জীবনে সুখের মূল কথা হল - এই পৃথিবীর কেউ বা কোন কিছুই তোমার জন্য নয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বার্মার মানুষ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে জেগের উঠেছে। শুরু করেছে তাদের প্রতিবাদ। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সামহ্যোয়ার কর্তৃপক্ষকে এই আন্দোলনে নিজেদের সমর্থন দেয়ার জন্য।
১৯৪৮ সালে বার্মা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬২ সালে এক ক্যু এর মাধ্যমে সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে যা এখন পর্যন্ত চলে আসছে। মাঝে ১৯৮৮ সালে তৎকালীন সামরিক সরকার জনগণের গনতন্ত্রেরন জন্য দাবীর মুখে পদত্যাগ করলে নতুন একটি সামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহন করে। কাকতালীয়ভাবে সেই বছরই অং সান সুচি অসুস্থ মা'র জন্য দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি সে বছরই গান্ধী দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে "ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি" নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠন সৃষ্টির জন্য গৃহবন্দী হন। ১৯৮৯ সালে সরকার তার গৃহবন্দীত্ব অবসানের ঘোষনা দেয় তাঁর দেশ ত্যাগের শর্ত সাপেক্ষে।
কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
পরবর্তীতে ১৯৯০ এর সাধারণ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জিতলে তাঁর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি। গৃহবন্দী অবস্থায় তিনি নোবেল সহ আরও অনেক পুরস্কার পান। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে তাঁকে গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি দেয়া হলেও বলা হয় যে তিনি যদি তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে লন্ডন যান, তবে তাঁকে ফিরতে দেয়া হবে না। এমনকি তাঁর প্রোস্টেট ক্যান্সারে আংক্রান্ত স্বামীর মৃত্যুবরণের সময়ও তাঁকে যেতে দেয়া হয়নি।
তিনি তাঁর পুত্র এবং পরিবার থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন। ২০০৩ সালে তাঁকে আবারও গৃহবন্দী করা হয়।
গত ২২শে সেপ্টেমবর থেকে শুরু হয়েছে বার্মার জনগণের প্রতিবাদ। সুচি নিজেও তাঁর বাড়ীর গেট থেকে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন জানিয়েছেন। বার্মার জনতা আজ জেগেছে।
একটি দেশের জাতি যখন জেগে ওঠে, তখন কোন কিছুই আর তাদের রুখতে পারে না।
সুচী ইচ্ছা করলেই পারতেন বেনজীরের মত বিদেশে চলে যেতে। কাপুরুষের মত পালিয়ে যাননি তিনি। হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই নেত্রীকে যিনি দেশের জন্য নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন, বিসর্জন দিয়েছেন সকল আনন্দ এবং একটি স্বাভাবিক জীবন। একদিন না একদিন বার্মায় সামরিক সরকারের পতন হয়ে সুস্থ গনতন্ত্র ফিরে আসবে - সেই প্রত্যাশা করি।
সুচীর জীবনী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।