ভেবেছিলাম নিজেকে স্রোতের বিপরীতে একজন... গতবার গ্যাস বিক্রি করেন নাই বলে ২০০১ এ ক্ষমতায় আসতে পারেন নাই, এবার আর সে ভুল করতে চান না দেশরত্ন, জননেত্রী। কোনদিন সকালে উঠে দেখবেন দেশটা ভারত হয়ে গেছে এই ভয়ে যাদের সারারাত ঘুম হয় না, তারাও এমন দেশবিরধী চুক্তিতে নীরব। দেশের স্বার্থে কথা বলে আরও পাঁচ বছর বিরোধী দলে থাকার মতো বোকা নন আমাদের আপসহীন দেশনেত্রী। নারীনীতি নামের মুলা গলায় আটকে ফেলে যে ইমানদাররা দিনের মধ্যে পাঁচবার সরকারকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন, এর প্রতিবাদ করাটা তাদের কাছেও কোন ইমানি দায়িত্তের মধ্যে পড়ে না। নামসর্বস্ব কমুনিজ্যমের দাবীদাররা সারাবছর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্লোগানে ক্যাম্পাস গরম করে অপরাজেয় বাংলার নীচে বসে বিশ্বব্যাংক আর আইএমএফ এর মুণ্ডুপাত করলেও এখন কোন আওয়াজ নাই।
যারা ক্ষমতায় আছেন, যারা ক্ষমতায় যাবেন, যারা ক্ষমতার স্বপ্ন দেখেন কেউই এই ব্যাপারে কথা বলবেন না। এ নিয়ে হইচই করবেন তারাই, অদূর বা সুদূর ভবিষ্যতে যাদের ক্ষমতায় যাবার সামর্থ্য, সম্ভাবনা, ইচ্ছা কোনটাই নেই। ৩ জুলাইয়ের হরতাল তাই ক্ষমতাহীনদের হরতাল, প্রতিমন্ত্রীর ভাষায় “টোকাইদের হরতাল”। আরিফ জেবতিক ফেসবুক নোটে লিখেছেন, “মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের টোকাই সম্ভোধন মাথায় তুলে নিন। দেশ মায়ের সম্পদ রক্ষায় আমরা শত জীবন টোকাই হতে রাজি আছি”।
’৭১ এ এই ক্ষমতাহীন টোকাইরাই যুদ্ধ করে, জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাজাকারদের শত গালাগাল আর হাজারো চক্রান্ত স্বাধীনতার পথে কোন বাধা হয়ে দাড়াতে পারেনি। চলুন ক্ষমতাহীন টোকাইদের ক্ষমতাটা আরেকবার দেখিয়ে দেই। ক্ষমতালোভী নব্য রাজাকারদের বিরুদ্ধে আরেকটা যুদ্ধ হোক, লক্ষ কোটি টোকাই একসাথে বারুদ হয়ে জ্বলে উঠুক। সে আগুনে প্রয়োজনে গোটা দেশ জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে, তবু দেশের সম্পদ আর ইজ্জত এভাবে বিক্রি হয়ে যেতে দেব না ইনশাল্লাহ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।