দেখে যা অনির্বান কি সুখে আছে প্রাণ...
আজকের পত্রিকার একটি খবর দেখে আঁতকে উঠলাম। আমরা কোথায় বাস করি? একটি উপজেলার ৫২ টি গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই!
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ফলে ওইসব গ্রামের স্কুলগমন-উপযোগী হাজার হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে দিতে পারছেন না। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে গড়ে ওঠেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এতে প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয় না থাকায় ওইসব শিশু বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়ছে। শ্রীবরদী উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২০৬টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক স্কুল ৭৭টি, বেসরকারি রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৪টি, কমিউনিটি ৩টি স্কুল এবং শহরভিত্তিক ১৫টি কেজি স্কুল রয়েছে। উপজেলায় ৬৫ হাজার ৩৫০ শিশু রয়েছে।
এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত রয়েছে ৪২ হাজার ২৮৫ ছাত্রছাত্রী। বাকি ২৩ হাজার ৬৫ শিশু বিদ্যালয়ে পা রাখে না। ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় নেই এমন ৫২টি গ্রামের মধ্যে ৩০-৩৫টি গ্রামে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ বসবাস করে। বাকি গ্রামগুলোতে দুই হাজার বা তার চেয়ে কম মানুষ রয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী দুই কিলোমিটারের মধ্যে অন্য কোনো প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই এবং দুই হাজার মানুষের বসবাস ও ১৫০ শিক্ষার্থী স্কুলে পড়ার উপযোগী থাকলে সেই গ্রামে একটি প্রাথমিক স্কুল গড়ে তোলা যাবে। এখানকার শিশুরা বছরের পর বছর প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তবে এই রকম চিত্র কম বেশি দেশের অধিকাংশ উপজেলাতেই।
অন্য দিকে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শিক্ষক নেতাদের সাক্ষাতের সময় ঘোষণা দেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে দেশের প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার ও ল্যাপটপ দেওয়া হবে।
দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ডিজিটালাইজড করার আগে বেশি প্রয়োজন হলো যে সকল গ্রামে নেই প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই সেখানে বিদ্যালয় স্থাপন করে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।