লেখার চেয়ে পড়ায় আগ্রহী। ধার্মিক, পরমতসহিষ্ণু। একে একে নানা অর্থ-কেলেংকারির ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সেই শেয়ার বাজার থেকে এর শুরু। এর শেষ কোথায় এবং কবে নাগাদ তা হতে পারে, এর কোনো হদিস আপাতত নেই।
বা আসলেই কোনো শেষ আছে কিনা, সন্দেহ হয়।
শেয়ার বাজারের কেলেংকারির কোনো পরিণতি তো এখনো চোখে পড়ে নি। পড়বেও না। কারণ, এতে সবারই থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে। অবশ্য ইতিমধ্যে তো কালো বিড়াল আড়াল ভেঙ্গে মানুষের চোখের সামনেই ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে।
যদিও যাদের দেখার কথা, তারা দেখতে পায় না বা দেখতে চায় না। এরা এক প্রকারের বর্ণান্ধ। তবে শুধু নিজেদের দোষের বেলায়।
এরপর আউটসোর্সিং বিষয়ে নানা সংবাদ বের হল। ব্যাঙ-এর ছাতার মতো গজিয়ে উঠা আউটসোর্সিং-এর মনোহারী কোম্পানিগুলো কী চমৎকারভাবে তরুণদের ফতুর করে দিয়ে হাওয়ার সঙ্গে মিশে গেলো! মনে হয় তারা অসাধারণ যাদুকর! যাদুর আড়ালে তারা আমাদের ধুরুন্ধর কর্তৃপক্ষকে পর্যন্ত নাকানি-চুবানি খাইয়ে ছাড়লো।
তাই আউটসোর্সিং-এর পেছনে ছুটার কাজে তারা ক্ষান্তি দিলো।
এরপর এমএলএম কোম্পানিগুলোর আর্থিক লুটপাটের সংবাদ আসতে থাকে। এনিয়ে আমরা যারা গ্রাহক, তাদের আগ্রহ-কৌতূহল থাকলেও কর্তৃপক্ষের বোধহয় কোনো আকর্ষণ কাজ করে নি। তাই এ নিয়ে গুটিকয়দিন টানাটনির পর কেমন যেন ঝিম মেরে গেল তারা। হতে পারে কর্তৃপক্ষ এখানেও নাকানি-চুবানির শিকার।
তবে কর্তৃপক্ষের সাহস ও কেরদানি প্রকাশ পাচ্ছে একমাত্র গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে। সেখানে বোধকরি তারা এখনো সাহস ও শক্তি ঠিক রাখতে পেরেছেন। তাই দাতাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও গ্রামীণ ব্যাংকের লেজ নিয়ে টানাটানিতে তাদের কোনো ক্লান্তি বা ক্ষান্তি নেই। বরং 'একবার না পারিলে দেখ শতবার'- এখানে অবিরাম মকশো করে যাচ্ছেন!
হলমার্ক কেলেংকারির সময়ে অর্থমন্ত্রীর তৎপরতা ও অতিকথনে মনে নানা রকমের প্রশ্ন জাগতে ছিল। সেগুলো এখনো বিরাজমান।
আর তা হল, তিনি এব্যাপারে এতো কথা বলছেন কেন? অন্যসব কেলেংকারির দায়ভার কি তার নেই? এমন কি শেয়ার-কেলেংকারির মূল তদন্ত-রিপোর্টটা কার কাছে এখনো জমা, জনগণ জানতে চাইলে কী করার আছে?আমরা অবশ্য 'ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না; মনে করতে চাই না। কারণ, সেটা কেমন যেন বে-মানান এবং লজ্জাজনক।
তবে অতিকথনের পর সংসদ-সদস্যদের ঠেলায় তিনি যে একটি বাণী প্রত্যাহার করার সাহস ও সততা দেখিয়েছেন, তা অসাধারণ। এ জন্য তিনি ধন্যবাদার্হ। আমরা আশা করব, তার এ সততা ও সাহসিকতায় উৎসাহী হয়ে অন্যরাও নিজেদের শুধরে নেবেন।
অন্যসব বিষয়েও তিনিসহ সবাই সততার-সাহসিকতার পরিচয় দেবেন। পার্টি নয়, ব্যক্তি নয়; দেশ ও জনতার স্বার্থে সত্য অনুধাবনে ও কথনে সর্বদা সচেষ্ট হবেন। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমিন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।