আমাদের দেশে অনেকদিন ধরেই অল্টার্নেটিভ সিনেমা বা বিকল্পধারার চলচ্চিত্রের উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ ধরনের মুভমেন্ট বাংলাদেশে নতুন নয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই হয়েছে। যে দেশেই মূলধারার চলচ্চিত্র প্রভাবশালী, সে দেশেই এ ধরনের মুভমেন্ট দেখা গেছে। মূলধারার চলচ্চিত্র বলতে বুঝায় দেশের সাধারণ এবং অধিকাংশ দর্শক যে ধরনের ছবি দেখতে চায়।
আর বিকল্পধারার প্রয়োজন পড়ে যখন মূলধারার চলচ্চিত্র বুদ্ধিজীবী ও উচ্চশিক্ষিত সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়। উদাহরণ হিসেবে কিছু পোস্টার শেয়ার করছি
এফ ডি সি নির্মিত বেশিরভাগ ছবির পোস্টার এ ধরনেরই হয়। এ ছবি দেখে হয়ত আপনি নাক সিট্কাচ্ছেন। কারণ এ ধরনের ছবি আপনার রুচির মধ্যে পড়ে না। এখন নিচের পোস্টারগুলো দেখুন।
আপনার মত ইউরোপ বা আমেরিকার শিক্ষিত এবং বুদ্ধিজীবী সমাজের মানুষ এ ধরনের পোস্টার দেখলে নাক্ সিট্কে থাকেন। এসব ছবি তাদের রুচিতে প্রচন্ড বাধে। তাই তারাও বিকল্প ধারার চলচ্চিত্রের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
এখন লক্ষ করুন বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্র আর ইউরোপ-আমেরিকার মূলধারার চলচ্চিত্রের মধ্যে মূল তফাৎটা কোথায় দেখছেন? আসল পার্থক্য হল এদের কাজের দক্ষতা এবং কৌশল-গত পার্থক্য। উন্নত দেশের চলচ্চিত্র অনেক বিশাল পরিমান অর্থ ও দক্ষতা দিয়ে তৈরি করা হয়।
অথচ বিষয়বস্তু প্রায় একি। সামাজিক এক্শন ধর্মী, হাস্য-রসাত্ব্যক বা প্রেমের ছবি।
ভলিউম -১ শেষ করলাম। আপনাদের মতামত জানাবেন। এ বিষয়বস্তু নিয়ে আরো গভীরে আলোচনা করব।
তখন আরো পরিষ্কার হবে অনেকের কাছে।
মি মিত্তির
চলচ্চিত্র প্রযোজক/সমালোচক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।