ভেবেছিলাম আর কখনো যুদ্ধ হবেনা, আমার আর কখনো যুদ্ধ দেখা হবেনা, কি বোকা আমি, কখন যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি, আমি এখন যোদ্ধা, এ যুদ্ধ সারা জীবনের যুদ্ধ, এ যুদ্ধ জীবন যুদ্ধ...... ভোজন রসিকদের সবচেয়ে পছন্দের সময় হল রোজার মাস। ইফতারের নামে আমরা যা করি সেটা শুধু বাড়াবাড়িই না রীতিমত ভয়ংকর অন্যায়। রমজানের এক মাসে যে টাকা খাবার পিছনে খরচ করি সেটা দিয়ে অন্য সময়ে দুই মাস চলে। শুনেছি নবীজি খেজুর আর রুটি দিয়ে ইফতার করতেন। তার সারাজীবনে কোন ইফতার এমন বিলাসি ভাবে করেছে বলে আমি কখন শুনিনি।
আরব দেশগুলতে রমজান মাসে যেখানে সব জিনিসের দাম কমে, আমাদের দেশে তার ঠিক উল্টাটা। ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকে কখন রমজান মাস আসবে আর কখন ভোজ্য পন্যের দাম বাড়াবে, গাড়ি ভাড়া হয়ে যায় দ্বিগুণ, জনজীবন হয়ে যায় দুর্বিষহ। রমজানের উদ্দেশ্য হল সংযম, আর আমরা হয়ে যাই তার উল্টোটা।
ঈদ এখন আর ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলে আমার মনে হয়না, এটা এখন সামাজিক অনুষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। বিলাসিতা দেখানোর মোক্ষম সুযোগ হল ঈদের শপিং।
যেখানে এক টাকার জিনিস তিন টাকা দিয়ে কেনা লাগে। ঈদ এলেই লেগে যায় কেনা কাটার ধুম। পকেটে টাকা থাক আর না থাক সংসারের কর্তা ব্যক্তিদের ঘুম হারাম। একে কিনে দিতে হবে, ওকে কিনে দিতে হবে, আবার কিনে দেবার পরেও শান্তি নাই, এরটা কমদামি ওরটা বেশী দামি। বেশীরভাগ লোককেই দেখা যায় নামাজ রোজার খবর নাই, ঈদ এর কেনাকাটা নিয়েই ব্যস্ত।
ইদানিং আবার অনেকেই ঈদের শপিং করতে বিদেশ চলে যায়, অনেকেতো আবার আরেক ধাপ এগিয়ে ঈদ করতে দেশের বাহিরে চলে যায়। ঈদ করতে না ঈদের নামে ফুর্তি করতে যায় সেটা আমরা অনেকেই জানি।
আমাদের দেশে ঈদ আর রমজান কিছু ব্যবসায়ী কে টাকা কামানোর ব্যবস্থা করা ছাড়া আমাদের জীবনে আর কোন ভুমিকা রাখছে বলে আমার অন্তত মনে হয়না। রমজান আর ঈদ পালনের এই অবস্থা নিশ্চিতভাবেই রমজান আর ঈদের যে আদর্শ তার বিপরীত। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।