আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Avengers এর জাহাজটা কি আসলেই বানানো সম্ভব

The Avengers এ দেখা জাহাজটার কথা মনে আসে বাস্তবে কি আসলেই এরকম কিছু বানানো সম্ভব। একটা জাহাজ হইত উড়ানো সম্ভব কিন্তু তাকে অদৃশ্য করা কি সম্ভব। কিন্তু, কোন রকম আধ্যাতিক বা কালো যাদু ছাড়াই পদার্থ বিঞ্জানের শ্রেষ্ঠ বিঞ্জানী আইনস্টাইন একটি জাহাজকে অদৃশ্য করে দিয়েছিলেন। এক কথায় বলতে গেলে সময়কে আটকে দিয়েছিলেন তিনি। পুরো ব্যাপারটা প্রকাশিত হলে প্রায় কয়েক দশক এগিয়ে যেত পৃথিবী ,পাল্টে যেতে পারত আমাদের পৃথিবীর চির পরিচিত চেহারা, আমরা হতে পারতাম মহাবিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীর আরও উপযুক্ত দাবী দার।

কিন্তু তা হয়নি, আরও ভালো করে বললে হতে দেওয়া হয়নি। ফিলাডেলফিয়া এক্সপেরিমেন্ট-মানুষের এই পর্যন্ত করা সবচেয়ে আশ্চর্যের একটি এক্সপেরিমেন্ট, এইবার আসি মূল ঘটনায় । কি হয়েছিল এই এক্সপেরিমেন্ট এ? এইটা প্রজেক্ট রেইনবো নামেও পরিচিত। পুরো এক্সপেরিমেন্ট টা করা হয়েছিল আমেরিকার নেভাল একাডেমী তে যেটা ফিলাডেলফিয়া তে অবস্থিত। ঘটনা ২২ই জুলাই,১৯৪৩।

সেদি ন ওই নেভাল একাডেমী তে eldridge নামে একটি বিশালাকার জাহাজের উপর ওই পরীক্ষা চালানো হয়। উদ্দেশ্য জাহাজটিকে অদৃশ্যকরে দেওয়া। খুব অদ্ভুত পরীক্ষা,তার চেয়েও অদ্ভুত তার উদ্দেশ্য। ২৮ ই অক্টবার,১৯৪৩। আবার করা হয় এক্সপেরিমেন্ট তি।

এইবার বিশাল জাহাজটি সব ক্রু সহ তো অদৃশ্য হল এবং ১০ সেকেন্ড পর একে পাওয়া যায় প্রায় ২০০ মাইল দূরে ভারজিনিয়ায় পুরো ব্যাপারটাই অবিশাস্য । যদিও আমেরিকান নেভাল একাডেমী ব্যাপারটি কখনই স্বীকার করে নেয়নি। বরাবর ই তারা ব্যাপারটিকে অস্বীকারকরে hoax বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিভাবে অদৃশ্য করা হয়েছিল জাহাজ? যতটুকু জানা যায় পুরো জাহাজটাকে তার দিয়ে মোড়ানো হয়েছিল,তারপর বিশাল ইলেক্ট্রিক্যাল জেনারেটর এর সাহায্যে এর মধ্যে দিয়ে কারেন্ট পাস করানো হয়েছিল এবং পুরো জায়গায় বিশাল ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করা হয়েছিল। এইম্যাগন েটিক ফিল্ড দ্বারাই জাহাজের আশপাশের আলো কে bend করা হয়েছিল।

জাহাজের আশপাশের আলো বেন্ড হয়ে যাওয়ার ফলে আমরা জাহাজ টিকে আর দেখতে পাই না অন্যভাবে বললে জাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যায়। এইভাবেই জাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় এক্সপেরিমেন্ট টিতে জাহাজ টির মুহূর্তে ২০০ মাইল পাড়িদেওয়ার ব্যাপারটা আইনস্টাইন এর একটি কথায় পরিস্কার হবে । তিনি বলেছিলেন আমরা যদিআলো কে বেন্ড করতে পারি তবে আমাদেরদ্বারা সময় এবং স্থান দুটুকেই বেন্ড করা সম্ভব হবে। আর এই দুটুকে বেন্ড করাগিয়েছিল বলেই জাহাজ টিকে ওই অল্প সময়েঅত দূরে পাঠানো সম্ভব হয়েছিল।

ঠিক এইভাবেই ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে আলোকে বেন্ড করা হয়েছিল। যার ফলে জাহাজটি মানুষের কাছে অদৃশ্য মনে হয়েছিল। ওই জাহাজের মধ্যে যারা ছিল তারা অধিকাংশই মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। যারা সুস্থ ছিল তাদের কেও বিভিন্ন ভাবে এর গোপনীয়তা রাখার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা? আমরা আজো জানিনা।

আসলে আমেরিকান মিলিটারি দের অধিকাংশ রিসার্চ সম্পর্কে বাইরের দুনিয়াকে কিছুই জানতে দেওয়া হয় না। যদি জানতে দেওয়া হত,হইত বর্তমান পৃথিবী অন্য রকমহতে পারত। এই এরিয়া ৫১ এর কথাই ধরুন না। আমরা সবাই জানি জায়গাটাআছে,কিন্তু অত একটাবিশাল জায়গা জুড়ে কি করা হয় সেটা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.