বাইসাইকেলের জন্য লাইসেন্স লাগবে আইডিয়াটি আমার পছন্দ হয়েছিল। অভিজ্ঞতা বলে, লাইসেন্স দরকার হয় এমন বিষযের বা জিনিসের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের বেশ আগ্রহ। যেমন মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সদাআগ্রহ। একদা এদেশের মানুষ রঙ্গীন টেলিভিশনের প্রতি যথ্ষ্টে আগ্রহ দেখিয়েছিলো, এই জিনিস থাকা ছিল আভিজাত্যের একটি অংশ। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী...বেতার-টিভিতে লাইসেন্স লাগতো...আইনগুলো আপডেট হয়নি এখনো....এখন মোবাইলে রেডিও..টিভি..টিভিকার্ড ঘরে ঘরে..এগুলোর জন্য কি আইন? প্রযুক্তির সাথে সাথে আইন আপডেট করার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট/সুপ্রিম কোর্ট কি বলে? তারা কি গ্রামীণ মাওলানাদের মতো ফতোয়াদিতে বেশি আগ্রহী? নাকি বিভিন্ন ইস্যুতে রুল জারীতে ব্যস্ত??? দেশের নবীন আইনবিদেরা কি বলেন এ বিষয়ে? অথবা ধনীর দুলাল-দুলালীরা...যারা অজস্র টাকা খরচ করে বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি পড়ে আসেন? এসব ব্যরিস্টারেরা কি দেশের আইন যুগোপযোগি করতে কোন ভূমিকা রাখছেন?? নাকি নামের আগে বার আ্যাট ল লিখতে পেরেই খুশি? দেশে সাইবার ক্রাইম বেড়েছে...দেশে কি কোন সাইবার আইন আছে...সংসদে যারা বিল পাশ করাইয়া এ্যাক্ট বানাইতে ব্যস্ত তারা কি(অশ্লীল একটি শব্দ লিখতে মন চাইছিল, অনেক কষ্টে নিজেকে বিরত রাখলাম) করেন? নাকি নিজেদের জন্য শুল্কমুক্ত বিলাসী গাড়ি ই যথেষ্ট!! তাদের কে বাইসাইকেলের চেয়ে বেশি কিছু দেয়া কি উচিত? যে পরিমাণ অর্থ খরচ করে বেড়ায় অথবা যে বিলাসি জীবনযাপন তাদের তার তুলনায় তাদের অর্জন কতটুকু? কি টেলিফোনে তারা কিসের ছিঁড়ে তারা!...১৮ বছরের নিচের পোলাপাইনের হাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি...এইডা দিয়ে করা যায়না এমন কোন কাম বা আকাম আছে নাকি আর...এইডার লাইসেন্স বা বয়সের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কই???!!!আইন আছে আইনের জায়গায়...এইগুলোর প্রয়োগ কই! শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষের সুযোগ আরেকটি বেশি কইরা দেওয়া!! ভোটে জয়ী হইতে শুধু সরকারি লোক লাগে নাকি জনগণও লাগে? জনগণ এখর সরকারি হয়ে গেছে...একটা কথা চালু আছে...সরকারি মাল দরিয়াতে ঢাল (মূল কথা বোধহয় উর্দূতে ছিল, সে যাইথাক)...যেহেতু এখন জনগণও সরকারি মাল...তাহলে কি এখন তাদেরকেও দরিয়াতে ঢালা হবে?...সাইকেলের লাইসেন্স করার আগে এইটার বহুল প্রচলন জরুরি ছিল।
সাইকেলের জন্য বা ইন্ঞ্জিনবিহীন যানবাহনগুলোর জন্য দরকার পৃথক একটি লেন...এইডা সরকার/যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বুঝেনা ক্যান! সর্বোপরি আমি এইসব প্রশ্ন কারে করি??? আর কিসের জন্য আশ্চর্যের এই দেশে এতো আশ্চর্য বোধক চিহ্ন দেই!!!! পৃথিবীর প্রথম এবং সর্বশেষ আশ্চর্য এই বাংলাদেশ...অবাক পৃথিবী তাকিয়ে রয়...ক্যামনে চলে এই দেশ!!!
