খবরঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
হলমার্ক কেলেঙ্কারি : জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা
ঢাকা: সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হলমার্ক কোম্পানির কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংক। ...............................................................................................
আসুন উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে আমরা কিছু আলোচনা আর কিছু কল্পনা করিঃ (কেউ নিজের সাথে মিলিয়ে ফেললে বা ঘটনার সাথে মিলে গেলে তার জন্য আমি বা আমরা দায়ী না!)
প্রসঙ্গঃ ১
আপনাদের কি মনে আছে, ২০১০ সালের শেয়ার মার্কেট লুটের তদন্ত কমিটির প্রধান জনাব ইব্রাহিম খালেদ স্যারের কথা? তদন্ত করে তিনি লাখ লাখ বিনিয়োগকারীদের আর্থিকভাবে পঙ্গুকারী তথা ডাকাতদের প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করে সেটা জনসম্মুখে প্রকাশ করেছিল। সেই কারণে, সেইসব ডাকাতের দল একজোট হয়ে জনাব খালেদের এমন অবস্থা করেছিল, যেন সব দোষ তার। এমনকি ওইসব দুষ্টের দল স্যারকে নিয়ে অনেক আজে বাজে রিপোর্ট পত্র পত্রিকায় ছাপিয়ে স্যারের জিনা হারাম করে দিয়েছিল।
এর মাধ্যমে ওরা দুটো উদ্দেশ্য হাসিল করেছিলোঃ
১) শেয়ার মার্কেট লুটের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ধামাচাপা দেওয়া, যাতে করে কেউ তাদের বিচার করতে বা চাইতে না পারে।
২) ভবিষ্যতে আর কোন ভাল মানুষ যেন অপরাধের তদন্ত করতে না পারে বা না চায়, তার ভয় ধরানো।
দুটো ক্ষেত্রেই তারা দারুণ সফল!
প্রসঙ্গঃ ২
এবার আসা যাক হলমার্ক দ্বারা সোনালী ব্যাংকের ৩,৫০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গেঃ
আমরা সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করছি যে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নিজস্ব তত্বাবধানে তদন্ত কমিটি গঠন এবং তাদের মাধ্যমে সঠিকভাবে তদন্ত করে সত্যিকার দোষীদের বের করতে পেরেছে! এখন আমরা চাই দোষীদের কঠিন সাজা দেওয়া হোক এবং লুটকৃত ৩,৫০০ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংকের ভল্টে ফিরে আসুক! কোন ধরনের আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে যেন লুটকৃত টাকা ফেরত আসা বন্ধ করা না হয়!
আমাদের আশঙ্কাঃ
ঘর পোড়া গরু যেমন সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়, আমরাও তেমনি ভয় পাচ্ছি। আমাদের আশঙ্কা একটা পর্যায়ে ব্যাংকের কিছু নিম্ন ও মধ্য পদস্থ কিছু কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করা হবে যারা হয়ত উচ্চ পদস্থ কারো দ্বারা আদিষ্ট হয়ে বা বাধ্য হয়ে ডকুমেন্ট-এ স্বাক্ষর করেছে মাত্র বা কিছু বকশিস পেয়েছে ! যদিও সেগুলিও অপরাধ! তার জন্য তারা শাস্তি পাক কোন আপত্তি নাই কিন্তু এত বড় একটা ঋণ কেলেঙ্কারি যার সাথে এক-দুই কোটি টাকা না ৩,৫০০ কোটি টাকা জড়িত তা কোনক্রমেই এদের দ্বারা সম্ভব না। এর সাথে অবশ্যই ব্যাংকের সবচেয়ে উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বাইরের প্রভাবশালীরাও (লুটেরা) জড়িত বলে আমরা মনে করি।
প্রসঙ্গঃ ৩
আসুন এবার আমরা আলোচনা করি বাংলাদেশের কোথায় কোথায় নগদ টাকা ছিল, এখনো আছে, কিভাবে তা লুট করা হয়েছিলো বা হবেঃ
১) শেয়ার বাজারঃ কমপক্ষে ২০ লক্ষ সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর সারা জীবনের সঞ্চয় ও বিনিয়োগ।
এটা লুট হয়েছে ২০১০ সালে। এটা ছিল তরল বা নগদ টাকার প্রধান ভাণ্ডার যা এখন শুন্য! বলুল আ...... ! বা খুশি হলাম !! মানুষকে লোভ দেখিয়ে এটা লুট করা হয়েছিল।
২) সোনালী ব্যাংকঃ এটা সরকারের ব্যাংক যাতে জমা আছে লক্ষ লক্ষ স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের সারা জীবনের সঞ্চয়, সরকারী চাকুরিজীবীদের পেনশন ফান্ড –এ জমাকৃত টাকা, এটা লুট হয়েছে ২০১২ সালে। এটা ছিল তরল বা নগদ টাকার মাঝারি ভাণ্ডার যা এখন শুন্য! বলুল আ...... ! বা খুশি হলাম !! ডকুমেন্ট কারসাজি, মিথ্যা ঘোষণা, জামির জাল দলিল, সম্পত্তির বায়বীয় মূল্য, সরকারি/বেসরকারি প্রভাব ইত্যাদির মাধ্যমে এটা লুট করা হয়েছিল।
৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভঃ বর্তমানে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তরল বা নগদ টাকার ভাণ্ডার (শেয়ার বাজার লুট হওয়ার পরে)।
সরকারের টাকা যা দ্বারা আমদানি-রফতানি ব্যয় মিটানো হয় এবং সরকারের সকল আর্থিক কারয্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এটা লুট হবে ২০... সালে। এটা অচিরেই শুন্য হবে! বলুল আ...... ! বা খুশি হলাম !! বাতাসে কান পাতুন কিভাবে এটা ........ হবে জানতে পারবেন!
প্রসঙ্গঃ ৪
একদিন রাতে বাংলাদেশীদের কয়েকটা পারসোনাল বোয়িং প্লেন শাহজালাল এয়ারপোর্টে অবস্থান করেছে যাতে আহরণ করছে বাংলেদেশের নাম করা লুটেরাগন । কিছুক্ষণ আগেই ওরা দেশের শেষ অর্থ ভাণ্ডার “ডাক বিভাগ” লুট করে এসেছে। এখন পরিবার পরিজন নিয়ে বিদেশে চলে যাছে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য।
আর ওরা ওদের প্রিয় ড্রাইভারদের হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিচ্ছে পত্রিকা অফিসে দেওয়ার জন্য যাতে আছে একটা প্রেস রিলিস, তাতে লেখা আছে – “এ দেশটা বসবাসের একেবারেই অযোগ্য”!
প্রসঙ্গঃ ৫
চারিদিকে আগুন জ্বলছে । সকল মানুষ রাস্তায়। কোথাও একটুও খাবার পাওয়া যাচ্ছে না!
প্রসঙ্গঃ ৬
আলোচনা এবং কল্পনা এখানেই শেষ, কারণ এখন আমরা বাস্তবে !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।