যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে এর মধ্যে আঠারো বছর যাবত তিনি নির্বাসিত, মানে নিজ দেশে নিষিদ্ধ হয়ে আছেন। সে হিসাবে তিনি যখন দেশ ছাড়েন তখন তার বয়স ছিলো ৩২।
তাসলিমা নাসরিনের লেখা গল্প, কবিতা, নিবন্ধ এদেশের কোটি কোটি মানুষের চাইতে ভালো। তিনি যে চিন্তা করেন - তা এদেশের কোটি কোটি মানুষের তুলনায় অগ্রসরমানের।
সমস্যা হলো তিনি একজন নারী হিসাবে এসব প্রশ্ন করেন ও লেখেন বলে আমাদের সমাজে সেগুলো বদহজম হয়ে গেছে।
এমন বদহজম যে এদেশে এমন একটা মানুষ আজকে আর অবশিষ্ট নাই - যে তাসলিমা নাসরিনকে নিজ দেশে ফেরার দাবী তোলার সাহস রাখেন।
পুরুষ হয়ে আমি নারীতন্ত্রে বিশ্বাসী হবো কিভাবে? হু, যদি আমি নারী হতে পারি তবে নারীতন্ত্রে বিশ্বাসী হবো হয়তো।
একজন নারী হবে নারীতন্ত্রের বিশ্বাসী, কিন্তু এদেশের বেশীরভাগ নারী পুরুষতন্ত্রে আস্থাভাজন। পুরুষতন্ত্র ক্ষমতাশালী বলে নারীতন্ত্রকে গিলে খেয়ে ফেলেছে।
আমার পুরুষতন্ত্র যদি নারীর জন্য সহায়ক না হয়, তবে তো মনুষ্যতন্ত্র থেকেই আমার খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা।
কিন্তু আমরা হই না। কারণ আমার পক্ষে নারীতান্ত্রিক হওয়া সম্ভব না, কোনো পুরুষেরই হওয়া সম্ভব না।
ফলে ফয়সালা করার জন্য নারীকেই এগিয়ে আসতে হবে। একজন তাসলিমা নাসরিনকে সেজন্য আমি শ্রদ্ধা করি। আমার সর্বগ্রাসী পুরুষতন্ত্রকে সে যদি একটু কেটেছেটে দিয়ে মনুষ্যতন্ত্রে ফিরিয়ে আনতে পারে - তারে আমি সেলাম করি।
সম্প্রতি হুমায়ূন আহমেদকে যেভাবে ব্যবচ্ছেদ করেছেন তাসলিমা তার জন্য আমি আনন্দিত। তাসলিমার লেখাটা দেখা যাবে এখানে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।