আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালো শ্রোতা/ভাল প্রেমিক আর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কোডের গুরুত্ব

কখগ বেশিরভাগ ছেলে/পুরুষই মেয়েদের মুডসুইং অথবা নারী মনের অস্থিতিশীলতাকে ভয় পায়। নারীর বিভিন্ন ধরণের মেজাজ আর তার জটিলতার কারণ খুঁজতে গিয়ে মাঝে মাঝে সম্পর্কের ব্যপারেই তার মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করা শুরু করে দেয়। নারীর মনের জটিলতা মাঝে মাঝে আমাদের বোঝার এতই বাইরে থাকে যে তা হয়ে উঠতে পারে বিরক্তিকর। আর এই জটিলতা যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় পুরুষের মনের একটি অংশ একে ভয় করতে শুরু করে। হয়তবা আপনার সঙ্গিনীর মুডসংক্রান্ত জটিলতা এতটাই রহস্যময় এবং আপনার বোঝবার বাইরের একটা ব্যপার যে, তার আশেপাশে থাকার চাইতে দূরে থাকাটাই এসময় আপনার কাছে সহজতর মনে হবে।

আসলে বেশিরভাগ পুরুষই নারীর আবেগিয় জটিলতা কে ভয় পায় অথবা প্রচন্ড ভাবে তাকে ঘৃণা করে থাকে। আর এজন্যই এই জটিলতাকে সে হয় খুব তাড়াহুড়া করে সমাধান করতে চায় নয়তবা তা থেকে পালিয়ে বাচতে চায়। “তোমার পাগলামি থামলে তারপর আমার সাথে কথা বলতে এসো। ” এমনটা বলেই পার পেতে চায় বেশিরভাগ ছেলে। ভুলে যায় যে সে না শুনতে চাইলে বাধ্য হয়েই মেয়েটি হয়তোবা অন্য কাউকে এ কথাগুলো শোনাবার জন্য অস্থির হয়ে উঠবে, আর তাছাড়া সে কেনই বা আপনার সাথে সম্পর্কে জড়াবে যদি তার সমস্যার সময় আপনি তার কাছে না থাকেন।

আগের জেনারেশনের সময় মোবাইল ফোন না থাকায় প্রেম যেমন কষ্টের ছিল সেরকম তার ছিল অগণিত সুবিধা। ফোনে দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলবার বিলাশিতা করবার সুযোগ তাই তাদের ছিল না। তাদের ক্ষেত্রে তাই মূল ঝগড়াঝাটি শুরু হতো বিয়ের পর। আর টেকনোলজির হটাৎ আগমন আমার মতে এখনকার দিনের কমবয়সী ছেলেমেয়েদের প্রেম-ভালোবাসার জন্য সবচাইতে বড় জটিলতা। মেয়েদের কাছে জিজ্ঞেশ করে দেখুন আদর্শ প্রেমিকের গুণাবলী।

লিস্টের একদম প্রথমেই যে “ভাল শ্রোতা” থাকবে এতে কোন সন্দেহ নেই। এই গুনটি যে নিঃসন্দেহে খুবই ভাল এবং আকর্ষনীয় সেটাও ঠিক। তবে সঠিক জ্ঞান অথবা মনোভাবের অভাবে এটিই হতে পারে প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে দূর্যোগের অন্যতম প্রধান কারণ। বিশেষ করে ভালো ছেলেরা বুঝতে পারবে যে, “গুড লিসেনার” হওয়া আর “গুড লাভার” হওয়া মাঝে মাঝে হয়ে দাঁড়ায় দুই ভিন্ন মেরুর মত। খুব ভালো শ্রোতা হবার পরেও মাঝে মাঝে মেয়েরা কেন ভালো ছেলেদের প্রেমিক হিসাবে মানতে পারেনা এ প্রশ্নটি অনেক ছেলেই করে থাকে।

