আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
ভিয়েনা আলোচনায় তুংঙ্গে খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো। কোকোর মানি লন্ডারিং এর খবর ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কনফারেন্সে ব্যাপকভাবে আবারো আলোচিত হয়েছে।
আপনাদের মনে আছে "কোকোর দুর্নীতি জাতীয় সম্পদ চুরির একটা দৃষ্টান্ত" বালে বিশ্ব ব্যাংক মন্তব্য করে ছিল।
সেসময় বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কয়েক মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগকে জাতীয় সম্পদ চুরির একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মাদক ওঅপরাধ বিষয়ক দপ্তরের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের চোরাই সম্পদ উদ্ধার (স্টার)পদক্ষেপের অধীনে ‘অ্যাসেট রিকভারি হ্যান্ডবুক’ শীর্ষক পুস্তিকায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চোরাই অর্থ উদ্ধারে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নির্দেশনামূলক এই হ্যান্ডবুক কয়েক দিন আগে ভিয়েনায় প্রকাশ করা হয়েছে। ঐ হ্যান্ডবুকের উদ্ধৃতি দিয়ে বাসস এই তথ্যপ্রকাশ করেছে। বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে : ‘২শ সত্তর পৃষ্ঠার এই হ্যান্ডবুকের ৫৩ ও ১শ ৯৬ পৃষ্ঠায় আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির বিষয় উল্লেখ রয়েছে এবং অভিযোগ সম্পর্কিত বিষয়াদি পর্যালোচনা করা হয়েছে। উভয় পৃষ্ঠায় সিমেন্স কোম্পানির কাছ থেকে কোকোর অবৈধ ভাবে কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ গ্রহণের বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়েছে।
হ্যান্ড বুকের ৫৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে,আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ ও ভেনিজুয়েলায় সিমেন্স ও এর শাখা কোম্পানি সরকারি কন্ট্রাক্ট পেতে জনপ্রশাসন কর্মকর্তাদের ঘুষপ্রদান করে। এতে বলা হয়, বিভিন্ন সময়ে কনসালটেন্টদের অর্থ প্রদানের কথা বলে ঘুষ চাওয়া হয়। এসব কনসালটেন্ট কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে চ্যানেল হিসেবে কাজ করতো কোকো। ’ হ্যান্ডবুকে আরো বলা হয়েছে, সিমেন্স এ অনিয়মের ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছে এবং ইতিমধ্যে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিয়েছে। বইয়ের ১৯৬ পৃষ্ঠায় মার্কিন বিচার বিভাগের পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘২০০৯ সালে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে একটি বিদেশি কোম্পানি কর্তৃক ঘুষ প্রদানের (সিঙ্গাপুরে মার্কিন মুদ্রায়)বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগ বাজেয়াপ্তকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে।
এর আগে গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি মার্কিন কর্তৃপক্ষ ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের অর্থ পুনরুদ্ধারে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার একটি আদালতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্যোগী হয়। কোকো এই অর্থ সিমেন্স থেকে গ্রহণ করে এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি ব্যাংকে জমা রাখে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকার একটি বিশেষ জজ কোর্টে ৩০ নভেম্বর কোকো ও সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সাইমনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জ গঠন করার দুই সপ্তাহ পর বিশ্বব্যাংকের এই পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) গত বছরের ১৭ মার্চ ঢাকার কাফরুল থানায় যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ মার্কিন ডলার ও সিঙ্গাপুরে ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬০৪ ডলার পাচারের অভিযোগ এনে কোকো ও সাইমনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। ২০০৭-২০০৮ সালের সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বাংলাদেশ থেকে অর্থ সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি ফাঁস হয়।
ওই সময় কর্মকর্তারা জানান, তাদের অনুমান প্রভাবশালী কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা বিদেশে কোটি কোটি ডলার পাচার করেছে। ওই সময় দুর্নীতি গ্রস্তরা ১২ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়। একই সময় বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল সি. প্যাটেল বলেছিলেন বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ দেশের বাইরে পাচার হয়েছে।