বেশ কয়েকবছর আগে খবরে পড়েছিলাম, কোন এক বিচারপতির জাতীয়পতাকাবাহী গাড়িকে পুলিশে সালাম না দেওয়াতে বেশ হেস্তনেস্ত হয়েছিল...সম্ভবত সাবেক আইজিকে কাঠগড়াতে দাঁড়াতেও হয়েছিল। অথচ...কতো শতসহস্র দূর্নীতি কইরা কাঠগড়াতে দাঁড়াতে হয় না! কালোটাকা সাদা করার আইন হয় এই দেশে অথচ কালোটাকার পাহাড় গড়ার পথ থাকে অবারিত। কোটিপতিরা মনের সুখে গান গাইতে থাকেন: এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো...তু্মিই বলো না...না না না তুমি বলো!
সেই আইজপির কি দূর্নীতির জন্য কোনদিন কাঠগড়াতে দাঁড়াতে হযেছে...পুলিশের হেড হিসেবে পুলিশের যাবতীয় দুর্নীতির দায়ভার কি তাঁর কাঁধে বর্তায় না???! নাকি পুলিশে তখন দুর্নীতি হয় নাই? আর সেইসব দুনীর্তির কোন এক শতকরা অংশও তার পেটে যায় নাই!?
হাইস্কুলে পড়াকালীন সময়ে আমার একটি বাইসাইকেলে নিয়মিত চরার সুযোগ হয়েছিল...লাল রঙের বাইসাইকেল খুবই ভালো চলতো...আমার ভাই কিনেছিলেন..কোনো এক প্রফেসরের কাছে থেকে...তিনি নাকি সেই সাইকেল ব্রিটেনে চালাইতেন...তাঁর পিএইচডি করাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে চলাচলের সুবিধার জন্য কিনেছিলেন...মায়া ছাড়তে পেরেছিলেন না...তাই জাহাজে করে দেশে নিয়ে এসেছিলেন...আমার পিতা স্কুল মাস্টার ছিলেন...তিনিও সেই সাইকেলে চলাচল করতেন।
গত কয়েক বছরে আমাদের এলাকায়...রসুনের বাম্পার ফলন হওয়াতে... এলাকা প্রায় বাইসাইকেলশূণ্য হয়ে গেছে...পোলাপাইনে রসুন বিক্রি কইরা গণহারে মোটর বাইক কিনছে...দুঃখের কথা একটা ওয়ালটনও দেখি নাই...বেশিরভাগই চাইনজি 'ডাই-ইয়াং'...নাকি কি যেন ব্র্যান্ড...চাইনিজ উচ্চারণ আমার ভালো আসেনা। পাশাপাশি...ভারতীয় ডিসকভারি/পালসার/হিরো এইগুলাও অসংখ্য দেখেছি...মনে আছে...৯০ এর দশকে...গ্রামের লোকেরা মোটর বাইক দেখলে ভিঁড় জমাইতো!...এই প্রসংগে আরেকটি কথা মনে পড়ে গেল...সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়...জাপানের লোকজন আমেরিকার মোটরগাড়ি দেখলে..ভিঁড় করতো..নাকি এটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কথা আমার ঠিক মনে নেই...তারপর এখন সময় এমন সমগ্র বিশ্বই ভিঁড় করে জাপানি গাড়ির জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে জাপান যে উন্নতি করেছে তার মূলে কি...? তাঁর মূলে তাঁদের সীমাহীন সহনশীলতা একে অপরের প্রতি...নিরলস পরিশ্রম আর আর অগাধ, নিরেট দেশপ্রেম...আমি শুনেছি জাপানিরা খাবার অপচয় কে প্রচন্ড ঘৃণা করে...কেউ যদি তাদের সামনে খাবার নষ্ট করে তো তারা তাদের আন্তরিক ঘৃণা প্রকাশ করে তার প্রতি। প্রকাশের ক্ষেত্র্র্র্রে তারা নাকি বেশ লাজুক...কিন্তু খাবার নষ্ট করা দেখলে ঘৃণা প্রকাশ করতে তারা লাজ-লজ্জার ধার ধারেনা, তারা বলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমরা এই খাবারের জন্য কতোই না কষ্ট করেছি। আর তুমি এই খাবার নষ্ট করছো!!!
