প্রায় প্রতি রাতেই অন্তত একবারহলেও নিজের সাথে দেখা হয়ে যায়। তখন নিজের সাথে নিজেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি। দ্বিধা, দ্বন্দ, ক্ষোভ, আনন্দ, দুঃখ আর প্রতিবাদে মুখর থাকে সেই ক্ষণ। এসব অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কাউকে যখন পাই না। তখন লিখতে বসে যাই।
আমেরিকাতে হোম-স্কুলিং কে আইন করে বৈধতা দেয়া হয়েছে। যে কোন পিতা-মাতা চাইলেই তার সন্তানকে বাসায় রেখে নিজেরাই পড়াতে পারে। এসব শিশুরা অন্যান্য স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মত প্রচলিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারে। বাংলাদেশে যেমন প্রাইভেট এ ও-এ লেভেল পরীক্ষা দেয়া যায় ঠিক সে রকমই। আমেরিকাতে বর্তমানে দুই মিলিয়ন শিশু বাসায় থেকে পিতা-মাতার তত্ত্বাবধায়নে পড়াশুনা করছে।
অনেকে বাসায় শিক্ষক রেখেই শিশুকে পড়াচ্ছেন। এসব শিশুদের সাথে কথা বলেন আল-জাজিরা'র সাংবাদিক টম একারমেন। শিশুরা জানায় তারা খুব খুশি। বাসায় কোনো বাধাধরা কঠিন নিয়ম নেই। তারা খুশিমনেই খেলতে খেলতে শিখছে।
শিশুরা আরও জানায় তারা নিজেদের কখনোই নির্বাসিত মনে করে না, প্রতিদিনই তারা বিকালে পাড়ার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করে এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। মূলত বিগত কয়েক বছরে আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে নাশকতার ঘটনায় অনেক পিতা-মাতাই হোম-স্কুলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। অভিভাবকদের মতে, তারা কাজে গেলে খুবই নিশ্চিন্ত থাকেন। কারন সন্তান বাসায় হোম-ওয়ার্ক করছে। নানা রকম বন্ধুদের সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাওয়ারও ভয় নেই কারন নির্দিষ্ট কিছু পরিচিত প্রতিবেশীর সন্তানের সাথেই এরা খেলাধুলা করে।
এই সংবাদটি আজ সকালে পড়লাম। এই মার্চ মাসের ২৮ তারিখের একটা ঘটনা মনে পড়লো। হরতালের নাশকতায় ১৪ বছরের স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়া তার চোখ হারালো। দেশে হরতালের কবলে পড়ে স্কুলগামী শিশুরা নানা সময়ে আহত হচ্ছে। নানা রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
নিষ্পাপ শিশু মনে ঢুকে যাচ্ছে এক ভয়ানক ভীতি। আজকে আমেরিকার হোম-স্কুলিং নিয়ে সংবাদটি দেখার পড় মনে হলো আমাদের সরকারও কিন্তু এমন একটি আইন করতে পারে। বাংলাদেশের এখন যা অবস্থা তাতে করে হোম-স্কুলিং এর বৈধতা কিন্তু খুবই প্রয়োজন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।