I realized it doesn't really matter whether I exist or not. আমার একটা স্বভাব হচ্ছে চুপচাপ থাকা। কখনো কখনো এই স্বভাব বেশ কাজে দিয়েছে, কখনো কখনো এই স্বভাব বেশ সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। চরম মাত্রার ইনট্রোভার্ট হওয়ার কারণে অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েছি এবং পড়েই রয়েছি। তবে সেসব বলার জন্য এই পোস্ট নয়।
ইনট্রোভার্ট স্বভাবের দরুণই হোক বা অন্য যে কারণেই হোক, আমি অনুভূতিগুলোকে ঢাকতে পারি বেশ ভালো।
কোনো নির্দিষ্ট মূহুর্তে আমাকে দেখে কেউ বলতে পারবে না আমার মনের অবস্থা কী। সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনস্তাত্ত্বিকবিদদের কথা আলাদা। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমার মনের অবস্থা সবসময় লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করি। এই লুকিয়ে রাখার অভ্যাস কোত্থেকে এসেছে জানি না। তবে এতটুকু জানি, এটা বেশ কাজে দেয়।
মানুষ যত কাছেরই হোক না কেন, বন্ধুত্ব যত গাঢ়ই হোক না কেন, একজনের দুঃখ-কষ্টের কথা আরেকজন শুনতে চায় না। হয়তো বন্ধুত্বের টানে শুনতে চাইবে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও করবে। কিন্তু দুঃখ-কষ্টের কথা বেশিদিন মানুষ শুনতে চায় না। কেবল তা-ই নয়, দুঃখ-কষ্টের মাঝে পড়ে রয়েছে এমন মানুষও অন্যরা খুব একটা পছন্দ করে না। ডিপ্রেসড বলে তার একটা খেতাব জুটে যায়।
তাই কষ্টগুলো কারো সাথে শেয়ার না করাই সবচেয়ে ভালো। এ কথাও সত্যি যে কষ্ট শেয়ার করলে তা কমে। কিন্তু আল্লাহ যখন কষ্ট দেন, তখন বেশ ভালোভাবেই দেন। শেয়ার করে হয়তো নিজের কষ্ট কমবে, কিন্তু অন্যরা তো আসলে তা শুনতে চায় না। একটা সময় পর যখন সেই বোধোদয় হবে, তখন কষ্টগুলো মানুষ নিজের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে।
ফলে কষ্টের কষ্ট আর কষ্ট শেয়ার করতে না পারার কষ্ট মিলে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে।
আমার ক্ষেত্রে প্রথমটা হয়নি। আমি কারো সঙ্গে ঠিক শেয়ারই করিনি কিছু। হয়তো ততো কষ্টই পাইনি। কিন্তু যতটুকু পেয়েছি তা কোনো অংশে কম নয়।
তবে নিজেই আবিষ্কার করেছি, কাউকে বলে কোনো লাভ নেই। কেউই কষ্টটাকে আমার মতে করে অনুভব করতে পারবে না। কারো মনের পরিস্থিতি আমার মতো হবে না। এটা সম্ভব না। আর তাই, সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিজের সঙ্গেই এক ধরনের প্রতারণা করা।
প্রতারণা কি না জানি না, তবে আমি আমার মেন্টাল স্টেটটা সবসময়ই লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করি। আর বেশিরভাগ সময়ই সেটা পারি। আমার এই মানসিক মুখোশটা আজ অবধি কেউ ধরতে পারেনি। এর ভেতরে থাকা সিক্রেটটা কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। আর আমিও সেই গোপন কথাটা বলতে চাই না।
আমি গোপন কথা বলে কষ্টের কথা বোঝাচ্ছি না। আমি বলছি, সেই গোপন কথা, যা জানলে মানুষ জেনে ফেলবে কোনটা আমার কষ্ট ঢাকবার মুখোশ।
আইয়ূব বাচ্চুর অনেক গানই বাস্তবতার সঙ্গে অনেক মিল রেখে লেখা। এ জন্য অনেক আগে থেকেই আমার আম্মুর আইয়ূব বাচ্চুর গান পছন্দ ছিল। ওনার গান সারাক্ষণই বাসায় বাজতো।
সম্ভবত "ক্যাপসুল" ছিল ক্যাসেটটার নাম, যেটায় হাসতে দেখো গানটা ছিল। আমার গানটা বরাবরই ভালো লাগতো। একটা ব্যাডমিন্টন ব্যাটকে গিটার বানিয়ে সারাঘর ছুটে বেড়াতাম আর আইয়ূব বাচ্চুর এই গানটা গাইতাম।
আজ ১৫-১৬ বছর পর সেই একই ঘরে রয়েছি। আজও স্পিকারে সেই গানটা বাজে।
আজও সেই একই সুর, একই কথা, একই বাদ্যযন্ত্রের ধ্বনি। একমাত্র পার্থক্য, গানের কথাগুলোর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাস্তবতা।
তাই প্রতিবার যখন আমি মুখোশটা খুলে রাখি, একা একা নিজের কষ্টগুলো না পাওয়াগুলো "উপভোগ" করতে শুরু করি, তখন স্মৃতির কোনো এক কোণে বেজে ওঠেঃ
হাসতে দেখো, গাইতে দেখো,
অনেক কথায় মুখর আমায় দেখো,
দেখো না কেউ, হাসি শেষেই,
নীরবতা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।