শিল্পাচার্য জয়নুলের ছবি আমি মনে করতে পারি, দুর্ভিক্ষ বিষয়ে তাঁর সেই দুর্দান্ত ছবি...কয়েকটি কাক...শিশু এবং খালি ভাতের থালা...আহা! ৭১ এর বাংলাদেশী শরনার্থীদের অসংখ্য ছবি দেখেছি আমি...দেখেছি ভারতীয় শিবিরে বুভুক্ষু হাত...এক থালা ভাতের জন্য...অসংখ্য হাতের ছবি দেখেছি আমি...সেইসব দিনের কথা মনে রেখেছে কয়জন বাংলাদেশি??!! আজ ঘরে ঘরে কতো খাবার অপচয় হয় আমাদের, তার হিসেব আর করেছে কোন সংস্থা? এ হিসেব করার জন্য যে কোনো বিদেশী ফান্ড বা ভিক্ষা নাই..., জাতি হিসেবে আমাদের ভিক্ষুক ও দৈন্যদশা কবে যে কাটবে!
জাপান বিষযে আমার আরেকটি ঘটনা মনে পড়ে গেল...এই তো অল্পকিছুদিন আগে আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডোনার ফান্ডেড এমফিল প্রোগ্রাম ও কলাবোরেটিভ গবেষণা কোঅর্ডিনেট করি...ঘটনাচক্রে আমাকে একটি রুম দেওয়া হলো...সেই রুমের সে এক বিরাট ইতিহাস...সেটি ব্যবহার করতেন বিএনপিমনা্ এক সহযোগি অধ্যাপক...তাঁর চাকুরি নিয়া জটিলতা তৈরী হওয়াতে তিনি আর অফিস করতে পারেন না (আমিও এখন অফিস করতে পারিনা-আওয়ামি মনা এক শিক্ষকের কাছে এই প্রোগ্রামের ব্যাংক স্টেটমেন্ট চাইছিলাম!!)...তো আওয়ামি মনা শিক্ষকেরা সেটি দখলে রাখার জন্য অথবা অজ্ঞাত কোন কারণে এই রুমের যাবতীয় বিপদাপদসহ রুমটি আমাকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হলো। আমার রুমে আমি বেশ শান্তিতেই ছিলাম...হঠাত কথা শুরু হইলো...আমি কে...কোথা থেকে আসছি...কাদের এমপ্লয়ি...শিক্ষক না অথচ প্রফেসরের রুম নিয়া এক রুমে একা থাকি...বড় বড় প্রফেসর আসে আমার রুমে....আমারে জিগায় তুমি কে...তোমারে তো দেখি নাই কোনদিন...তোমারে এই রুমের বরাদ্দ কে দিলো? আমি কই...আমি কো অর্ডিনেটর...ইংলিশ ইন একশনের সাথে যেই এমফিল প্রোগ্রাম চলে আমি সেইডা কোর্ডিনেট করি......তারা কন...তাইলে তো তোমারে আপনে বলা উচিত....উচিত কাজটি তারা করে না....তারা আমারে আবার জিগায়...তুমি কি আমাদের ছাত্র....আমি কই আমি জাহাঙ্গীরনগর থেকে আসছি...আমারে জিগায়...তুমি কিভাবে এখানে আসলা...আমি মনে মনে কই....কেরোসিন কিনছিলাম এক কেজি...আমি কি কেরোসিন খাইছি...আমারে জিগান ক্যান.......কিন্তু আসলে বলি...সে এক বিরাট ইতিহাস...সেই ইতিহাস আপনাদেরও একদিন বলার ইচ্ছা আছে....
