Footprint of a village boy!
পৃথিবী রক্ষায় বন-জঙ্গলের ভূমিকা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো সবাই জানেন। গাছপালার ঘনত্ব বিবেচনা করেই সাধারণত বনাঞ্চল বা অরণ্য চিহ্নিত করা হয়; আর সেসব গাছপালার প্রকৃতি অনুসারে সে বনাঞ্চলের নামকরণ করা হয়। আবার ঐ অঞ্চলের আবহাওয়ার প্রভাব থেকেও নামকরণ করা হয়। এভাবেই অতিবৃষ্টি অরণ্য, শুষ্ক অরণ্য, ম্যানগ্রোভ বন, তাইগা, শাল বন, বাঁশ বন, চিরহরিৎ ইত্যাদি নামে পৃথিবীর বনাঞ্চলের নামকরণ করা হয়। বনাঞ্চলের বৈশিষ্ট্য ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এক এক বনাঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন প্রাণীদের আবাস গড়ে উঠেছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বনাঞ্চল উজার করার ফলেও প্রাণীরা তাদের পুরাতন আবাস ছেড়ে নতুন আবাস গড়েছে অন্য কোন অরণ্যে। বনাঞ্চল বা অরণ্য ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৯.৪ শতাংশ (স্থল ভাগের মোট ৩০ শতাংশ) জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
অতিবৃষ্টি অরণ্য হচ্ছে পৃথিবীর সে সমস্ত বনাঞ্চল যেখানে সারা বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়। সারা বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয় বলে গাছের পাতা সবসময় সবুজ থাকে। অতিবৃষ্টি অরণ্যের উদ্ভিদ এবং জীবজন্তুর যে পরিমাণ তা যেকোনো বাসস্থানের চেয়ে সমৃদ্ধ।
যদিও বিগত কয়েক লক্ষ কোটি বছরের জলবায়ুগত পরিবর্তনে তাদের পরিমাণ কখনও বেড়েছে কখনও কমেছে। তবুও বর্ষাবন হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন একটি বাস্তুসংস্থান। এই ধারাবাহিকতার কারণেই অতিবৃষ্টি অরণ্যে বেড়ে উঠেছে লক্ষ কোটি প্রজাতি। ভূপৃষ্ঠের মূলত নিরক্ষীয় হতে ক্রান্তীয় অঞ্চলেই এই বনাঞ্চল দেখা যায়। অতিবৃষ্টি অরণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ হচ্ছে ক্রান্তীয় অঞ্চলের আমাজন বেসিনের আমাজন অতিবৃষ্টি অরণ্য।
নিকারাগুয়া, বেলিজ সহ মধ্য আমেরিকায় এই আমাজন অতিবৃষ্টি অরণ্য বিস্তৃত। এছাড়াও ক্যামেরুন হতে কঙ্গো প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত নিরক্ষীয় আফ্রিকায়, মায়ানমার হতে ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনি পর্যন্ত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, অষ্ট্রেলিয়ার পূর্ব কুইন্সল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে এই বনাঞ্চল দেখা যায়।
তাইগা পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চল। তাইগার অধিকাংশ অঞ্চল রাশিয়া ও কানাডাতে অবস্থিত। এটি উত্তর আমেরিকা, কানাডা এবং আলাস্কার ভূপৃষ্ঠজুড়ে বিস্তৃত।
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর অংশেও তাইগা বনাঞ্চল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এটি নর্থউড নামে পরিচিত। তাছাড়া সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ের উত্তরাংশ, রাশিয়ার সাইবেরিয়া, কাজাখস্তানের উত্তরাংশ, মঙ্গোলিয়ার উত্তরাংশ এবং জাপানের উত্তরাংশ জুড়েও তাইগা বিস্তৃত। পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ বৃক্ষ তাইগা বনাঞ্চলে রয়েছে। বিশ্বের বনাঞ্চলসমূহের মধ্যে তাইগার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন।
শীতকালে তাইগার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তুন্দ্রা অঞ্চলের তাপমাত্রারও নিচে নামে।
চিরহরিৎ বনাঞ্চল বলতে অধিকাংশ বা সম্পূর্ণভাবে চিরসবুজ বৃক্ষে পূর্ণ বনাঞ্চলকে বোঝায়। এই বনাঞ্চল সাধারণত নাতিশীতোষ্ণ অক্ষাংশে দেখা যায়।
জাতীয় উদ্যান হলো এমন স্বাভাবিক বা মনুষ্যনির্মিত বনাঞ্চল, যেখানে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং তাদের প্রজনন ও আবাস নিরাপদ রাখতে শিকারিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সাধারণত বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ পরিবেশ, তাদের স্বাভাবিক কিংবা বর্ধিত প্রজনন পরিবেশ, বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক সংখ্যা এবং বৃক্ষরাজি কিংবা ঔষধি বৃক্ষরাজির নিরাপদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সরকার কিংবা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো এলাকায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বনাঞ্চলকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়।
আর সাফারি পার্ক হলো বন্য প্রাণীর জন্য এমন একটি উন্মুক্ত ক্ষেত্র, যেখানে প্রাণীরা খোলামেলাভাবে বিচরণ করতে পারে।
বন-জঙ্গলের অগণিত প্রাণীর মধ্যে বেশ কিছু প্রাণী দেখলে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। তাদের আকার আকৃতি হয়তো অস্বাভাবিক অথবা অন্যরকম সুন্দর। সে রকম কিছু প্রাণীর ছবি -
এখনও কার্টুন দেখতে ভালই লাগে; বন-জঙ্গলের কার্টুনগুলো প্রিয়তে ছিল। আসলে সুন্দর সুন্দর প্রাণীদের নিয়ে তৈরী সেসব কার্টুন মস্তিষ্কে অন্যরকম ভাললাগা সৃষ্টি করে।
কয়েকটি কার্টুন ব্লগে রেখে দিলাম -
উৎসর্গ: শিশুতোষ পোস্টটি প্রিয় বেঈমান আমি ব্রো'কে ঈদের শুভেচ্ছা স্বরূপ উৎসর্গ করছি।
সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
দিন দুয়েক পর ঘরে তালা দিয়ে গ্রামে যাচ্ছি, ফিরে এসে যদি দেখি কম্পিউটার চুরে নেয়নি তবে আবার দেখা হবে। আর দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে থাকায় ঈদ বাজারে তেমন কিছু কিনতে পারলাম না, কারণ আমি হয়তো অসাধারণ ব্যক্তি। সংস্কারকৃত সড়ক পথে যাচ্ছি, যাওয়ার পথে মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে যদি দুইখান ছাগল দেয়া হয় তাহলে সেটা নিয়ে আপনারা পিকনিক খায়েন।
আল্লাহ্ হাফেজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।