জেগে উঠুক,হ্বদয়-সবুজ বন ভূমিকা :
আমি বরাবরই মেয়ে ভিতুয়া মানুষ ।
মেয়েদের দেখলেই আমার কেমন জানি গলা শুকিয়ে আসে ,হাত-পা কাঁপে , শরীর অবশ হয়ে আসে।
আর একারনেই এস এস সি পর্যন্ত ক্লাসমেট বা নিচের ক্লাসের কন মেয়ের সাথে কখনও কথা বলিনি ,মানে বলতে চাইলেই বলতে পারিনি। তাই হয়ত ক্লাসমেট মেয়েরাও আমাকে তেমন একটা চিনত না।
ছাত্র হিসেবে খুব একটা আহামরি ছিলাম না, এতাও হয়ত একটা কারন।
তবুও এ চলতি জীবনে অনেক মেয়ের সাথেই পরিচয় হয়েছে, ঘনিষ্ঠতা হয়েছে।
তাই, ঈদ এর এই ছুটিতে সেই সব ভালোলাগা, সুন্দরী তরুণীদের কথা এক্টু স্মরন করছি।
আপনাদের সাড়া পেলে এটাকে ধারাবাহিক ভাবে লেখার ইচ্ছা আছে।
সিঁথি,প্রথম চিঠি প্রেরিকাঃ
লেখালেখির নেশা আমার ছোট বেলা থেকেই। কলেজে উঠে তা পূর্ণতা পায়।
আমি বিভিন্ন মাগ্যাজিন আর জাতীয় দৈনিকের ফান সাপ্লিমেন্ট এ নিয়মিত লেখা পাঠাই , ছাপাও হয় নামঠিকানা সহ।
একদিন, কলেজে ক্লাস নেই, বাসায় আছি।
ছোট বোন খানিকটা দৌড়ে আমার রুমে হাজির ।
ওর কণ্ঠে উত্তেজনা।
ভাইয়া তোমার চিঠি এসেছে...
আমার?
হ্যা...এক্টা মেয়ে পাঠিয়েছ ।
বলিস কি!!আমার গলা শুকিয়ে গেছে।
খাম টা খুললাম । হলুদ খাম। তার উপর গোটা গোটা অক্ষরে আমার নাম ঠিকানা লেখা।
প্রেরকের ঠিকানায় লেখা- সিঁথি ,গোবিন্দগঞ্জ , গাইবান্ধা।
আমি কাঁপা কাঁপা হাতে খাম ছিঁড়ে চিঠি টা পড়তে শুরু করলাম।
দৈনিক যুগান্তর এর “বিচ্ছু” হতে আমার ঠিকানা পেয়েছে।
তার চিঠির ভাষায়- তোমার লেখাটা খুব ভাল লেগেছে আমার। তোমার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই। আমি সিঁথি ,ক্লাস নাইনে পড়ি...
আহারে, ক্লাস নাইন পড়ুয়া কি সুন্দর অবলীলায় আমাকে “তুমি” বলে সম্বোধন করে...!!
আবেগ-উত্তেজনা-ভয়-লজ্জায় আমি কিছুটা দিশেহারা।
পরেরদিন কলেজের বন্ধুদের চিঠিটা দেখালাম। ওদের চোখে আমি হিরো হয়ে গেছি ততোক্ষণে।
বন্ধুদের দেয়া উৎসাহ আর সাহসে ভর করে চিঠির প্রত্তুতর পাঠালাম ।
লিখলাম, প্রিয় সিঁথি ...
জীবনের প্রথম লেখা চিঠি ।
এরপর তার ফিরতি জবাব পেলাম।
এমনি করে আরও কিছুদিন...
কিন্তু হঠাত করেই আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম নতুন একটা মেয়ের ভীষণ চমৎকার একটা চিঠি পেয়ে।
সেটা আরেকটা গল্প...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।