এতো কথা যে কারণে...আমি জাবি থেকে ঢাবিতে আইসা একা এক রুম নিয়া থাকি এইডা অনেকের সহ্য হইলো না....তারা বলাবলি শুরু করলো...কলাভবনের শিক্ষকেরা রুম পায় না করিডোরে...ঘুরে...আর সে কই থেকা (জঙ্গল থেকে নাকি) আইসা...একা এক রুম নিয়া থাকে...উল্লেখ্য যে, আমার সেই রুম ছিল পশ এরিয়াতে...সেখানে কোন সহকারি অধ্যাপকেরও রুম নাই...সব বড় বড় প্রফেসর ও সহযোগি প্রফেসরদের এলাকা...। আপনারা অবাক হইয়েন না...গুলশান, বারিধারা, বনানীর ডিপ্লোমেটিক জোনের এই আইডিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে...বিশেষ করে আই ই আর এ।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।
আমার আরেক কাহিনী মনে পইড়া গেল...আমার প্রোগ্রাম বৈদেশিক কলাবোরেশন হওয়াতে...বিলেতি প্রফেসরেরা আমার অফিসে মাঝে সাঝেই আসতেন..একদিন এক বিলেতি প্রফেসররে নিয়া...ক্যাম্পাস ঘুরাইয়া দেখাইতেছি...আমি কইলাম এইডা ভিসির বাসভবন...উনি অবাক হইলেন...কইলেন ইহা তো দেখি জমিদারবাড়ি...আমাগো দেশের লর্ডরাও তো এমন গুরুত্বপূর্ণ এরিয়াতে এমন বিশাল এলাকা নিয়া থাকবার পারেনা...আমি কইলাম তুমি বুঝো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কি জিনিস...!!তানারা সরকার প্রধান হইবার সিরিয়ালে থাকেন...উনি চুপ মাইরা গেলেন...তারপর আমি আর উনি হাঁটতে আছি...মুসা নবী ও মহাজ্ঞানী খাযা খিযির যেমন হাঁটতে আছিলেন...তারপর উনি দেখলেন....কলা ভবনের পেছনের দিকে...তিনি জিগাইলেন...উহা কি বিজনেস অনুষদ...আমি অবাক হইয়া কইলাম তুমি ঠিক ধরিয়াছো...কিন্তু তুমি ইহা কিভাবে অনুধাবন করিলা? উনি কইলেন...সামনে দেখতেছি অনেকগুলা দামি দামি গাড়ি....আর পৃথিবীর প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টির সামনে তুমি দামি দামি গাড়ি দেখিতে পাইবা...যাইহোক ইহার পরে গ্লাস্তনস্ত ও পেরেস্ত্রাইকা বিষয়ে তাহার সহিত সামান্য আলোচনা হইলো...উনি আমারে জিগাইলেন...তোমার মাইনর কি ইকোনোমিকস আছিলো নি? আমি কইলাম...আমি ইন্টিগ্রেটেড কোর্স হিসেবে ইকোনোমিকস পড়ছি...কিন্তু রাশান রিফোর্ম পড়ছি অন্য কারণে....ছোটবেলায় অনেক রাশান রুপকথা পড়ছি...তারপর আমার জন্মের দশকে...স্যাটেলাইট পাঠানো নিয়া ইউএসএ এবং ইউএসএসআর এর যে প্রতিযোগিতা...সেইডা খেয়াল কৈরা....এখনো...রাশিয়া বিষযে আমার আগ্রহ অসীম...রাশিয়া প্রসংগ আসায আমার আবার আরেক কাহিনী মনে হইলো...আমার মাস্টার্সের থিসিসের তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক ছিলেন রাশান পিএইচডি, রাশিয়ার প্রাইম টাইমে উনার পিএইচডি করা...মিখলুকা মেকলে ইনস্টিটিউট অব এথনোলজি থেকে উনার পিএইচডি...আমার কেনো যেনো...রাশান আর আমেরিকান পিএইচডি শুনলে মাথা নিচু হইয়া যায়..