অন্তহীন আমাদের পথচলা,জীবনের বাঁকে-বাঁকে গতির পরিবর্তন। আর চাওয়া - পাওয়ার অসম সমীকরণ। এই নিয়েই আমাদের জীবন এই লেখাটি পড়ার আগে সিরিজের পূর্বের পোস্টটি(Click This Link) পড়ে আসুন দয়া করে।
রক্তপাতঃ
কোন ব্যক্তির শরীরের কোন অঙ্গ বা প্রত্যঙ্গ বা চামড়ার উপরিভাগ কেটে গিয়ে যদি রক্ত বের হয়ে আসে তবে তাকে জরূরী ভিত্তিতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
রক্তপাত সাধারণত দুই ধরণের হয়- ক)বাহ্যিক রক্তপাত,খ) অভ্যন্তরীণ রক্তপাত।
বাহ্যিক রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসা-
ক)রক্তপাত বন্ধ করার জন্য ক্ষতস্থান শক্ত করে চেপে ধরুন। (নিচের ছবিতে দেখুন)
খ)হাত বা পা কেটে গিয়ে রক্তপাত হলে ক্ষতস্থান হৃদপিন্ডের উপরে তুলে ধরুন। সেক্ষেত্রে রক্তপাত কম হবে,কারণ তরল পদার্থ কখনোই উপরের দিকে প্রবাহিত হতে পারে না। (নিচের ছবিতে দেখুন)
গ)ক্ষতস্থানের উপর একটি পরিষ্কার কাপড়ের প্যাড দিয়ে শক্ত করে ব্যান্ডেজ বাঁধুন। ।
(নিচের ছবিতে দেখুন)
ঘ)এর পরেও যদি রক্তপাত না কমে সেক্ষেত্রে রক্ত চাপ বিন্দু বা প্রেসার পয়েন্ট চেপে ধরতে হবে। (নিচের ছবি দুটিতে লক্ষ্য রাখুন)
(পায়ের ক্ষেত্রে)
(হাতের ক্ষেত্রে)
অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের প্রাথমিক চিকিৎসাঃ
ক)নাক থেকে রক্ত বের হলে ছবির মত করে হালকাভাবে মাথা নিচু করে দিয়ে নাকটি চেপে ধরুণ।
খ)কান থেকে রক্তপাত হলে কানে পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখুন। (ছবিতে দেখুন)
গ)শরীরে চামড়ার ভেতর থেকে রক্তপাত হলে সেখানে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে বারবার সেক দিতে থাকুন অথবা বরফ প্রয়োগ করুন(বরফ কখনোই সরাসরি প্রয়োগ করা যাবে না। একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে রেখে আলতোভাবে ঘষতে হবে।
)।
(এই ধরণের রক্তপাত হলে ঠান্ডা পানি অথবা বরফের সেক দিতে হবে)
তথ্যসূত্রঃ
সমাজ ভিত্তিক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ সহায়িকা,বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
লেখকঃ
রাহিকুল ইসলাম চৌধুরী
প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষক
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
যুব রেড ক্রিসেন্ট,সিলেট ইউনিট
ও
সদস্য
জাতীয় দূর্যোগ প্রস্তুতি দল(ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম)
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।