অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই বাংলাদেশ সরকারে দায় রয়েছে বাংলাদেশের বর্ডারের বাইরে বসবাস করা এথনিক্যাল বাংলাদেশীদের স্বার্থ ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় তৎপর হবার।
আসামে ৪লক্ষ মানুষের জীবন যখন বাংলাদেশী হবার দায়ে বিপন্ন তখন আমাদের সরকার অথর্বের মত আচরন না করে কিছু কুটনৈতিক তৎপরতা চালাবে, এমনটাই সকল বাংলাদেশীর দাবী। কিন্তু সরকার করছে কি???
বার্মা'র বৌদ্ধ'রা বাস থেকে নামিয়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশী বহিরাগত বলে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
আসামে হিন্দু বোডো'রা বাংলাদেশী বলে গরীব মানুষগুলো'কে ট্রেন থামিয়ে পুড়িয়ে মারে।
সকল ক্ষেত্রেই অভাগা মানুষগুলোর ২টা দোষ, বাংলাদেশী আর মুসলিম!!!
মুসলিম পরিচয়ের প্রতি আমাদের দেশের হর্ত-কর্তাদের চুলকানী আছে।
বুঝলাম মুসলিম বলে কাউকে পিটিয়ে পুড়িয়ে মারলেও আমাদের ভ্রুক্ষেপ হয় না, কিন্তু বাংলাদেশী পরিচয়ের কারনে যে মারছে?
এ ব্যাপারে কি ভাবছেন???
বাংলাদেশী সবুজ পাসপোর্টধারীদের শরীরে যদি বিন্দুমাত্র রক্ত প্রবাহিত হয় তবে সেই রক্ত গরম হবার কথা এসব সংবাদে।
আমাদের বিগত সরকারগুলোর নামে রটানা ছিল ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানো'র। বর্তমান সরকার এসে বন্ধুত্বে পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে সেসব বদনাম ঘুচিয়েছে, আমাদের সরকারী নাক বের করে এনেছে, কিন্তু একি??? এখন তো মানুষগুলোকে বর্বরের জাতেরা মেরেই ফেলছে!!!
বাংলাদেশী পরিচয়ের কারনে প্রতিবেশী দেশগুলো'তে যখন নিরীহ মানুষেরা বর্বরদের হাতে নির্মমভাবে মারা যাচ্ছে, এমন সময়ে আমরা কি করছি, আমাদের সরকার কি করছে?
মানুষ হিসেবে, ভারত ও মায়ানমারে'র প্রতিবেশী বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের
নাগরিক হিসেবে আমরা সেদেশে ঘটে যাওয় অত্যন্ত বর্রব এসব সাম্প্রদায়িক ঘটনায় তীব্র ব্যাথিত ও ক্ষুদ্ধ হই। আমাদের দেশে'র ও সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানি তাই বেশি কিছু চাই না, শুধু চাই একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের জাতীয়তা সংশ্লিষ্ট সাম্প্রদায়িক ঘটনাগুলো'তে উদ্বেগ প্রকাশ করতে। এবং ভিক্টিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে।
আমাদের সরকার দয়া করে ভারতের কাছে, আসামের ঘটনায় আমাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন কি???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।