এর্ডোয়াডো লেলাইট,২৪ সামান্যর জন্য চোখ হারানো থেকে রক্ষা পায় এবং লৌহদন্ডটি তার শক্ত হেট দিয়ে বিদ্ধ হলে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে,এটি মাথার পেছন দিয়ে প্রবেশ করে দুই চোখে মধ্যদিয়ে বেরিয়ে পরে।
একটি ৬ ফুট লম্বা লৌহদন্ড ৫ তলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ শ্রমিকের মাথায় বিদ্ধ হলে মৃত্যু থেকে সে বেঁচে যায়।
ঐ লৌহদন্ডটি এর্ডোয়াডো লেলাইটের শক্ত হেটে বিদ্ধ হয়ে মাথার উপর দিয়ে ঢুকে দুই চোখের মাঝখান দিয়ে বেরিয়ে পড়ে।
গ্লোব টিভি নেটওয়ার্ক প্রতিবেদনে জানায়, রিও ডি জেনিরিও এর মিগুয়েল কেটো হাসপাতালের ডাক্তারেরা দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার অপারেশন শেষে ২৪ বছর বয়সী লোকটির মাথা থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়।
নির্মাণ স্থানের কর্মীটি কয়েক সেন্টিমিটারের জন্য চোখ হারায় নাই এবং শরীরে একপাশ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।
হাসপাতালের মুখপাত্র, লুজ এসেঞ্জার জানাই -এটি "সত্যিই ছিল একটি অলৌকিক ঘটনা" যে মিঃ লেলাইট বেঁচে গিয়েছিল।
তিনি জানান, তাকে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয়, তার মাথার খুলি খোলা হয়।
তারা ব্রেইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, মাথার যে পাশে লৌহদন্ডটি ঢুকেছিল ঠিক একই পাশ দিয়ে এটি বের করার জন্য সার্জন সিদ্ধান্ত নিল।
মিঃ লেলাইট যখন হাসপাতালে এসে পোঁছায় তখন তার জ্ঞান ছিল এবং ডাক্তারেরা তাকে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে।
ডঃ এসেঞ্জার আরো জানাই, মিঃ লেলাইট ছিলেন প্রাঞ্জল এবং অপারেশনে কোন অসুস্থভাব দেখায় নি।
আজ সে ভাল আছেন, পাঁচ ঘন্টা দীর্ঘ সার্জারির জন্য বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে তার, তিনি জানান সে সামান্য ব্যাথা অনুভব করছে।
মিঃ লেলাইটের স্ত্রী লিলিয়ান রেজিনা দ্যা সিলভ কোসটা বুধবারের ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা সম্পর্কে প্রচন্ড অনুভুতির কথা জানাই।
তার স্ত্রী জানাই, উপরের দিক করে থাকা দন্ডটি নিয়ে সে অ্যাম্বুল্যান্সে শায়িত ছিল।
ভিতরে দন্ডটি ঢুকে ছিল এবং এবং তার মুখ রক্তে আচ্ছাদিত ছিল। তার চেহারায় মনে হচ্ছিল কিছুই হয় নি।
এখানে এসে পৌছলে ডাক্তাদেরকে সে জানাই তার কিছুই অনুভুত হচ্ছে না, কোন ব্যাথা নেই, কিছুই না। এটি অবিশ্বাস্যকর।
হাসপাতালের নিওরোসার্জারির প্রধান জানান, লৌহার বার টি তার মাথার এমন জায়গায় বিদ্ধ হয় যেখানে ব্রেইনের সুনির্দিষ্ট কোন কার্যকারিতা থাকেনা এবং ব্রেইন কোন সেন্স পাঠায় না।
মিঃ লেলাইট অন্ততঃ আরো ২ সপ্তাহ থাকার সম্ভাবনা আছে।
মিরর নিউজ অবলম্বনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।