আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বাস্থ্যখাতে ২০১১ সালের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

ইকোলাই মে-জুন মাসে ‘ইকোলাই’ নামের একটি ব্যাক্টেরিয়া বিশ্বের গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল৷ কেননা এর কারণে ইউরোপে আর জার্মানিতে প্রাণ হারিয়েছিল অনেক মানুষ৷ এছাড়াও কোথা থেকে এর উৎপত্তি, তা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে জার্মানি ও স্পেন৷ ফলে দু’দেশের সম্পর্ক খারাপ হবার উপক্রম হয়৷ জার্মানির হামবুর্গে প্রথম ইকোলাই’র উপদ্রব ধরা পড়ে৷ তখন মনে করা হয়েছিল স্পেন থেকে আসা শসা এবং লেটুসপাতাতে ইকোলাই রয়েছে৷ ফলে আমদানি করা সবজি নষ্ট করে ফেলাসহ আমদানিও বন্ধ করে দেয়া হয়৷ তার ফলে, আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় স্প্যানিশ কৃষকদের৷ কিন্তু পরে দেখা যায়, জার্মান কর্তৃপক্ষের ওই ধারণা সত্যি ছিল না৷ অবশেষে জানা যায়, সবজির অঙ্কুর বা স্প্রাউটস থেকে ছড়িয়েছে ইকোলাই৷ যক্ষা নির্ণয়ে ই-নোজ শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় বিজ্ঞানীরা নাকি খুব শিগগিরি একটি ‘ইলেক্ট্রোনিক নোজ’ বা ‘ই-নোজ’ তৈরিতে সক্ষম হবেন৷ যার কাজ হবে নিশ্বাস থেকে যক্ষ্মার লক্ষণ দেখে রোগনির্ণয় করা৷ ফলে যক্ষা ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগেই তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে৷ ২০১৩ সালের মধ্যেই ই-নোজ তৈরির আশা করছেন বিজ্ঞানীরা৷ উল্লেখ্য, প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় চার লাখ মানুষ যক্ষা রোগে মারা যায়৷ উপমহাদেশের মানুষই যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয় বেশি৷ ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই এই জ্বর আতঙ্কের আরেক নাম৷ প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়৷ কিন্তু এ বছর থাইল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী বলছেন, তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য একটি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন যার নাম ‘শিমেরিক লাইভ অ্যাটেনুয়েটেড ভ্যাকসিন’৷ এই ভ্যাকসিনটিই ডেঙ্গু জ্বরের চার ধরনের ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে৷ ওজন কমানো কিভাবে সেটা সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তিত বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষ৷ এজন্য অনেকে ওষুধ খেয়ে থাকেন৷ হয়তো লাভও হয় তাতে৷ এমনই এক নতুন ওষুধের খবর এ বছর দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যার নাম ‘নেক্সা’৷ জানা গেছে, এর মাধ্যমে এক বছরে প্রায় ১০ শতাংশ ওজন কমানো সম্ভব৷ তবে ওষুধটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পায়নি৷ ক্যান্সার স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারে প্রতি বছর বিশ্বের অনেক রোগী মারা যান৷ তাই এই ক্যান্সার নিয়ে মানুষের মনে এখনো রয়ে গেছে ভয়৷ ফলে যারা এই রোগে ভুগছেন তারা মাঝে মধ্যেই চিকিৎসকের কাছে যান৷ ক্যান্সার কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানতে চান৷ কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এভাবে কয়েকদিন পরপর পরীক্ষা করানো ঠিক নয়৷ এতে ভালোর চেয়ে নাকি খারাপই হয় বেশি৷ তবে অন্য বিজ্ঞানীরা এই যুক্তি সম্পর্কে এখনো সন্দিহান৷ ফলে আসলে কোনটা যে ঠিক তা নিয়ে এখন চলছে গবেষণা৷ ২০১২ সালে হয়তো এর একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে৷ link

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।