সভ্যচাষী পদ মর্যাদার জন্যে একজন শিক্ষক আপন মনের মাধুরী দিয়ে বর্ণে বর্ণে শিশুদের জীবন রাঙায় না! তবে কেন ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করে শিশু মনোবিজ্ঞানের আলোকে বিষয় ভিত্তিক যোগ্যতা অর্জন করানোর জন্যে শিশুর জন্ম ক্ষণ থেকে শুরু করে ছয় বছর পর্যন্ত স্ট্যাডি করে শিখন ঘাটতি পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ সময় একটি শিশু জন্ম গ্রহণের পর থেকে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত সময় কাল যখন একজন শিক্ষক আসলে কি একজন শিক্ষক সে যে বৈজ্ঞানিক উপায়ে হাসি আনন্দের মাধ্যমে শিশুর হৃদয়ে ঘুমন্ত সত্যিকারের মানুষটিকে জাগিয়ে তোলার কাজটি করে থাকেন তাকে কি প্রফেসর বলাচলে? না শিক্ষক? কোন পদমর্যাদায় তাকে অধিষ্ঠ করব তাকে?
এবার দেখুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিখন শেখানো কার্যাবলি পরিচালনার কর্মী নিয়োগ, তাদের কার্যসম্পাদন পদ্ধতি, জীবনাচরণ, দিন মজুরী, টিফিন ভাতা এবং সামাজিক স্ট্যাটাস কেমন তর। ।
চাকরী বাজারে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ লাভ এর চাহিদা একজন ছাত্রের নাই কেন না গোল্ডেন এ প্লাস একজন ছাত্র কখনই চায়না সে সর্বনিন্ম আয়ের কর্মটি করে। কোন রকম ডিগ্রী পাস করে এই পেশাকে গ্রহণ হয়তো করে তবে নজর থাকে উপরের দিকে ।
হতদরিদ্র ভূমিহীন কৃষক মেথর কামার কুমাড়দের ঔরসজাত সন্তানকে নিজের সন্তানের মত আদরে শিখন শেখানো কার্যাবলী পরিচালনা করতে সে পারেনা কেন না এই সমাজ যাদের নিন্মশ্রেণীর মানুষ করে ঘৃণাভরে তাকায় তাদের সন্তান দের আলোর পথে অগ্রসর হওয়ার পথ যতটা সুখের হওয়ার কথা ততটা হচ্ছে না।
আমরা কি আসলেই দরিদ্র দেশের নাগরিক নাকি দরিদ্র চেতনা এবং হাত পাতা ব্যবসার দেশে বাস করি?
যে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই ছাপাতে হয় ভারতে সে দেশ কি করে দরিদ্র হয় আমার জানা নাই তবে আগামীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও হয়তো অন্যদেশ থেকে আমদানী করা হবে। কেন না আমরা আমাদের সম্পদের ব্যবহার করতে জানি না। ভাল মন্দ বোধটুকুও আমাদের লোপ পেতে শুরু করেছে।
যে শিশুদের আমরা অবহেলা করছি তারাই এই দুনিয়ায় থাকবে কিছুকাল আমাদের প্রস্থান পরে।
তাই সকল সভ্য নাগরিকের প্রতি আবেদন এই লাল সবুজের কচিকাচার অদৃশ্য জীবন অবকাঠামোকে স্টিলনেস স্টিলের মত মজবুত করে গড়ে তোলার সবধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন।
আপনার শিশুকে সুন্দর একটি পরিবার সমাজ ও দেশ উপহার দেওয়া আপনার নৈতিক দায়িত্ব।
আমার বয়জোষ্ঠ এক ভাই দুঃখ করে বলেন আমার দেশে এই একটি মাত্র পেশা যেখানে সকাল বেলায় পূর্ণ পেট আহার করে মাস্টাররা স্কুলে যায় আর শূণ্য পেট ও পকেটে বাড়ী ফেরে অথচ এই দেশেই অন্যপেশাজীবিরা বাড়ি ফেরে এক পকেট কালটাকা ভরে।
আসলেই তো দিন মজুরের চেয়ে কম মজুরী পেয়ে খালি পেটে শিশুর মনোপেশীজ অবকাঠামো তৈরী কি করে স্টিলনেস স্টিলসম করবে।
আর আমরা কি আসলেই শিক্ষীত ব্যক্তি তাহলে একটু চিন্তা করে বলুন শিক্ষা কী? কেন?
অসমাপ্ত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।