যেইডা ব্রিটিশ পিএইচডি শুনলে হয় না..., বাণিজ্যে ব্রিটিশদের জুড়ি মেলা ভার...আরেকজন রাশান পিএইচডি এর কথা মনে করতে পারি...উনি রাশিয়া থেকে সাইবার ইকোনেোমিকস এ পিএইচডি...সাইবারনেটিকস আমার আগ্রহের বিষয়...আমার লেভী স্ট্রস পড়তে হইছিলো...লিঙ্গুয়িস্টিকস এন্ড স্ট্রাকচারালিজম...যাইহোক লেভী স্ট্রস কে অনেকেরেই পড়তে বাধ্য হইতে হয়...কিন্তু আমি পড়েছিলাম আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ থেকে...সাইবারনেটিকস এবং সাইবারনেটিকস এর মূলসূত্র বাইনারি অপজিশন...০/১...এর অপার কম্বিনেশন...কমপিউটারের কাজ করার মূল সূত্র...এমন কি আমাদের মনের ডিসিশান নেবার ক্ষেত্রেও যা মূল ভূমিকা রাখে বোধহয়...নিশ্চয়তার ও অনিশ্চয়তার ঘাত প্রতিঘাতে করা এক বিষম সমীকরণ? অথবা সমাজেরও মূলসূত্র যেমন সকল সমাজেই থাকে ইশ্বরের ধারণার বিপরীতে এক ধারী শয়তান...আবার বাঙলা সিনেমা থেকে শুরু করে সকল দেশেরে সিনেমাতেই থাকে বোধহয়...নায়কদের বিপরীতে এক ভিলেন...আমার আবার হুমায়ুন ফরিদীর কথা মনে পড়ে গেল (কেরোসিন কিনছিলাম এককেজি কইয়া হুমায়ুন আহমেদের কথা আগেই মনে করেছিলাম)...তারপর মনে পড়ছে..গ্রামের এক হুমায়ুন ভাইয়ের কথা উনি ট্রাক এক্সিডেন্টে মারা গেলেন...তার টিনের আর রড সিমেন্টের ব্যবসা ছিল...আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে ছুটিতে বাড়ি গেলে...তার দোকানে বসতাম...আমার পছন্দরে লোক ছিলেন উনি...এক্সিডেন্টের কথা মনে হওয়াতে আমার বোনের কথা মনে পড়ে গেল...উনি মারাগেলেন...এ বছর মে মাসের প্রথম দিকে...তারপর এই সুযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই দুর্নীতিবাজ শিক্ষক আমার পজিশন এবোলিশ করলো (আমার অপরাধ ছিল...আমি প্রোগ্রামের ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট চাইছিলাম তাদের কাছে, তারপর আমার চাকুরি বাঁচানোর জন্য গেলাম...ভিসির কাছে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারির কাছে নিয়মিত...ডিরেক্টরের কাছে প্রতিদিন...ডোনারের হেডএর কাছে হামেশা...ডোনারের হেড এক ডাচ/ নেদারল্যান্ডের লোক যাইহোক এরাও পাক্কা ব্যবসায়ী...ইংরেজী ‘গো ডাচেস’ একটা ফ্র্যাজ আছে..ইডার মানে হইলো হিজ হিজ হুজ হুজ... যার যার বিল সে সে দিবা (সিল দেওসের চিন্তা মনেও আইনোনা) আমরা কোথায় যেন ছিলাম...বাইসাইকেলে...নেদারল্যান্ডে নাকি বাইসাইকেল...যোগাযোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাহন...সেদিন ফেবুতে এক ছবি দেখলাম-নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বাইসাইকেলে কইরা অফিস করতাছে... এইডা অবশ্য আমি পিটার ফিনস্ত্রার (ডাচ ভদ্রলোক) কাছে শুনি নাই নিউজে লিখছে...আপনাদের সাথে আগেই লিংক শেয়ার করছিলাম...আবার কোট করছি...