একই ভাবে কোকোর 'ঘুষ' নেওয়া ১০ মিলিয়ন ডলার জব্দ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা FBI।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হংকং শাখা থেকে শুক্রবার এ অর্থ জব্দ করা হয়।
অ্যাকাউন্ট হোল্ডার (হিসাব গ্রহণকারী) মিজানুর রহমান এ অর্থ সিমেন্সকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কোকোকে দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ই-মেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে এফবিআই। আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে জব্দকৃত অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ড। প্রাথমিক যোগাযোগ হিসেবে বাংলাদেশের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধানকে সহায়তার জন্য বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইতালির তদন্ত এবং সিমেন্স এজির নিজস্ব তদন্তে ঘুষের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। সিমেন্স জার্মান প্রতিষ্ঠান হলেও তা নিউইয়র্কে স্টক এঙ্চেঞ্জে নিবন্ধিত। মার্কিন আদালতে ঘুষ দেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিমেন্স বাংলাদেশও। শাস্তিস্বরূপ তাদের পাঁচ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মার্কিন আদালত এ রায় দেন।
'দ্য ফরেন করাপ্ট প্র্যাকটিসেস অ্যাক্ট-১৯৭৭' আইনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ মামলাটি করে। যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে সিমেন্স এজির বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে সিমেন্স বাংলাদেশও রয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট জজ রিচার্ড জে লিওনের আদালতে সিমেন্স এজি তাদের দোষ স্বীকার করে। সিমেন্স বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ মামলার বিবরণে টেলিটকের কাজ পেতে কোম্পানিটি কী ধরনের অসাধু পন্থা অবলম্বন করেছিল, তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, কোকোকে ঘুষ হিসেবে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুত টাকা দেওয়া হয়নি বলে কোকো অভিযোগ করলে তাকে আবারও অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হয়। সে হিসেবে ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে তার সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ জমা পড়ে। আর এ জন্য ব্যবহার করা হয় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অপর একটি অ্যাকাউন্ট। এ অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা দেন সিমেন্স বাংলাদেশের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান।
সে টাকাই জব্দ করা হয়।
যেভাবে ঘুষ লেনদেন :
যুক্তরাষ্ট্রে মামলার নথিতে উলি্লখিত তথ্য থেকে জানা যায়, সিমেন্স ২০০০ সালে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই টেলিটক মোবাইল ফোন প্রকল্পের কাজ পেতে চেষ্টা চালায়। এ জন্য ফজলে সেলিম ও জুলফিকার আলী নামের দুজনকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় সিমেন্স বাংলাদেশ। ২০০১ সালের ২৭ মার্চ সিমেন্স ইতালির বাণিজ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা ওই দুই পরামর্শকের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেন। এতে বলা হয়, ফজলে সেলিম ও জুলফিকার আলীর বিভিন্ন প্রকল্পে ১৫ বছরের সফলতার ইতিহাস আছে।
সার্বিকভাবে জটিল এ কাজে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই রাজনৈতিক দল এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে বিটিটিবির শীর্ষ থেকে নিম্নপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। এ কারণে তারা পরামর্শক ফি সাধারণ কমিশনের তুলনায় বেশি চেয়েছেন।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল সিমেন্স বাংলাদেশ ও সিমেন্স ইতালি ওই দুই পরামর্শকের সঙ্গে ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজের ব্যাপারে তাদের কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানায়। সে সময় তাদের সঙ্গে মৌখিকভাবে চুক্তি হয় যে প্রকল্পের অর্থের মধ্যে ১০ শতাংশ তাদের দেওয়া হবে। বিটিটিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে টেলিটক প্রকল্পের জন্য তিনবার খোলা দরপত্র আহ্বান করা হয়।
তিনবারই অংশ নেয় সিমেন্স বাংলাদেশ। প্রথমবার কারিগরি অযোগ্যতার কারণে বাদ পড়ে কোম্পানিটি। দ্বিতীয়বার ২০০১ সালে দরপত্র আহ্বান করা হলে তালিকায় নাম ওঠে সিমেন্সের।
