইয়ের গাদা ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেলো। হেফাজতকে দুয়োধ্বনি দিচ্ছে সবাই। তারই মাঝে অক্ষত পুস্তক হাতড়াচ্ছেন সর্বস্ব খোয়ানো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
যাত্রী ছাউনির দোকানের মালিক আবুল খায়েরকে দেখা গেলো পুড়ে যাওয়া বইয়ের গাদা দু’হাতে এলোমেলো করে খুঁজছেন অক্ষত বই। মুখে তার বিলাপ ফুটছে অনবরত।
বাংলানিউজ প্রতিনিধিকে পেয়ে যেন অভিযোগের ঝাঁপি খুলে বসলেন হেফাজতের আগুনে সর্বস্ব খোয়ানো আবুল খায়ের।
হতাশা আর আক্ষেপের মিশেলে বললেন, “আমার দোকানে সবই ছিলো কোরআন শরীফ ও ধর্মীয় বই। হেফাজতের কর্মীরা যখন আগুন লাগাতে আসে, তাদের হাতে ধরে বলি-ভাই আমার দোকানে সব ইসলামী বই, কোরআন শরীফ।
ভাই, আমার দোকানে আগুন দেবেন না। ”
আবুল খায়ের বলেন, “আমার অনুরোধে মন গলেনি তাদের। দশ/বারোজন হেফাজত কর্মী আমাকে লাঞ্ছিত করেন, মারধর করে আমাকে দোকান থেকে সরিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ”
বারবার ভর করা বিলাপ সামলে তিনি বলেন, “ভাই, আমার আর কিছু নেই। ছয়লাখ টাকার বই ছিলো।
এখন আমি কি করব। একেবারে পথে বসে গেছি। ”
এরপরই মোক্ষম প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেন আবুল খায়ের। তিনি বলেন, “হেফাজতে ইসলাম আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে চায়, অথচ তারাই আল্লাহর কালাম পোড়ায়। তারা কিভাবে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করবে?
মুল ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।