~ হয় জয়-নাহয় মৃত্যু ~
ঢাকা শহরে গ্যাস সংকট বেড়েই চলেছে। গত বছর থেকে এবছর সংকট আরো বেড়েছে। আগামী বছর সংকট কমবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আবাসিক, শিল্প, বিদ্যুৎ সব শ্রেণীর গ্রাহক গ্যাস সমস্যায় ভুগছেন। পাইপে যে গ্যাস আসছে তা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ মিটছে না।
দিনে গ্যাসের চাপ কম রাতেও টিমটিম করে জ্বলে। শিল্পের চাকা যেমন ঠিকমতো ঘুরছে না তেমনই জ্বলছে না বাসাবাড়ির রান্নার চুলা। কর্তিপক্ষ বলছে, পাইপ লাইনের সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। গ্রাহক বেড়েছে কয়েকগুণ কিন্তু পাইপ লাইন বাড়েনি । ফলে যখন সবাই একসঙ্গে গ্যাস ব্যবহার করছে তখন চাপ কমে যাচ্ছে।
যেখানে আছে এক ইঞ্চি পাইপ সেখানে প্রয়োজন ৫ ইঞ্চি পাইপ। উৎপাদনের তুলনায় চাহিদাও বেড়েছে। প্রয়োজনে আবাসিক গ্রাহকদের সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারের অনুরোধ করেছে কর্তিপক্ষ।
পাইপ লাইনের গ্যাস গ্রাহকদের পাশাপাশি যারা সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারের নির্দিষ্ট করা দামে কোন স্থান থেকেই সিলিন্ডার গ্যাস বা এলপি গ্যাস কেনা যাচ্ছে না।
দ্বিগুণেরও বেশী দামে কিনতে হচ্ছে এলপি গ্যাস। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। নেই কোন তদারকি। ব্যবসায়ীরা যেখানে যেমন ইচ্ছে দাম নিচ্ছেন। যখন তখন দাম বাড়াচ্ছেন।
গ্যাসের নতুন সংযোগ না দিলেও বর্তমান গ্রাহকদেরই চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া অবৈধ সংযোগের সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু একইভাবে উৎপাদন বাড়েনি। ফলে সংকট আগের বছর থেকে এবছর বেশি।
নতুন সংযোগ দিলে চাহিদা আরো বাড়বে। গ্যাসভিত্তিক বিদু্যৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসলে এই সংকট আরো বাড়বে। হয়ত এক সময় আমারে গ্যাসে রান্না করার কথা ভুলেই যাব!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।