অন্ধকার দেয়ালে তোমার আলো জন্ম দেয় মিথ্যে ছায়াকে..... নায়ক অনন্ত জলিলকে নিয়ে ফেসবুক-ব্লগ-চায়ের কাপে উথাল পাতাল অবস্থা। নির্মল বিনোদনের অফুরন্ত উৎস হিসেবে বেশ ভালো সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শাকিব খান-ইভা-মাহফুজ আর সাহারা খাতুনের বাইরেও বিনোদনের নতুন দিগন্ত দেখিয়েছেন। ব্যস, তার প্রসংসা করা আপাতত স্টপ। এখন আসি তাকে নিয়ে সিরিয়াসধর্মী একটা লেখা “চলুন একই জিনিস ভিন্ন চোখে দেখি”- এর বিষয়ে।
ফেসবুকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে লেখাটি,লেখক মনে হয় আমাদের নির্মল আনন্দ সহ্য করেতে পারছেন না।
জলিল কি দেশের কথা ভেবে কিছু করছেন ?? উত্তরঃ না।
লেখাটিতে লেখক বলেছেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জলিল নাকি চলচ্চিত্র নির্মান করছেন। ব্যপারটা আসলেই হাস্যকর। নিজের টাকায় নিজের প্রডাকশন থেকে ৪ টা সিনেমা বানিয়েছেন, আরো ৪টি বানাচ্ছেন।
সবগুলাতে নায়ক তিনি নিজে। নায়িকা তার বউ। এটা কি সামাজিক দায়বদ্ধতা নাকি আত্ম-প্রচারনা?? উত্তরটা মুখে না বললেও চলে।
“আর ইউ পম গানা??”
তার সবচেয়ে আলোচিত বক্তব্য হলো,”ইউ পম হোয়ার? আর ইউ পম গানা....”।
আচ্ছা, ইংরেজি উচ্চারন জটিলতার কথা বাদ দিই।
সোজা বাংলায় তরজমা করলে সেদিন তিনি যা বলেছেন তা হলো, “অই মিয়া আপনে কই থেইকা আইসেন? আপনি কি আফ্রিকা থেকে এসেছেন? ঘানা থেকে এসেছেন? আপনার মা কি রাশিয়ান? আপনারা ভাবেন বাংলাছবির নায়ক অশিক্ষিত?? ......”
কি অদ্ভূত! আচ্ছা একজন মানুষ আফ্রিকান হলে বা ঘানার মানুষ হলে সমস্যা কি? ঘানার মানুষ কি মানুষ না? তার মা রাশিয়ান হলে সমস্যা কি? একজন মানুষ তখনই সম্মান পায় যখন অপরকে সম্মান করতে জানে। জলিল সাহেব ঘানা –রাশিয়াকে যেভাবে মিন করেছেন তেমনি যদি বিদেশী কেউ বাংলাদেশকে নিয়ে বলে তাহলে কেমন লাগবে?? উনার হাস্যকর ইংরেজি উচ্চারনের আড়ালে আসলে অনেক বড় একটা অপরাধ ঢাকা পড়ে গেছে। এটি একটি চরম রেসিস্ট মন্তব্য।
ফেসবুকের লেখাটির লেখক রজনীকান্তের সাথে জলিলের তুলনা এভাবে করেছেন যে, রজনীকান্ত চ্যারিটি করেন। জলিল সাহেবও নাকি সামনে জেলায় জেলায় সিনেপ্লেক্স খুলবেন।
আচ্ছা,সিনেপ্লেক্স খুলে কি তিনি বিনা পয়সায় মানুষকে সিনেমা দেখাবেন? তা না হলে এর সাথে চ্যারিটির তুলনা কিভাবে আসে??
আমি বাজি ধরে বলতে পারি তিনি যদি কোনো সিনেপ্লেক্স বানান তাহলে সেখানে দিন রাত শুধু তার খোঁজ দ্য সার্চ,স্পীড টাইপ মার্কা মারা সিনেমা গুলাই চলবে।
জলিল সাহেব পরিপূর্ন একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি নিজের ব্যবসার কথা-ই ভাবেন,সমাজ বা দেশের কথা না। তামিল বা হিন্দি সিনেমা কপি পেস্ট মেরে সিনেমা বানিয়ে ব্যবসা করা যায়, বাংলাদেশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি করা যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।