ও আচ্ছা এই বিষয়! খারাপ না কিন্তু মুদ্রাদোষ নিয়ে আলোচনা না করে সরাসরি আমার ছাত্রজীবনের একটি ঘটনায় চলে গেলাম। (যদিও এখনও ছাত্রই রয়ে গেছি)। যাই হোক্।
আমি তখন নবম কি দশম শ্রেনীতে পড়ি। একদিনকার ঘটনা।
আমি আর আমার দুই বন্ধু একসাথে টিফিন করতে বেরিয়েছি। ঠিকমতোই টিফিন কিনে স্কুলসংলগ্ন কেন্টিন এর সামনের ফুটপাত ধরে হাটছি। আমার সাথের দুই বন্ধুর একজন সামু ব্লগের সুমন অহেমদ আর অপরজন তারেক হাসান( সামুতে একাউন্ট নেই,অন্য কোন ব্লগে আছে বলেও জানা নেই)। এই তারেক হাসানকে নিয়েই ঘটনার শূরু আর শেষ ।
তারেক হাসানের একটা মুদ্রাদোষ ছিল-সে ঘনঘন থুথু ফেলতো্,কোন কারন ছাড়াই ।
কখনো ডানে ফেলছে তো কখনো ডানে। কখনো কম ফেলছে তো কখনো বেশি। তো সেদিনও আমরা টিফিন কিনে কেন্টিনের সামনে দিয়ে হাটছি। তারেক হাসান(যাকে আমরা তা'হাসান বলতাম,অনেকে শাহরুখ খানও বলতো ),আমাদের পাশাপাশি হাটছে আর এপাশ ওপাশ থুথু ফেলছে । যেটা আমরা বন্ধুমহলের সবাই হাসির বিষয় হিসেবে নিতাম ,কখনো বিরক্তির বিষয় ও ছিল।
কোন ভাবে আমি আর সুমন অহেমদ সামনে এগিয়ে গেলাম। তারেক পেছনে। আমরা যেদিকে যাচ্ছিলাম ঠিক আমাদের উল্টোদিকে আমাদের কে ক্রস করে আমাদের বাবার বয়সী একজন হেটে গেলেন। আর ঠিক সে সময় তারেক থূথু ফেললে তা লোকটার পায়ে পড়লো। লোকটা ছিল ভীষণ কালো আর বেশ ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী।
বুঝতেই পারছেন সেই মুহুর্তে তারেক হাসান(শাহরুখ ) এর গলা শুকিয়ে নিশ্চই কাঠ হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক আমরা যখন পেছনে ফিরে তাকিয়েছি ততক্ষনে তারেক হাটু ভাজ করে বসে লোকটার পা থেকে থুথু মুছে দিচ্ছে । ব্যাপারটা হঠাং করে আমাদের জন্য হজম করা কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। শূধুমাত্র মুছে দেয়াই নয় সে যেন সরি বলতে বলতে একটা কবিতা ও রচনা করে ফেলতে চাইছিল।
পরে আমাদের সামনে কাচুমাচু করে এসে তারেক বললো-চল ক্লাসে যাই।
আমরা তো ভেতরে হেসেই অস্থির।
মুদ্রাদোষটি একেবারে চলে না গেলেও হয়তো কিছুটা কমেছিল। কারণ এর পর ওই রকম ঘটনা আবারো সে ঘটিয়েছে এমনটা কারো কাছে শূনিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।