অর্থ নয়, কীর্তি নয়...আরো এক বিপন্ন বিস্ময়/আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে খেলা করে তখন শেষ রাতে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ উঠেছে। সাগরের কাছে আকুল হয়ে জানতে চেয়েছিলাম বাঁচতে চাওয়ার মানে। মাথার উপর ‘অবকাশ’ এর ছাউনি। পেছনে ফেলে আসা বিগত অধ্যায়। সামনে আদিগন্ত বিস্তৃত কাব্য- সমুদ্র সংশয়।
সময় গেছে স্থির হয়ে। মনে পড়ছে বিস্মৃতির অতল গহীনে তলিয়ে যাবার আগের সর্বশেষ অসমাপ্ত কবিতা; সবুজ গন্ধের দিন, অচেনার গাম্ভীর্যে চেনা মুখ, সংশয়ের সমুদ্রস্নান। ভেতরের অধীর নির্লিপ্তি আর বাইরের সাগরের গর্জনে আমি হই দ্বিখণ্ডিত। এই নিবিড় তমিস্রায় ডুবে যেতে থাকে অনুভবের ভগ্নাংশ।
সাগর তুমি কি জান আত্মপ্রবঞ্চনার নাম প্রতারণা কি না? তুমি বলে দাও কোথায় লুকিয়ে থাকে এত আর্তনাদ।
কোন মরুতে উধাও হয় বর্ষার সহস্র জলধার? তুমি দেখেছ কি শুকিয়ে যাওয়া তিন ভাগ জল? তুমি কি জান কতটা দূর গেলে দূরত্ব ঘোচে? চোখ দু’টো খুব পোড়ায়। তোমার জলে ধুয়ে দেবে? তোমার বিশাল বুকে আমায় একটু জায়গা দেবে? তুমি বলে দাও বাঁচতে চাওয়ার মানে।
বসন্তের প্রথম দিন, প্রথম অনুভব, প্রথম দীর্ঘশ্বাস- প্রবোধ না প্রবঞ্চনা? সাগর কোন প্রবোধ দেয়নি। জানতাম দেবে না। আমি জানতাম ক্রমশ একলা হলে লুকোচুরি ঘুচবে।
আমি জানতাম সাগর আমাকে একাকীত্বের অসীম অনুভবের ভেতর আবার টেনে নিয়ে যাবে। যাবেই তো। তোমার কথা কিছু তোর বুকেও তো জমা ছিল। সন্ধ্যা নেমে এলে দূরে সাগর কেঁদেছিল। পায়ের আল্পনায় সৈকত সেজেছিল।
ছবিটা ভাটার গাঙচিল চোখে এঁকে রেখেছিল। জানা হয়নি পায়ের ছাপ জোয়ার মুছেছিল কিনা। শুধু জেনেছিলাম সেই সন্ধ্যানীল পটভূমির প্রচ্ছদে, বৃষ্টি হবে বলে কোন সুদূর পরবাসে, মেঘের পরে মেঘ কোথাও জমেছিল।
বসন্তের রাত কতই বা দীর্ঘ হয়। চাঁদ ঝাপসা হয়।
আমার থেকে আমি হই অন্তরীন। সেট সাজতে থাকে। আমি মে’ক আপ নেই পরের দৃশ্যে শট দেয়ার জন্য।
“কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে
কোথায় আলোর উৎসবে স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙ্গে
একা একা আমি থাকি দাঁড়ায়ে
স্মৃতির ঝড়ো বাতাসে দু’জনার শরীর মেশাই” ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।