উলটো দেখা যায় যে ব্যাড বয় টাইপ প্রেমিকের সাথে সম্পর্কের সমস্ত সমস্যা শুনতে হয় তথাকথিত “ভালো শ্রোতা” ছেলেটির। বিশেষ কিছু কারণে ভালো শ্রোতা হবার এই যুক্তিটা প্রায় সময়ই বিশেষত ভালো ছেলেদের জন্য সৃষ্টি করে একটি বিভ্রান্তিকর প্যারাডক্সের। এ বিষয়টিই আজ অনুসন্ধান করা যাক। ভালো শ্রোতা হতে গিয়ে ভালো ছেলেরা সবচাইতে বেশি যে ব্যপারটা ভুল করে তা হলো নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় না রাখতে পারা। বরং একটি মেয়েকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে অনেকসময়ই নিজস্ব দর্শন অথবা মতবাদের সাথে আপোস করে ফেলে।

এ ব্যপারগুলো খালিচোখে না দেখা গেলেও একটি মেয়ের অবচেতনে কিন্তু ব্যপারগুলো ঠিকই ধরা পড়ে। অর্থাৎ ঠিক যাকে সাপোর্ট করতে গিয়ে ভালো ছেলেরা নিজের সাথে আপোস করে বসলো ঠিক তার চোখেই মনের অজান্তে সম্মান হারিয়ে ফেললো। আর আপাত দৃষ্টিতে এসব ছোটখাট ব্যপার সম্পর্কের জন্য দীর্ঘমেয়াদে হয়ে দাঁড়ায় অনেক অশান্তির কারণ। আবার ঠিক উল্টো ব্যপারটা হলেও যে প্রেমিকার সাথে ঝগড়া লেগে যাবে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। তবে কিভাবে এই বিশেষ সমস্যাটির সমাধান করা যায় ? “Men require authenticity from women Women require integrity from men.” এই কথাটিকে ব্যাখ্যা করা যায় এভাবে, পুরুষ হিসাবে আমরা চাই যে মেয়েদের মনের মধ্যে ঠিক কি চলছে সেটা যেন সে যথাযথভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করে, কারণ মেয়েদের তুলনায় পুরুষের আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা কম থাকায় প্রায়ই একটি মেয়ের আবেগ সে সঠিকভাবে বুঝতে ব্যর্থ হয়।

[ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত যে মেয়েদের রাইট ব্রেইন অথবা ইমোশনাল ব্রেইন ছেলেদের তুলনায় বেশি কাজ করে, অন্যদিকে ছেলেদের লেফট ব্রেইন অর্থাৎ লজিকাল ব্রেইন প্রকৃতিগত ভাবে অধিক শক্তিশালী। ] আর এজন্যই মেয়েদের ওপর আমরা অনেকাংশেই নির্ভর করি তার আবেগটি সঠিকভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। তাদের এই ব্যপারে নির্ভেজালত্ব সম্পর্কের জন্য খুবই জরুরী, এমনকি তা পুরুষের জন্য বিরক্তিকর হলেও। এতে দু-পক্ষের মাঝে আবেগীয় ফাটল বা শুণ্যস্থান তৈরি হবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়। পুরুষ হিসাবে আমরা প্রায়ই আমাদের মনের গোলমেলে আবেগগুলোকে চাপা দিয়ে রাখি এবং সমাধানযোগ্য ব্যপারগুলোয় মনোনিবেশ করি, সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যা পরিপূরক হিসাবে কাজ করে।

দুজনেই প্রচন্ড আবেগী অথবা দুজনেই যুক্তিনির্ভর হলে বরং তা সম্পর্কের জন্য মন্দ হয়ে দাঁড়ায়। বরং একজন আরেকজনের পরিপূরক হলে তাদের মাঝে দায়িত্ব ভাগ করে নেবার মনোভাবও সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয়। পুরুষের প্রথম দায়িত্ব তাই মেয়েটিকে নির্ভেজাল ভাবে তার আবেগ প্রকাশ করতে দেয়া তার আবেগীয় অস্থিতিশীলতাকে বিচার না করে, এমনকি সেটা তার কাছে পাগলামি মনে হলেও। এর ফলে মেয়েটির মাথার ভেতরে ঠিক সে মূহুর্তে কি চলছে তা সে জানতে পারবে এবং অতপর ঠান্ডা মাথায় তার একটি মীমাংসা বের করতে পারবে। মেয়েটি যদি নিজেকে অথবা আপনাকে মিথ্যা বলে থাকে, সে যদি নিজের অনুভুতিগুলো বুঝবার মত পরিণত না হয়ে থাকে অথবা সত্য প্রকাশে ভয় পেয়ে থাকে তবে সেই সম্পর্কের অবস্থা হবে স্টিয়ারিং হুইল অথবা ব্রেক ছাড়া একটি রেসিংকারের মত, একে অপরের সুখের কথা চিন্তা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি সম্ভাব্য দেয়ালে সংঘর্ষে লিপ্ত হবে এই গাড়িটি।

