আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এইটা মুই কি শুনলাম!!!!!!!

নিরব আমি চলছি একা চন্দ্রালোকের পথিক হয়ে। একটা কাজে বাড্ডা যাচ্ছিলাম। ঈদের দুইদিন বাকি, সাভাবিক ভাবে অন্যদিনের চেয়ে রাস্তা আজ একটু ফাকা। কেমন জানি অপরিচিত লাগছিল ডি আই টি রোডটাকে। বাস ফাকা থাকায় জানালার পাশেই সিট পেয়ে মহা খুশি হয়ে ফাকা ঢাকার সৌর্ন্দয দেখছিলাম।

রামপুরা ব্রিজের আগে ছোট একটা সিগন্যালে বাস থেমে আছে হঠাৎ লক্ষ করলাম আমার জানালার পাশেই একটা রিকশায় তিনটা ললনা বসে। দুইজন রিকশার সিটে বসা বাকি একজন উপরে। উপরের জনের পোশাক দেখেই বুজতে পারা যায় যে উনি নিজেকে মর্ডান প্রমান করার জন্য সবকিছু!!!!!! করতে রাজি! পোশাক সেতো দূর ছাই। আগেরদিন কদরের রাত ছিল এখন হল কদরের দিন, রোজা রাখা অবস্থায় তো আর ললনা কতটা মর্ডান তা পরীক্ষা নিরিক্ষা করা যায় না। মনটারে বহুত কষ্টে বুঝায়া চোখটারে অন্য দিকে সরায়া নিলাম।

আশেপাশে তাকায়া দেখি মোটামুটি দুই একজন বাদে রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে বাস ড্রাইভার, বাস কন্টাক্টার,সি এন জি ড্রাইভার, বাসের জানালার পাসের প্যাসেঞ্জার সবাই দৃষ্টি রিকশার উপরের ওই ললনার শরীরের বিশেষ বিশেষ স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর চোখ দেখে স্পষ্ট বুজতে পারছিলা এদেম মনের ভাবনাগুলা। এই ভাবনাগুলা যদি সামুতে কেউ লিখে ফেলে ব্যান মাষ্ট । যেহেতু আমিই বুঝতে পারছিলাম এদের চোখের ভাষা তাই ওই মেয়েরাও নিশ্চয়ই বুঝেছিল। পুরো ঘটনা থেকে অবাক হওয়ার কিছু খুজে পাইনি তখনো কিন্তু আমার জানালার পাশেই ললনাদের রিকশা থাকায় হঠাৎ স্পষ্ট শুনতে পেলাম ওই রিকশার কোন এক ললনা বলল "উপরে বসার এইটাই প্লাস পয়েণ্ট.....(চাপা হাসি)........ অল টাইম হিট........(চাপা হাসি)"। তখন অবাক হইছি, অবাক হইছি এরকম ললনাদের রুচিবোধ দেখে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।