যখন আমি হবো শুধুই স্মৃতি, আমার এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা গুলো সবার সামনে আমাকে আরো স্মৃতিময় করে তুলবে।
বাউলদের জনশ্রুতজাত ধারণা:
স্বয়ং চৈতন্যদেবের একটি গুহ্য সাধন প্রণালী ছিল। এই সাধনা ছিল পরকীয়া মৈথুনাত্মক। রুপ, সনাতন, নিত্যানন্দ, জীব প্রমুখ বৈষ্ণব সাধকগণের পরকীয়া সঙ্গিনী ছিল। চৈতন্যদেব স্বয়ং মুসলমান আউল চাদের পুত্র রাম শরণ, তার পুত্র দুলাল চাদ কর্তাভজা সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা বলে লোকশ্রুতি আছে।
সম্ভবত আউল চাদের শিষ্য মাধব বিবি এবং মাধব বিবির শিষ্য নিত্যানন্দের পুত্র বীরভদ্র বা বীরচন্দ্র এই সাধন তত্ত্ব জনপ্রিয় করেন। আউল চাদ "ফকির ঠাকুর" নামে খ্যাত এবং কর্তাভজা মতের আদি গুরু বলে পরিচিত। বাউলেরা প্রায়ই শিক্ষিত বলতে আমরা স্বাভাবকি মতে যা বুঝে থাকি তা হয় না। বাউলদের লিখিত শাস্ত্র, ইতিহাস বা দর্শন নেই। তাই তারা কোন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে না।
এ জন্যই পরোক্ষ তথ্যের অনেকটা অনুমান নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়।
দেহতত্ত্ব ১:
এই অজুদে আছে আঠার মোকাম,
লাহুত নাছুত মালকুত জবরুত আরও চার মোকাম
চার মোকামে জান গঠলেন সোবহান,
আর মোকাম আছে ভুবন খবর পান। ।
এই অজুদে আছে তিনশত ষাইট জোড়া,
বার লক্ষ তের হাজার তিনশত পচিশ পশম খাড়া
আতশেতে চুল গঠলেন মকবুল,
আর হজ কালিতে চক্ষু করলেন দান। ।
এতই চিজ পয়দা করলেন দয়াময়,
এক লক্ষ ছত্রিশ হাজার দম রাত দিনেতে রয়। ।
দ্বিদমে রব্বানা তার আওনা যাওনা,
আরও উর্ধ্বে সাইয়ের জীবনখান। ।
আর ছয় হাজার আছে খাস ডাঙা তার,
বার হাজার আছে জলাকার, জলা দিয়ে জল,
সাই নিরাঞ্জন মেহের শাহ্ কয় ইরুজান।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।