ভালো শ্রোতা হতে হলে তাই একজন পুরুষকে একই সাথে বেশ কয়েকটি ব্যপার খেয়াল রেখে চলতে হবে। প্রথমেই যখন মেয়েটি তার কথাগুলো বলতে চাইবে তা শুনতে হবে মন দিয়ে। সমাধান করার চেষ্টা না করে। এ ব্যপারে যদি প্রথম থেকেই নিজের সততার ব্যপারটি আপনি প্রতিষ্ঠা করে থাকেন তবে মেয়েটি নিজের অনুভুতিগুলো নিরাপদ ভাবে আপনার সাথে শেয়ার করতে পারবে। তিনটি স্টেপে ব্যপারটা খুব সচেতনভাবে আপনি মেনে চলতে পারেন।

১। প্রথমেই তার কথার মাঝে তাকে বাঁধা না দিয়ে অথবা কোনরকম প্রতিক্রিয়া না করে শোনা। ২। এরপর সে ঠিক যা বলতে চাইছে তাই আপনি বুঝেছেন কিনা সেটা বোঝাপড়া করে নেয়া যাতে সে বুঝতে পারে যে তার কথা আপনি পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। ৩।

এবার আপনি ব্যপারটির আরো গভীরে প্রবেশ করতে পারেন। ঠিক কখন থেকে সে এমনটি অনুভব করছে অথবা আগেও কি কখনো তার এমন হয়েছে কিনা। কি থেকে এটার শুরু হলো ? কি করলে তার ভালো লাগবে বলে সে মনে করে। ৪। আপনার নিজস্ব নীতি এবং দর্শন অনুযায়ী সততার সাথে তাকে দিক-নির্দেশনা দেয়া।

নির্ভেজাল ভাবে তার অনুভুতির প্রকাশ পুরুষের জন্য নারীর একটি উপহারসরুপ। এতে আপনার প্রতি তার বিশ্বাসের একটা উদাহরণ থাকে। আবার শুধু তার কথা পরিস্কারভাবে শুনেই কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসার একটা সহজ উদাহরণ আপনিও তাকে দিচ্ছেন। তবে এর ঠিক পরের জায়গায়ই একটা বিশাল খুঁত আছে। আপনার নিজের দর্শন এবং নীতিগুলোর ব্যপারে নিজের সাথে সৎ না হলে মেয়েটির নির্ভেজাল আবেগের বহিঃপ্রকাশ অপচয় হবে এবং আপনার প্রতি তার সম্মান সে হারিয়ে ফেলতে শুরু করবে।

আর সততা বলতে মূলত বোঝায় নিজস্ব দর্শনগুলো কতটা গভীরভাবে একজন পুরুষ মেনে চলছে ঠিক তাই। নিজস্ব বিশ্বাসগুলোর ব্যপারে সচেতন এবং তা গভীরভাবে মেনে চলা পুরুষকে মেয়েরা তাদের আবেগীয় বুদ্ধি দিয়ে নিজের অজান্তেই বুঝে ফেলতে সক্ষম আবার একইভাবে নিজের সাথে অসৎ ব্যক্তিদেরকেউ একটু মাথা খাটালেই মেয়েরা ধরে ফেলতে পারে তার প্রকৃতিপ্রদত্ত বিশেষ ইনটুইশন দিয়ে। তাই একজন সৎ এবং পরিণত ব্যক্তিত্বের অধিকারী ব্যক্তি যখন তার নিজস্ব বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে তার প্রেমিকাকে তার সমস্যার একটি সমাধান দিবে তখনই মেয়েটি তার আস্থার ওপর এবং সততার ওপর তার ভালোবাসা এবং সম্মান অনুভব করবে। এবং এ ব্যপারে আপনার দর্শন মজবুত হলে আপনি অবশ্যই তা মেনে চলবেন, মেয়েটির আবেগ তাকে যাই বলুক না কেন। অবশ্যই আপনার ব্যক্তিগত জীবনের বিশ্বাস অথবা দর্শন কি হবে তা নিয়ে অন্য কেউ আপনাকে কিছু বলতে পারেনা, তবে এ লেখাটার মূল কথা হলো যে আপনার অবশ্যই শক্ত কিছু বিশ্বাস, দর্শন এবং নীতি থাকা উচিৎ।

