বিশ্বাস হচ্ছে ভালবাসার শক্তি হাই বন্ধুরা, আজ তোমাদের সাথে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বলবো। তা হল ফেসবুক হ্যাকিং। আমরা সবাই ফেসবুক হ্যাকিং এর পিছন দৌড়াই। অনেকে মরিয়া হয়ে পরেছি এই বিষয় তা নিয়ে। তাই আপনাকে আজ আমি কিছু বলতে যাচ্ছি।
আপনি গুগল এ সার্চ করলেন facebook hacking software অথবা how to hack facebook?. এভাবে সার্চ করার পর কোন এক সাইট এ পেলেন কিছু সফটওয়্যার। ডাউনলোড ও করলেন তা। এবার সফটওয়্যার টি ইউজ এর জন্যে কিছু কথা লিখা আছে যেমন-
১.সফটওয়্যার টি প্রথমে আপনার পিসি তে ইন্সটল করতে হবে।
২.এবার তাতে আপনার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিন।
৩.যার আইডি হ্যাক করবেন তার ইমেইল/আইডি দিন।
এইতো হয়ে গেল। এবার আপনি তার পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
এভাবেই আমরা আপনারা অনেকে ফেসবুক হ্যাকিং চেষ্টা করেছি। আচ্ছা আপনার কি একবার ও মনে হয় নি এতো সহজে ফেসবুক হ্যাক করা যাবে!!
“ফেসবুক কি এতো ই বোকা?”
“আপনার কি মনে হয় এরকম সফটওয়্যার ব্যবহার করে এক মিনিটের মধ্যে কোন আইডি হ্যাক করা সম্ভব?”
লুল ।
সত্যিটা কি জানেন?? আপনি যে নিজে হ্যাক হয়ে গেছেন সেটা কি টের পেয়েছেন?একজন বাচ্চা মানুষের মত চিন্তা না করে একজন “হ্যাকার” এর মত চিন্তা-ভাবনা করুন ,তাহলেই ব্যাপারটা বুজতে পরবেন ।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ,তাহলে এই
“ফেসবুক হ্যাকিং সফটওয়্যার” গুলো আসলে কি?
—>সত্যটা হল পৃথিবীতে এমন কোন সফটওয়্যার নেই যে আপনি শুধু মেইল আইডি দিয়ে চেয়ে থাকবেন আর পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়ে যাবে। যে গুলো আপনি আজ পর্যন্ত দেখছেন তার সবগুলোই হল ফেইক বা ভুয়া ।
আপনি এখন আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন,
“আমার এক বন্ধু আমাকে একটা সাইটের লিংক দিয়েছে ,সেখানে হাজার হাজার মানুষ ফেসবুক হ্যাকিং এর সফটওয়্যার ডাউনলোড করছে। অই মিয়া, আপনি কি তাদের থেকে বেশী জানেন?”
—>আমি আপনাকে বলতে চাই. “না, অবশ্যই আমি তাদের থেকে বেশী জানি না। আমি শুধু কিভাবে আপনাকে বোকা বানানো হয় এবং ফেসবুক হ্যাকিং সফটওয়্যারগুলো আসলে কি সেটা বোঝাতে চাচ্ছি ।
”
এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ,
“তাহলে এই ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকিং সফটওয়্যার গুলোর কাজ কি এবং কেনই বা বানানো হয়েছে?”
—>এই সফটওয়্যার গুলো বানানো হয়েছে নতুন হ্যাকারদের জন্য (যারা মাত্র হ্যাকিং শিখছে তাদেরকে নুব বলা হয়) । মূলত হ্যাকাররাই এই সফটওয়্যারগুলো বিভিন্ন সাইটে আপলোড দিয়ে রাখে যাতে নুবরা তাদের ফাঁদে পা দেয় । আপনি যখন সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করবেন, আপনার কম্পিউটারে অটোমেটিক্যালি ট্রোজেন হর্স ,স্পাইওয়্যার বা কি লগার ইন্সটল হয়ে যাবে যা আপনার কম্পিউটারের সব তথ্য হ্যাকারকে পাচার করে দেবে বা আপনার কম্পিউটার পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে ।
এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে,
“তাহলে ফেসবুক হ্যাকিং এর কি কোন উপায় নেই? থাকলে সেটা কি?”
—>ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকিং এর উপায় আছে। মূলত নিম্নোক্ত উপায়ে ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাক করা সম্ভব:
১.ফিশিং মেথড ।
২.সফটওয়্যার কি লগার ।
৩.হার্ডওয়্যার কি লগার ।
৪.ফায়ারশিপ ব্যবহার করে।
৫.কুকি চুরি করে।
৬.সোসিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ।
৭.ই-মেইল অ্যাকউন্ট হ্যাক করে। (ডিকশনারি বা ব্রুটফোর্স অ্যাটাক করে )
এখনও কি আপনি ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকিং এর সফটওয়্যার খুঁজবেন বা পেলে সেটা ব্যবহার করবেন??? করলে করতে পারেন , আপনার মর্জি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।