থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
[ তথ্যের সূত্রঃ দুর্নীতির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে স্বাচিপ-বিএমএ কোন্দল চরমে]
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হক স্বাচিপের সভাপতি। সংগঠনটির মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলান মন্ত্রীর পক্ষে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক ফকির ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর দ্বন্দ্ব চলছে সরকার গঠনের শুরু থেকে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা মন্ত্রীর প্রচণ্ড বিরোধী।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সঙ্গে মন্ত্রীর বিরোধ চলছে।
ডা. ইকবাল আর্সলান ও বিএমএ যুগ্ম মহাসচিব ডা. এমএ আজিজের মধ্যকার কোন্দলও চরমে।
দুর্নীতির ভাগাভাগি নিয়ে গত সাড়ে ৩ বছরে কয়েক দফায় তাদের কোন্দলের প্রকাশ ঘটে। কয়েক দফায় মুখোমুখি অবস্থান নেন ও ভাংচুর চালান তাদের অনুসারীরা। ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে ডা. আর্সলানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য হয়ে ওঠে গত বিএমএ নির্বাচনের আগে।
শেখ ফজলুল করিম সেলিমের কাছের লোক ডা. আজিজ। তার গ্রুপকে সমর্থন দিচ্ছেন শেখ সেলিম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ঢাকার কয়েক সংসদ সদস্য। বিভিন্ন গ্রুপের পাশাপাশি স্বাচিপে ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করছেন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
অন্যদিকে সারাদেশের চিকিত্সকদের সঙ্গে গোপনে সভা করে তারা ভাইয়ের পক্ষে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার ভাই বিএসএমএমইউ’র ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
ঢাকাসহ সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে স্বাচিপ ও বিএমএ’র চার থেকে পাঁচটি করে গ্রুপ আছে।
সংগঠন দুটির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে সারাদেশের শাখা পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে কোন্দল।
ভিন্নমতের চিকিত্সকদের দমনের পর স্বাচিপই এখন স্বাচিপের প্রতিপক্ষ। স্বাচিপ, বিএমএ’র কয়েক নেতা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সমর্থনে আলাদা সংগঠনও করেছেন। সব গ্রুপের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।
নানা কোন্দলের কারণে মূল সংগঠন থেকে বেরিয়ে স্বাচিপ ও বিএমএ নেতারা ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ‘স্বাস্থ্য’ ও ‘ডিপিএপি’ নামে আলাদা দুটি সংগঠনও করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।