এর মানে এমন নয় যে আপনাকে একদম আপোষহীন চরিত্রের লোক হতে হবে। তবে নিজের জীবনে একটা কোড আপনার অবশ্যই থাকা উচিৎ, যেটার প্রতি একজন নারী সম্মান করতে পারে। উদাহরণস্বরুপ বলতে পারি যে, আমার ব্যক্তিগত জীবনে আমি এমন কোন নারী অথবা পুরুষের সাথে সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নই যারা স্বভাবগত ভাবেই শুধু অভিযোগ করতে অভ্যস্ত অথবা চরম মাত্রায় নেগেটিভ। বরং আমি এমন বন্ধুবান্ধব পছন্দ করি যারা ব্যক্তিগত জীবনে নিজেকে ভিকটিম হিসাবে না দেখে পজিটিভ মনোভাবে বিশ্বাসী। বিশেষ করে শুধুমাত্র অন্যের সহানুভূতি আদায়ের লক্ষ্যে নিজেকে ভিকটিমের আসনে ফেলা ব্যক্তি থেকে আমি সবসময় নিজেকে দূরে রাখতে পছন্দ করি।

খুব বেশি হলে দু-একবার পজিটিভ উপদেশ দেবার পরে নিজেকে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলাই আমার অভ্যাস। বন্ধু অথবা কাছের লোক হিসাবে আমার তাদেরকেই পছন্দ যারা জীবনকে স্বচ্ছ ও পজিটিভভাবে দেখতে আগ্রহী এবং যারা তার ব্যক্তিগত জীবন তথা সমাজকে উন্নত করবার জন্য সবসময় নতুন নতুন উদ্ভাবনী কৌশল তৈরি করে যাচ্ছে। আপনার পেশা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে অবশ্যই আপনার উচিৎ নতুন কোন চাকরি অথবা ব্যবসা শুরু করবার চেষ্টা করা, বসকে ভালো না লাগলে চেষ্টা করুন সেটা নিয়ে অভিযোগ না করে তার সমাধান করতে, বাবার সাথে বনিবনা না হলে চেষ্টা করুন তার সাথে আরো উন্নত উপায়ে যোগাযোগের উপায় খুঁজে বের করতে অথবা সম্পর্কের মাঝে স্বচ্ছ কোন সীমানা স্থাপন করতে। পজিটিভভাবে জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আগ্রহী ব্যক্তিত্ব সবসময়ই আকর্ষনীয়। আর এটা যদি হয় আমার দর্শন, তবে জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে তা মেনে চলতে পারলেই একমাত্র আমার আত্মসম্মান প্রতিষ্ঠিত হবে।

যতক্ষণ না পর্যন্ত এ ব্যপারটি একজন পুরুষ মানুষ গভীরভাবে মেনে চলতে পারবে ততদিন তার সম্পর্কের মাঝে বিভিন্নভাবে সমস্যা দেখা দিতে থাকবে। আমি যেহেতু নিজেকে ভিকটিমের আসনে ফেলতে আগ্রহী নই, এমন কোন মেয়ের সাথে আমি অবশ্যই সম্পর্কে যাবো না জীবন নিয়ে অভিযোগ করা যার অভ্যাস। আর যদি সে তারপরেও অভিযোগ করেই থাকে তবে তার সম্পূর্ণ কথা শোনবার পর অবশ্যই তাকে আমি আমার নিজস্ব কোড অথবা দর্শনের কথা মনে করিয়ে দেবো। এবং আমাকে নিয়ে যদি কারোর কোন সুস্পষ্ট অভিযোগ থেকে থাকে তবে আমি বলবো যে, “আপনার/তোমার অভিযোগটিকে বরং একটি অনুরোধ হিসাবে নেয়া যাক। এটা যদি এমন কিছু হয়ে থাকে যা আমি করতে পারবো, তবে অবশ্যই আমি তা করবো।

