মানুষ আসলে নষ্ট হতে চায় কিন্তু সারা জীবন ভালো থাকার অভিনয় করে বাংলাদেশ ঘিরে এখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চক্রান্তের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তা ৭০ দশকের শেষের আফগানিস্তান, ষাটের দশকের নাইজেরিয়া, পঞ্চাশের দশকের লাতিন আমেরিকার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বলা বাহুল্য, ভূরাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল ভৌগলিক অবস্থিতি হবার কারণে বাংলাদেশের সামনে যেমন অভূতপূর্ব এক সম্ভাবনা এনে দিয়েছে, তেমনি লাখো মানুষের রক্তে গড়া আয়তনে ক্ষুদ্র কিন্তু জনসংখ্যায় বৃহৎ এই জাতিরাষ্ট্রের জন্য যথেষ্ট নতুন হুমকিরও আঞ্জাম দিয়েছে। রাজনীতির ক্রম বিষাক্ত মেরুকরণ ও জনগণের একে অপরের ওপর রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণে প্রভাবিত হয়ে হিংসাত্মক বিরোধ সেই ইঙ্গিতই বহন করছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে নিজেদের মধ্যে অতিরিক্ত কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবী। অন্যথায় প্রথমে তালি বাজানো ও পরে হাত কামড়ানো ছাড়া হতভাগা বাঙ্গালের সামনে আর কোন পথ খোলা থাকবে না। পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হবার পর ফিরিঙ্গীদের হাতে ধৃত শেষ স্বাধীন শাসক সিরাজ উদ দৌলাকে যখন তাঁর নিজের রাজধানী মুর্শিদাবাদের পথ দিয়ে নেয়া হচ্ছিলো তখনও হতভাগ্য বাঙালি পথের ধারে দাঁড়িয়ে রং দেখছিল। এমনকি ক্লাইভ নিজে লিখেছে যে, যত লোক পলাশীর যুদ্ধের তামাশা দেখতে যুদ্ধের ময়দানের আশেপাশে উঁকিঝুঁকি মারছিল, তারাও যদি একটি করে মাটির ঢেলা ব্রিটিশদের দিকে ছুঁড়ে মারত তাহলেও ব্রিটিশরা ধ্বংস হয়ে যেত...! এই তামাশা দেখার খেসারত এই জমিনের হতভাগ্যদের দীর্ঘ ২১৪ বছর, অর্থাৎ ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বড় কষ্টের মাধ্যমে দিতে হয়েছিল...!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।