‘ নেদারল্যান্ডের মত উন্নত রাষ্ট্রে পরিবহনব্যবস্থার ২৭ ভাগ জুড়েই আছে সাইকেল, আর নগর জীবনে তা ৫৯ ভাগ’...যাইহোক আমার চাকুরি বিষযে ভিসি...শিক্ষক নেতারা কি কইলেন সেইডা আরেকদিন কমুনে...সাইকেল নিয়া লিখতে আছিলাম সাইকেলেই থাকি...আমার বোন মারা গেলেন মোটর সাইকেলের পিছন থিকা পইড়া...মাথায় হেলেমেট আছিলো না...আর সম্ভবত সিল্কের বোরকা পড়ে ছিলেন....আমার বোন...যার কোমরে দাগ পইড়া গেছিল আমারে কোলে রাখতে রাখতে....মায়ের বকুনি আর মাইর খাওয়ার পর যার সাথে আমার চুক্তি হয়েছিল বাড়ি ছেড়ে স্থানীয় হাসপাতালেরে পাশে বাড়ি কইরা থাকার...অথচ দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে নেবার আগেই মারা গেলেন তিনি....আমি রাস্তায় মোটর বাইকে চরা মেয়েদের হেলমেট পড়তে দেখিনা....এই সেদিন দেখলাম...এক মেয়ে পড়ছে...অথচ চালক পড়ে নাই....দেখে মনে হলো আহা আমার বোনের মাথায় যদি হেলমেট পড়া থাকতো...আবার মনে হচ্ছে...আরেক যোগাযোগমন্ত্রীর কথা..উনি আকাশবাহিনীর প্রধানও আছিলেন...ধুরো....আবার আকাশবাহিনী ক্যান লিখলাম ক্যামন জানি আকাশবানী আকাশবাণ লাগতেছে...যা্ইহোক আকাশবাহিনী প্রসঙ্গে আবার সেনাবাহিনীর কথা মনে পড়ে গেল...সেনাবাহিনীরে ভারতীয় বাঙলায কি কয এইডা মনে হইতেছে না...পানিপথে যারা যুদ্ধ করে তাগো বোধহয় তারা জলসেনা কয়!...যাইহোক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নাকি ক্যান্টনমেন্টে মেয়েদেরও মোটরবাইকে আরোহনের সময় হেলমেট পড়তে বাধ্য করেছিলো...পরে নাকি অফিসারগো বউয়েরা অভিযোগ করছে....হেলমেট পড়লে চুল নষ্ট হয়া যায...প্রসাধনে সমস্যা...ইত্যাদি...যাইহোক মিলিটারি পুলিশরা নাকি এখন...আর মোটরবাইকের পেছনে যদি সিভিল নারীও হেলমেট না পড়ে তো তয় তাগোও কিছু কয় না...যাইহোক সেনানিবাসে সিভিলি মিলিটারি এক নিয়ম এইডা ভাবতেও মন খুশি হইয়া যায়...কেমন যেন এক প্রাচীণ সাম্যবাদী সমাজের কথা মনে পড়ে যায়...আহা সাম্যবাদ তুমি আজ কুথায়!সমস্যা নাই আমাগো দেশও এক জ্বলন্ত ইউটোপিয়া...সেনাবাহিনীর কথা মনে পড়ায় বিডিআর হত্যা পিলখানা ট্র্যাজিডির কথা মনে পড়ল আচ্ছা এই ঘটনার নেপথ্যে কারা এইডা কি আমরা কখনোই জানতে পারবো না?
