আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের যে অবস্থা তাতে হেফাজতে ইসলাম না , হেফাজতে বাংলাদেশ আন্দোলন দরকার ।

জীবন সুন্দর , আমরাই কঠিন বানাই । এমনি কঠিন যে পরে সমাধান না পেয়ে নির্জনে হাঁসফাঁস করি । তবু এই গোলক ধাঁধা ভাল লাগে । কি এক অমোঘ আকর্ষণে বেঁচে থাকা আজো অনুভব করতে চাই , এখন ইসলাম ধর্মের হেফাজত কারী মহান আল্লাহ তা'য়ালা নিজেই । এমন কোন পরিস্থিতির যদি সৃষ্টি হয় যে ইসলাম ধর্ম সঙ্কটের মুখে , তা উদ্ধারে আল্লাহ নিজেই যা করার দরকার , যা নজির দেখানোর দরকার তা করবেন ।

এটাও ঠিক যে বান্দাদের ও এগিয়ে আসতে হবে । কিন্তু দেশে ইসলাম এমন কোন অস্তিত্তের সঙ্কটে পড়েনি যে দেশে এখন কেবল এই বিষয় নিয়েই আন্দোলন সংগ্রাম হবে । আপাতত দেশের যে অবস্থা তাতে হেফাজতে ইসলাম না , হেফাজতে বাংলাদেশ আন্দোলন দরকার । কয়েকজন নাস্তিক, বিকৃত মস্তিস্কের লোকের ব্লগ এর বিরুদ্ধে ইসলাম রক্ষার আন্দোলনের নামে "হেফাজত ইসলাম" নামের সংগঠন যা শুরু করেছে আর যেসব দাবি তুলেছে তা মানতে গেলে দেশ টা আফগানিস্তান - পাকিস্তানে পরিনত হবে , এটা নিশ্চিত । যেমন ঃ হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা অধ্যয়ন করছিলাম মনোযোগ দিয়ে।

তাদের দাবি-দাওয়াগুলো কতটা যৌক্তিক আর কতটা অযৌক্তিক, সেটা নিয়ে আমার নিজস্ব কোনো মতামত এখানে প্রকাশ করব না। তবে দুটি দফার কিছু অংশের কথা উল্লেখ করতে চাই। ৪ নং দফার একাংশ : প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে হবে। ৭ নং দফার দ্বিতীয় অংশ : দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে । তবে , কিছু দাবি যৌক্তিক , যা আমাদের আইনের মাধ্যমেই ওই সব কতিপয় ব্লগার যারা ধর্মের নামে বাজে কথা বলেছেন , তাদের শাস্তি দেয়া যায় ।

সরকার আন্তরিক হয়ে বিচার করলে অচিরেই অভিযুক্ত যারা দোষী তাদের শাস্তি দিয়ে এই ইস্যু শেষ করা যায় । তার মানে এই নয় যে এই নাস্তিক ইস্যু কেন্দ্র করে দেশে ব্লাসফেমি আইন চালু করে একটা উগ্র পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে । কারণ মানুষের জন্য ই ধর্ম । ধর্মের জন্য মানুষ না । আর কিছু বিকৃত মস্তিস্কের ব্লগার আছেন , যারা নিজেদের শিক্ষিত বলে দাবি করে , কিন্তু মুখের ভাষা এত খারাপ যা বলার না ।

নাস্তিকতা কোন অপরাধ না , কিন্তু সমাজে এইভাবে বাজে কথা বলে , অপরের ধর্ম নিয়ে অনুভুতিতে আঘাত করা অপরাধ । আর আপনাদের ও একটু এদেশের ইতিহাস , ধর্ম , সামাজিক অবস্থা সব কিছু মাথায় নেয়া দরকার । আপনারা তো এমন না যে ইউরোপের কোন দেশে আছেন যেখানে সংখ্যা গরিষ্ঠ লোক নাস্তিক , তাই যা খুশি তাই বলবেন । এদেশের মানুষের কথা , তাদের অনুভুতির কথা ও তো মনে রাখা দরকার । তবে ধর্ম নিয়ে এই রকম কোন সমস্যার সময় দেখা যায় কোন কোন বুদ্ধিজীবী যারা মুক্তচিন্তার নামে ধর্ম নিরপেক্ষতা নামের একটা ধুঁয়া তুলে ধর্ম প্রাণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি এবং বিভেদের সৃষ্টি করেন ।

অনেক আগে থেকেই এদেশের মানুষ ধর্ম কর্ম করে , কিন্তু এখনকার মত উগ্রতা প্রকাশ করেনি । কিন্ত তার পরেও কোন কোন বুদ্ধিজীবী ধর্ম নিরপেক্ষতা শব্দটা ব্যাবহার করে নিজেরাই ভেজালের সূচনা করে ধর্মপ্রাণ লোকের মাঝে বিভেদ তৈরি করে যাতে পরে হুজুর রা তাল দিয়ে উগ্রভাবে অনেক সময় মাঠে নামে । ধর্ম নিয়ে সাধারন মানুষ নিরপেক্ষ , আর উসকে দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করে , সংঘাত করে সেই সব বুদ্ধিজীবী আর কিছু হুজুর রা । এমন অবস্থায় সরকার যদি নিজেরা সবাই কে নিয়ে আলোচনায় না বসে , কিছু হইনি এমন ভাব করে থাকে , আর বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবি মেনে না নিয়ে কেবল দমন নীতি নিয়েই বসে থাকে , তাহলে সরকারই দেশ কে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত করার জন্য দায়ী থাকবে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.