আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন। নামে আবুল হলেও বাস্তবে কিন্তু আবুল না। প্রমাণ---

গেল ঈদের সময় মাঠ গরম ছিল যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন কে নিয়ে। পত্রিকা, ব্লগ, ফেসবুক ইত্যাদি যত মাধ্যম আছে সবখানে তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ কম হয়নি। রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে তার প্রতি এই সমালোচনা করা হলেও মূলত সমালোচনার কথা জোরালোভাবে শুরু হয় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজ এর প্রধান মিশুক মুনীরের মৃত্যুর কারণে। তারা দুজন বেচে থাকলে হয়ত এত কথা হত না। রাস্তার অবস্থা খারাপ ছিল, আরো খারাপ হত।

মানুষ মুখ বুজে সব সহ্য করত। কিন্তু ঐ দুর্ঘটনার পর দেশে তার বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদের স্বর শোনা যায় যে মনে হচ্ছিল আবুল হোসেনের পদত্যাগ করাটা খালি সময়ের দাবি। যেকোনো সময় তার পদত্যাগের খবর শোনা যাবে। নেতারা টিভিতে আসতে ভালবাসেন। তিনিও ব্যতিক্রম নন।

টিভিতে দেখানো হতে লাগল দেশের রাস্তাঘাট ঠিক করতে ব্যস্ত। ওদিকে পদত্যাগের দাবিও কমছে না। কিন্তু তিনি অনড়। পদ আকড়ে থাকতে মানুষ এক পায়ে খাড়া থাকে, তিনি দুই পায়ে খাড়া ছিলেন। সেই বিখ্যাত হাসি দিয়ে সবাইকে বোঝাতেন যে তিনি কাজ করছেন।

সময় কাটতে থাকল। একসময় সব ধামাচাপা পড়ে গেল। এই দেশে এটাই নিয়ম। কিছুদিন উচ্চবাচ্য তারপর চুপ। এই নিশ্চুপতা দেখে জন্ম থেকে মুক ব্যক্তিও অবাক হবে।

তাই বলছি তিনি নামে আবুল হলেও কাজে নন। কারণ তিনি ভাল করেই জানতেন এই দেশে বেশীদিন কোনো একটা বিষয় নিয়ে কথা হয় না। তাই উনি তখন নিশ্চুপ ছিলেন। এখন আমরা নিশ্চুপ আছি। শেষ ফলাফল হল এই যে, তাকে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হল না।

এই কারণেই তিনি আবুল না। কথাটা ঠিক কিনা? কেউ কি বলবেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।