নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই
বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় বাইসাইকেলে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যানজটের এই নগরীতে সহজে যাওয়া-আসা করা যায় বাইসাইকেল দিয়ে। তাই দিন দিন রাজধানীতে বেড়েই চলেছে বাইসাইকেলের সংখ্যা। স্বচ্ছন্দে সব জায়গায় যাওয়ার জন্য বাইসাইকেল বেশ ভাল একটি যান এমনটাই মনে করেন চালকরা। তাই সময় আর শ্রম তো বটেই সৌখিনতার অনুষঙ্গ হিসেবে বাইসাইকেলের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে।
তাছাড়া ফিটনেস বজায় রাখার চমৎকার উপায় হলো সাইক্লিং। দিনে মাত্র ৩০ মিনিট বাইসাইকেল চালালে ডায়াবেটিস ও স্থুলতার ঝুঁকি কমে যায়। সুস্থ মজবুত হাড়, পেশি ও অস্থিসন্ধি গঠনেও সাহায্য করে সাইক্লিং।
বর্তমানের তরুণদের রুচির কথা ভেবে বিভিন্ন বাইসাইকেল কোম্পানি বৈচিত্র্য এনেছে ডিজাইনে। দেশের বেশিরভাগ বাইসাইকেল মূলত ভারত, চিন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, কোরিয়া,ইতালি থেকে আমদানি করা হয়।
এছাড়া আমাদের দেশের বেশ কয়েকটা কোম্পানিও বাইসাইকেল প্রস্তুত করছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বাজারে সমাদর বাড়ছে বাংলাদেশের বাইসাইকেলের। দেশীয় সাইকেল নির্মাতাদের মধ্যে মেঘনা গ্রুপ, এইস বাইসাইকেল লিমিটেড ,ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল কোম্পানি ,সিরাজ বাইসাইকেল এবং জার্মান-বাংলাদেশ বাইসাইকেল ইতোমধ্যেই সাইক্লিস্টদের নজর কেড়েছে।
দেশে বাইসাইকেলের সবচেয়ে বড় বাজার হচ্ছে ঢাকার বংশাল। এছাড়া সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড, উত্তরা, সায়েদাবাদ, ধানমন্ডি,গুলশানসহ ঢাকার বড় বড় মার্কেটে বাইসাইকেল পাওয়া যায়।
বংশালের ‘নওয়াব অ্যান্ড সন্স’এবং ‘মাস্টার বাইসাইকেল স্টোর’-এ পাওয়া যায় বিখ্যাত ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকমের বাইসাইকেল।
এছাড়া ধানমন্ডির এ.আর .এ সেন্টারের লায়ন বাইসাইকেল স্টোর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও তেজগাঁও লিংক রোডের ‘সাইকেল লাইফ এক্সক্লুসিভে’ গিয়ে খুঁজে নেওয়া যাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড বাইসাইকেল।
বাইসাইকেল বাজার ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয় বাজারে বাইসাইকেলের দাম মোটামুটি ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে,তবে ভালো শো-রুমের সংখ্যা খুবই কম। বংশালে সাইকেলের ৫০-৬০টা দোকান রয়েছে;কিন্তু ব্র্যান্ডেড বাইসাইকেল কেনার জন্য দু-তিনটা দোকানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশের বাজারে ইংল্যান্ডের তৈরি র্যালি,ইতালির তৈরি বিয়াঙ্কী, কানাডার তৈরি ট্রেক, হিরো রেঞ্জার ম্যাক্স,ডায়মন্ড ব্যাক,ফুজি ও তাইওয়ানে তৈরি মেরিডা, ফরমেটসহ নানা ধরনের বিখ্যাত ব্র্যান্ডের বাইসাইকেল পাওয়া যায়।
বাইসাইকেলর দাম নিয়ে ক্রেতাদের যেমন অভিযোগ রয়েছে, তেমনি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। তারা বলেন, আমদানির ক্ষেত্রে কর আরোপ করা হয় ৯১ শতাংশ,যা এর মূল দামের কাছাকাছি। অথচ পার্শবর্তী দেশগুলোর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি কর আরোপ করলেও তা ৫০ শতাংশের বেশি নয়।
মাস্টার সাইকেল স্টোরের নির্বাহী পরিচালক আরিফ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বাইসাইকেলের জোয়ার এসেছে। এতে করে সরকার লাভবান হচ্ছে।
রাজধানীতে বাইসাইকেল চালানোর জন্য আলাদা লেন করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
পরিবেশের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাইসাইকেল ব্যবহার জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রাখছে। গণমানুষের এ সচেতনাতা তখনই কার্যকর হবে যখন প্রশাসন সহায়ক ভূমিকা নেবে। কিন্তু ঢাকাকে বাইসাইকেল সংস্কৃতির এক প্রাণবন্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন কিছু উদ্যোগের। ব্যস্ত শহরের সর্বত্র সাইকেলে চলাচলের জন্য পৃথক লেন,রাস্তাসহ ঢাকার বিশেষ বিশেষ পয়েন্টে আলাদা বাইসাইকেল স্ট্যান্ড তৈরি এখন বেশ জরুরি
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।