অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই
বর্তমানের বিভিন্ন জাতীয় দিবসে নতুন প্রজন্ম নিজেদের মাঝ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকার নির্বাচন করে আসছে। এবং ভার্চুয়াল যুদ্ধ অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বিখ্যাত ও কুখ্যাত পদক একে অপরকে দিয়ে আসছে।
যদিও কিছু আতেল বলে এগুলো আসলে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়ার নামান্তর তবে আমরা ধরে নিতে পারি যারা বর্তমানে চলমান ভার্চুয়াল যুদ্ধকে অস্বীকার করে তারাও শত্রু পক্ষ।
এটা কোন যুদ্ধ?
এটা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেরই প্রবম্বিত অংশ। যেহেতু ৭১ এ ব্লগ ছিল না তাই ভার্চুয়াল "সাহসী" দেশপ্রেমিকরা এবং ভার্চুয়াল রাজাকাররা যুদ্ধে অংশগ্রহনের সুযোগ বন্চিত হয়েছে।
এখন সেই অভাব ঘুচানোর জন্যই ৭১এর মুলভাবের উপর এই যুদ্ধের আয়োজন।
কারা যুদ্ধ করে?
মুক্তিবাহিনী পক্ষে যুদ্ধ করে মুলত অল্পবয়সী বেকার ও ছাত্র সমাজ তবে নেতৃত্বে আছে সদ্য চাকরীতে নিয়োগ পাওয়া তরুনেরা যাদের অধিকাংশই দেখা যাচ্ছে উচ্চশিক্ষার্থে বা পড়াশোনা শেষ করে বিদেশেই অবস্থান করেন
রাজাকার পক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে কারন এই পক্ষে'র কেউই নিজ অবস্থান নিশ্চিত করে না! তবে যতটুকু বুঝি রাজাকার পক্ষে মুলত যুদ্ধরত হল: প্রাক্তন মাদ্রাসা ছাত্র,ধার্মিক তরুন ও শিবিরের রাজনীতিতে আকৃষ্ট লোকজন।
কেন এই যুদ্ধ ?
এই যুদ্ধের কারন খুজতে গেলে অনেক কিছু নিয়া টানাটানি করতে হবে তবে এটুকু নিশ্চিত করা জেনে রাখুন এই স্বাধীন বাংলাদেশে এই যুদ্ধের মুল উদ্দেশ্য যদিও জাতিয়তাবাদ চাঙ্গা করা তবে আমার বিশ্বাস এই যুদ্ধ চলছে স্বার্থ আদায়ের লক্ষ্যে। কারন বর্তমানে এই যুদ্ধে অংশ নেয়ার চেয়ে সহজ পথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অন্য কোন উপায় নেই!
যুদ্ধে আপনার প্রাপ্তি কি?
আবার জিগায়! এই যুদ্ধে আপনি যদি একবার নাম করতে পারেন তাহলে আপনার কপালের গোপন সৌভাগ্যের তালা খুলে যাবে চিরদিনের জন্য। একটিও বুলেট খরচ না করে, কোন বাস্তব ঝুকি না নিয়ে শুধু ব্লগর ব্লগর করে ও সৃষ্ঠিশীল খিস্তি-খেউর করে আপনিও হতে পারেন কোন প্রকারের ব্লগশ্রেষ্ঠ, বীর ব্লগার, ব্লগ সৈনিক! যদি কিছুটা তরিৎকর্মা হন তাহলে এই মন্দার বাজারে শুধু ইন্টার পাশ করেই বিভিন্ন ব্লগে চাকরিও জুটে যেতে পারে যা আপনার পরিবারে অন্নসংস্থান নিশ্চিত করবে!তা না হলেও আপনার যেকোন লেখাই হবে "ফাটক" ধন্য!
কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দলে যোগ দিবেন?
একটি অন্তহীন ইন্টারনেট কানেকশান নিয়ে শুরুতে কিছুদিন "ইয়াহু" ভয়েস চ্যাটরুমে যেয়ে গালাগালীর উপর ছোট্ট একটা কোর্স করুন এরপর নিরলস ভাবে ব্লগে এসে জীবনে পরিবার ও সমাজে যেসব গালাগালী শুনে এসেছেন তার সঠিক ব্যাবহারিক স্থান নির্বাচন করে উগরে দিন।
ছাগু কন্সেপ্ট ক্লিয়ার রাখুন এবং বিখ্যাত সব কসাইয়ের ব্লগ পোস্টে যেয়ে এই মর্মে জবানবন্দি দিন যে "আমি খাউজাইত চাই,বিপদে-আপদে-সুদিনে-কুদিনে আমি কসাইদের নির্দেশ পালন করবো" এর পর খেয়াল করবেন কোন ব্লগশ্রেষ্ঠ কোথায় পোস্ট এবং কমেন্ট করে ,এর পর আপনি তার করা পোস্ট বা কমেন্টের সুত্র বজায় রেখে শুধু মন্তব্য দিয়ে যাবেন! ২/৩ সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ট্রেনিং সম্পুর্ন হবার পর আপনি হবেন ব্লগযোদ্ধা পরিবারের গর্বিত অংশ!
একটি উপহার : আপনি যা করে সর্বকালের অন্যতম সেরা যোদ্ধা হতে পারেন
একটি ছাগল কিনুন। এবার তার ছবি তুলুন। পরদিন সকালে ছাগলটিকে জবাই করুন এবং জবাই করার সময় ২ টি ক্যামেরা চালু রাখুন। একটি দিয়ে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে স্টিল পিকচার তুলুন অন্যটি দিয়ে ভিডিও করুন। খেয়াল রাখবেন আপনার এবং ছাগলের দুটির চেহারাই যেন পুর্ণ ফোকাসে থাকে।
ছাগলটির গায়ে মার্কার দিয়ে নিজামি বা গোলাম আজম লিখে দিলে ছোট এ্যান্টেনার ব্লগারদের বুঝতে সুবিধা হবে।
যেহেতু গালাগালী আর ছাগল জবাইয়ের মাঝেই এই যুদ্ধ সীমাবদ্ধ তাই আপনার আর কোন যোগ্যতার দরকার নেই। নিশ্চিন্ত মনে যুদ্ধ করে যান, নাম এবং ভাগ্য ভাল হলে কাম সবই আপনার হয়ে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।