আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রমজান

I am student রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে মাহে রমজান আমাদের সামনে সমাগত। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন মুসলিম মিল্লাতের জন্য রমজানের রোজা বা সিয়াম সাধনা ফরজ করেছেন। অবশ্য পালনীয় করেছেন। সিয়াম পালন ফরজ করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বান্দাদের মধ্যে তাকওয়ার গুণ বিকশিত করা। আর তাকওয়া হচ্ছে পরহেজগারী, আল্লাহ প্রীতি।

মুমীন বান্দার মধ্যে আল্লাহ্র ভয় সৃষ্টি করাই হচ্ছে লক্ষ্য। এই বিষয় মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনের সুরা বাক্বারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেছেন- “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা বা সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমন করে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল। সম্ভবতঃ এর ফলে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে। ” পবিত্র কুরআনের এই আয়াতে সিয়াম বা রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য পরিষ্কারভাবে বিবৃত হয়েছে। আর এর মূল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া।

তাকওয়া শব্দের ধাতুগত অর্থ হলো বাঁচা, বেঁচে থাকা। পবিত্র কুরআনের অন্যত্র আল্লাহ্ বলেছেন, “আল্লাহ্ তাদেরকে ঐ দিনের ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। ” অর্থাৎ হাশরের দিনের ক্ষতি থেকে মুমীনদের বাঁচিয়েছেন। তাকওয়ার আভিধানিক অর্থ হলো ভয় করা। আর এর পারিভাষিক অর্থ হলো আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের সকল আদেশ মানা ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকা।

অর্থাৎ আল্লাহ্কে ভয় করতে হবে, তার আদেশ নিষেধ মানতে হবে। সকল ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত পালন করে হারাম কাজ থেকে বিরত থাকার নামই হচ্ছে তাকওয়া। মাহে রমজান হচ্ছে তাকওয়া হাসিলের শ্রেষ্ঠতম সময়। আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম ঘোষণা করেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে মাহে রমজানের সিয়াম পালন করবে, আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন তাঁর পূর্বের সকল গুনাহ্ মাফ করে দেবেন। পাপসমূহ মোচন করবেন।

আর আল্লাহ্ তো বলেছেনই, সিয়াম বা রোজা আমারই জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব। আল্লাহ্ তা’য়ালা সিয়াম ব্যতিত অন্য কোন ইবাদতের পুরষ্কারের ব্যাপারে এমন ওয়াদা করেন নাই। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের এই অমীয় বাণীর আলোকে সিয়াম পালনের মাধ্যমে জান্নাত হাসিলই সকল মুসলমানের কাম্য হওয়া উচিত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।