ধারণা করা হতো, বেশি বয়সে মা হলে সন্তানের ওপর প্রভাব পড়ে। কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। মা নন, বরং বেশি বয়সে বাবা হলেই শিশুদের ওপর প্রভাব পড়ে। শিশুদের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তাদের বংশগত জটিলতার সঙ্গে বাবার বয়স সরাসরি সম্পর্কিত।
আইসল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠান গবেষণাটি করেছে। ৭৮ জন মা-বাবা ও তাঁদের সন্তানদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষণাটি করা হয়। গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে নেচার। সমস্যা সমাধানে গবেষকেরা একটি উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। তাঁদের মতে, তরুণ বাবারা বেশি বয়সে সন্তান নিতে চাইলে তাঁরা তাঁদের শুক্রাণু সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
গবেষক দলের প্রধান ক্যারি স্টিফেনসন বলেন, গবেষণায় এটাই প্রমাণিত, শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষের বয়সই প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তিনি বলেন, ‘সমাজ সব সময় মায়ের বয়সের ওপর জোর দিয়ে আসছে। কিন্তু সিজোফ্রেনিয়া ও অটিজমের মতো সমস্যাগুলো বাবার বয়সের কারণে সৃষ্টি হয়, মায়ের কারণে নয়। ’
গবেষণার ফলাফলে ইঙ্গিত মিলেছে, ২০ বছরের বেশি বয়সী বাবার সন্তানদের ২৫টির মতো জটিলতা দেখা দেয়। আর ৪০ বছরের বাবার সন্তানদের সম্ভাবনা থাকে ৬৫টি জটিলতার।
বাবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জটিলতাও বাড়ে। শিশুদের সামগ্রিক জটিলতার ৯৭ ভাগ বয়স্ক বাবাদের কারণেই হয়।
প্রধান গবেষক বলেন, ১৯৭০ সাল থেকে শিল্পোন্নত দেশগুলোতে বাবা হওয়ার গড় বয়স বেড়ে চলেছে। একই সময় অটিজমও বেড়েছে। তাই দেখা যাচ্ছে, বেশি বয়সে বাবা হওয়ার কারণে শিশুদের রোগ-ব্যাধিও বাড়ছে।
বিবিসি।
সুত্রঃ প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।