আর আমার নিজস্ব দর্শনের সাথে তা মানানসই না হলে আমি দুঃখিত, এ ব্যপারে আমি কিছু করতে পারবো না। ” তবে নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোর ব্যপারে সচেতন থেকে প্রতিনিয়ত তা উন্নয়নের দায়িত্বও প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত কোডে থাকা উচিৎ বলে মনে করি আমি। মনে রাখতে হবে যে মানুষ হিসাবে আপনি আমি কেউই নিখুঁত নই। তবে নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নিজের মনের অজান্তেও কাউকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত রাখবে আপনাকে। আপনার কাছে মনে হতে পারে যে, মেয়েটি আপনাকে এখন অপছন্দ করতে শুরু করবে, হয়তবা করবেও, তবে তা শুধু একটা ছোট্ট মুহুর্তের জন্য।

আর তার পরপরই নিজের ব্যপারে আপনার আস্থা আর নিজস্ব নীতির সাথে আপনার সততা তাকে আপনার প্রতি আরো আকৃষ্ট করে তুলবে। এটা এমন একটা গোপন তথ্য যা মেয়েরা অবচেতনে জানলেও অনেক ছেলেরা হয়তবা জানে না - আপনার চরিত্রের শক্তিমত্তা আর সততা যদি এতই কম হয় যে আপনি তার আবেগের কাছেই পরাজিত হন তবে কিভাবে আপনি পুরো পৃথিবী অথবা সমাজের হিংস্রতা থেকে তাকে রক্ষা করবেন? নিজের গভীর দর্শনের সাথে পুরুষের সততা মেয়েদের কাছে আকর্ষনীয়, আরেকটু আধুনিক ভাবে বললে সেক্সি। সততার সাথে প্রেমিকাকে দিক-নির্দেশনা দিতে পারাটাও সেক্সি। এরফলে আপনার প্রতি তার সম্মান যেমন অটুট থাকবে তেমনি আপনার প্রতি তার আস্থা হবে নিখুঁত। কারণ সে জানে যে যে কোন বিপদে আপনার ওপর সে ভরসা করতে পারে।

আর এমন সৎ চরিত্রের পুরুষকে ভালোবাসতে পারাটাই তার সবচাইতে বড় চাওয়া। সবশেষে মনে রাখতে হবে যে, জীবনে আসা নারীর সমস্যাগুলোকে দেখবার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একজন পুরুষের নিজের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা যায়। আপনি যদি এমন কেউ হয়ে থাকেন যে তার জীবনের নারীর আবেগকে একটি ছোট্ট বাক্সের মাঝে বন্দী করে রাখতে আগ্রহী, তবে জীবনের উত্থানপতনের ব্যপারেও আপনার দৃষ্টিভঙ্গি খুবই সংকীর্ণ হবার সম্ভাবনাই বেশি। আর জীবনের ছোটখাট সব ব্যপারে নিজে জড়িত না হয়ে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়ার মনোভাবই যদি আপনার মধ্যে অধিক পরিমাণে থাকে, তবে ধরে নেয়া যায় যে আপনার জীবনের নারীর সমস্যা সমাধানের জন্যও আপনার জায়গায় অন্য কেউ চলে আসবে। পরিশেষে টমাস পেইনের একটি উক্তি দিয়েই আজকের লেখার ইতি টানছি।

"I love the man that can smile in trouble, that can gather strength from distress, and grow brave by reflection. 'Tis the business of little minds to shrink, but he whose heart is firm, and whose conscience approves his conduct, will pursue his principles unto death." ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.