নানা কাহিনী মনে পড়ায় আপনাদের আসল কাহিনী কইতে পারলাম না..আরেকদিন কমুনে...এখন একটা সাইকোলজিক্যাল থিওরি দিয়া শেষ করি...আমি সাইকোলজি পড়ি নাই...দুএক পৃষ্ঠা পড়ার চেষ্টা করেছি....এর চেয়ে দূরে যাইতে পাড়ি নাই...আমার মনে হইছে মানুষের মন বিচিত্র ও অদ্ভুত বিষয়...এইডা সাইকোলজি পইড়া পাঠোদ্ধার সম্ভব নয়...দূর ছাই, মানুষের মন মনে হওয়াতে...আার আবার নারীর মন....আবার স্টিফেন হকিংস মনে পইড়া....ব্যাপক রহস্যময়তা...ও হ্যাঁ কে কয় আমি সাইকোলজি পড়ি নাই...আমি ফ্রযেড পড়ছি.....তাঁর এনালাইসিস অব ড্রিমস পড়ছি...সেক্স বিষযেও অনেক লেখা পড়ছি বোধহয়...মাস্টার্স পাশ করছি....কাগজে কলমে ১২ বছর হইয়া গেল...আহা সময় কত দ্রুত যায়...অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হইছি...১০ বছর হইছে....এই হিসাবের গড়মিল....বিদেশি....বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরে দিতে দিতে আমার জান শেষ হইয়া গেল....তারা আবার জিগায়...মাস্টার্স পড়া শুরু করছো কবে...তারিখ, মাস, সাল লেখো....আমি ভাবি...এইডা তো...আমার বিশ্ববিদ্যালয় ও মনে রাখে নাই...কিন্তু ক্লিয়ারেন্সের সময় মাত্র ২ টাকা নেয়ন লাগবো এইডা ঠিকই মনে রাখছিলো...সেই ২ টাকা দেয়নের জইন্যে ২ দিন ধইরা...প্রায় ১০০ টাকা খরচ করণ লাগে...আহা বিশ্ববিদ্যালয়...এখন মনে হইছে বাংলাদেশের আসল সমস্যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে...কাজেই এইখান থিকাই সমস্যার নির্মূল শুরু করণ দরকার। শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধকরণ অথবা বন্ধ্যাকরণ দরকার...ছাত্ররা রাজনীতি না করলে চলবে ক্যামনে...কিন্তু তারা রাজনীতি করবে...নিজেদের স্বার্থে...তাদের শিক্ষা সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে...লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি না.....আহা রাজনীতি....আহা আন্দোলন...পুলিশের গুলি...মনে পড়ে...৯৭ এবং এর পরে আরেকবার....পুলিশে ডিরেক্ট গুলি করছিলো এমএইচের মাঠের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের...আমার কানের পাশ দিয়া গেছিল....৩ ডা গুলি....পরেরদিন ভোরে...গুলির খোসাগুলো....কুড়াইয়া আনছিলাম...আহা আবার মনে পড়ে গেল...বিপ্লবের কথা...আমাদের পরের ব্যাচ এ ভর্তি হয়েছিল বিপ্লব...আমারে বারবার বলতেছিলো....ভাই....সামনে যাইয়েন না....পুলিশে...গুলি করতেছে ভাই....আপনার না মাস্টার্স শেষ...শুধু থিসিস জমা বাঁকি....আপনি এখন মইরেন না ভাই....সামনে যাইয়েন না ভাই....আহা বিপ্লব... বিপ্লব ও মারা গেল...কিন্তু কিভাবে?! আমি জানিনা এখনো। হুমম এদেশ থেকে বিপ্লব তো সেই কবেই মরে গেছে...বিপ্লব রা মারা যায়...বিপ্লবের যাবতীয় সম্ভাবনা মারা যায়...থাকে শুধু মুখোমুখি বসিবার একরাশ অন্ধকার আর জীবনানন্দের বনলতা সেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।