কিন্তু তখন সদ্য ক্ষমতায় বসা চারদলীয় জোট সরকার তা বাতিল করে দেয়। অর্থের পরিমাণ পরিবর্তন ও সরবরাহকারীর সংখ্যা কমিয়ে দিয়ে তৃতীয় দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০০২ সালে।
কিন্তু ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিমেন্স ওই দরপত্রে যথাযথভাবে সনদ দেখাতে না পারায় অকৃতকার্য হয়। পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সিমেন্স বাংলাদেশের তৎকালীন বাণিজ্য বিভাগের প্রধান খালেদ শামস সিমেন্স ইতালির একজন কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলে জানান, ওই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ফজলে সেলিম ও জুলফিকারের কোনো ক্ষমতা নেই। এ ধরনের প্রকল্পের জন্য অবশ্যই শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রণালয় এবং বিটিটিবির শীর্ষ ও কারিগরি ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে হবে। ওই দুই পরামর্শকের সঙ্গে টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ভালো যোগাযোগ নেই।
এ সময় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে তৃতীয় পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয় সিমেন্স বাংলাদেশ।
তিনি তৎকালীন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বেয়াই। মার্কিন তদন্তে জানা যায়, মিজানুর রহমানের মাধ্যমেই ওই সময় আরাফাত রহমান কোকো নির্দিষ্ট কমিশনের (পারসেন্টেজ) বিপরীতে সিমেন্সকে ওই অবস্থা থেকে উদ্ধার করার জন্য খালেদ শামসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর আর্থিক বিষয়টি সুরাহার জন্য তারা যোগাযোগ করেন কোকোর প্রতিনিধি সাজিদ করিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে। সাজিদ করিম দরপত্রে অংশ নেওয়া চীনা কোম্পানি হুয়াইয়ের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করতেন। সিমেন্সের সঙ্গে হুয়াই টেলিটক প্রকল্পের আংশিক কাজ পায়।
মার্কিন আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, সব ধরনের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সিমেন্সের দরপত্র পাস হয় এবং দরপত্র পাস হওয়ার খবরটি কোকোই প্রথম জানান খালেদ শামসকে। ২০০৪ সালের ১৪ জুন বিটিটিবির সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়।
২০০৫ সালের মাঝামাঝি কোকো ও খালেদ শামসের মধ্যে কথা হয়। এ সময় কোকো তাকে প্রতিশ্রুত টাকা দেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোকোর সঙ্গে দেখা করে খালেদ ও সিমেন্সের নতুন প্রধান নির্বাহী রুডল্ফ ক্লিঙ্ক আশ্বস্ত করেন যে তারা প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক।
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে পরামর্শক জুলফিকার আলী সিঙ্গাপুরে ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে (ইউওবি) কোকোর ব্যাংক হিসাবে এক লাখ ৮০ হাজার ডলার পাঠিয়ে দেন। ২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের এক নাগরিকের সহযোগিতায় কোকো ওই দেশে জেডএএসজেড ট্রেডিং অ্যান্ড কনসালটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি নিবন্ধন করেছিলেন এবং ইউওবি ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট হিসাবটি খুলেছিলেন।
ব্যাংক হিসাবটি যৌথ হলেও তা থেকে অর্থ তোলার ক্ষমতা ছিল একমাত্র কোকোর। সিঙ্গাপুরের ওই ব্যাংকে কোনো বিদেশি নাগরিকের হিসাব খোলার নিয়ম নেই। সে কারণেই ওই নাগরিকের সহযোগিতা নেন কোকো।
পরে মিজানুর রহমান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের হংকং শাখায় বর্তমান জব্দকৃত টাকা জমা করে উত্তোলনের ক্ষমতা দেন কোকোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ শুরু : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার এফবিআইর অর্থ জব্দের বিষয়টি এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের মাধ্যমে ই-মেইলে জানানো হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেরা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা ইউনিট সেলকে (সিআইসি)। তারা কাজও শুরু করেছে।
ব্যাংকের অপর একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায় থেকে ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের স্থানীয় প্রতিনিধিকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সব ধরনের সহায়তা আশ্বাসও দিয়েছে।
কিন্তু কালীমা কাটবে কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।