“হেফাজতে ইসলাম” নাকি “হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম”
দেখুন প্রথমেই একটি বিষয় একটু বলা প্রয়োজন “প্রজন্ম চত্বর” এবং এর নানা কর্মকাণ্ড ও আতলামির সমালোচনা করেছি শক্ত ভাষায় এবং করেও যাচ্ছি। ব্যাক্তিগতভাবে আমি চিটাগাং সফরের কেন বের হলেন ইমরান গং সেটাই আমার কাছে পরিস্কার না। শুধু একটা জিনিস বুঝেছি কালো রাজনীতি চলছে স্বাধীনটা আর ধর্ম নিয়ে।
“প্রজন্ম চত্বর” এর রাজনইতিকরন আজকেই নতুন নয়। কিন্তু আলেম উলামাদের নিয়ে গড়ে তোলা “হেফাজতে ইসলাম” সেখানে কেন দলীয় প্রপাগান্ডা লালন করা হবে।
আপনাদের ভাষণ শুনেছি ,ভাল লেগেছে মুসলিম হিসেবে যে আমাদের ধর্মের জন্য এখনো নিবেদিত প্রান মুসল্লি আছে।
“হাজার ইমারান = এক জন কোরআনের আলেম” এবং তার জ্ঞ্যান। এরকমটা আমরা ভাবি,আমরা মানি। তাহলে কেন এই স্বার্থসিদ্ধির কালো থাবায় আক্রান্ত আমাদের আলেম সমাজ।
আজ ইসলাম এক সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে আমাদের এই সূফী ভুমিতে যা আগে কখনোই দেখা যায় নি।
তবে সেটার কারনকি আমার প্রানপ্রিয় “উম্মাতে রাসুলগণ” জানেন না,বুঝেন না নাকি তারাও জামাতি ষড়যন্ত্রের শিকার?
নাস্তিক এই ভুমিতে ছিল অতিতেও এখনো আছে ভবিতসতেও থাকবে যেমনটা পৃথিবীর সব স্থানেই আছে। তবে হ্যা বাংলাদেশের অনলাইন নাস্তিকরা আসলে কি চান এবং তাদের বিশ্বাস এর সম্পর্কেও প্রস্ন আছে আমার যে আসলে কি তারা নাস্তিক নাকি ইসলাম বিদ্বেষী? কারন অনেক নাস্তিকের সহ অবস্থান আছে আমার সাথে আমি লক্ষ্য করলাম যে গতকাল পোপ নির্বাচিত হলেন ভ্যাটিকান সিটির,তাদের কিন্তু ওই বিষয়ে কোন কটূক্তি নেই নেই কোন মাথাব্যাথাও। কিন্তু আমাদের একটি “কোরবানি ইদ” এইটার উপর যে কি পরিমান কটূক্তি করেছে তার হিশেব নেই। যাক এই এদের বিষয়ে আমি আলোচনা করতেই রাজি না কেননা যত করবো এদের প্রাধান্য তত বাড়বে।
যাক গতকাল “প্রজন্ম চত্বর” থেকে “হেফাজতে ইসলাম” আলোচনায় বসতে বলা হল কিন্তু তারা রাজি হলেন না।
এটি একপ্রকার বুদ্ধিহীন কাজ যা তারা করেছে একপ্রকার স্বার্থান্বেষী একটি মহলের কথায় এসে।
ওইখানে যে নাস্তিক নেই সেটি বলবো না তবে সংখ্যায় নঘন্ন কিন্তু ইমারান এইচ সরকার সহ বাকি ৯৮% ভাগ ব্লগারতো আস্তিক তাদেরকে কিসের ভিত্তিতে আপনি আটকিয়ে রাখলেন তাদের গন্তব্য থেকে।
দেখুন কানপরা শুনবেন না যদি এইরুপেই এগিয়ে যায় তাহলে আপনারা কিন্তু আপনাদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন না। কেননা আপনাদের সংগ্রাম হল ইসলামের শত্রুদের সাথে “প্রজন্ম চত্বরের” সাথে নয়। আর এই বিষয়টি আলচনার সাথে পরিস্কার হয়ে যেত কিন্তু ঐযে বললাম একটি মহল তারা চায় আগুন জলতে থাকুক ধর্মের নামে।
আমার সহ সকলের অনুরধ থাকবে আপনারা প্লিজ আলোচনা করুন এবং নিজদের মধ্যকার কিছু ভুল বঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে সেটি দূর করুন।
“প্রজন্ম চত্বর” যেভাবে আওয়ামিচত্তরে রূপান্তরিত হয়েছে তেমনি দেশের ইসলামের সম্মান রক্ষায় গড়ে উঠা “হেফাজতে ইসলাম” যাতে “হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম” হয়ে না উঠে।
নিজের সীমা বুঝুন তা নাহলে আস্তাকুরে নিক্ষেপ করতে দেরি হবে না। মানুষ এখন আর সহ্য করে না স্বাধীনটা আর ধর্মের নামে এই ব্যাবসা। মাফকরুন দয়া করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।