আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হে হে হে আমি ফটুক লাগাইছি হে হে হে

শান্তির জন্য সংগ্রামী কতজনের কত কথা! আমার নাকি ফটুক হয়না, ফটুক তুলতে পারিনা! আমি নাকি নিরাকার! অবশ্য বেশ কয়জনায় অনুরোধও করছে ফটুক দেওয়ানের লাইজ্ঞা। আমি তো মহা চিন্তায়! কী করি! ফটুক তাইলে একখান দেওয়াই লাগবো! ঘুমাইতে ঘুমাইতে ভাবতে ভাবতে ফয়সালা কইরাই ফালাইলাম ফটুক দিমু। তয় হেগোর মতোন আন্দাইজ্জা ফটুক দিতাম না। আমার ফটুকই দিবাম। শেষে নতুন সমস্যা রোঝা রাইক্ষা ফটুক তোলা নিষেধ! এবার তো মহা ফাপরে! ফটুক তুলনের লাইজ্ঞা একজনেরে হায়ার করে বাসায় আনলাম, কিন্তুক বিজ্ঞ আলেম উলামা মাশায়েখগনের কড়া হুশিয়ারী রোঝা রাইক্ষা ফটুক তুলা যাইব না।

আমিও মাইন্না লইলাম। এবার রাইতের বেলা আইতে কইলাম। হে কয় তাইলে থাকতে দেওন লাগব। উপায়ান্তর না পাইয়া হেতেও রাজি হইলাম। আমার নিজের একখানা ফুজি কোম্পানির ক্যামরা আছে।

ফটুক তুলনেওয়ালা কইল হের বিশাল সাইজের ক্যামরায় উঠাইব। আলচনায় দফারফা হইল হেরডাতেই আমি রাজি তিনিও খুব খুশি! রাইতের খাওয়া দাওয়ার পড়ে শুরু হইল ফটুক উত্তোলনের পর্ব। কত ভাবে কত রকম করে আমারে ঘুরাইয়া ফিরাইয়া, এই কাত ওই কাত বইসা, শুইয়া, খাড়াইয়া এরকম নানান কায়দা ভঙ্গিমায় ফটুক তোলা শুরু হইল। ঘরের লাইট নিভাইয়া জালাইয়া, সিগারেট হাতে লইয়া, মুখে লইয়া দরজা বন্ধ কইরা খুইল্লা হেতেনের কাজেকামে আমি অস্থির হইয়া পড়লাম। কইলাম ভাইসাব, আমার ফটুক তোলা লাগবো না।

হে কয়, মিয়াভাই আইয়াই যহন পড়ছি ফটুক না তুইল্লা যাইমু না। কী বিপদ ভাইব্বা দেখেন ভাইয়েরা! ফটুক হে তুলবোই। ভাবলাম, পড়েছি মোগলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে। হে যেমনে কয় আমিও তেমনেই অঙ্গভঙ্গি করি। যেমনে যা কয় তেমনেই তাই করি।

মনে মনে ভাবলাম, কতজনে কত কামেই না ফটো তুলে। কাজে অকাজে, শখে-অশখে, স্ম্রিতি-বিক্রি কত কাজেই মানুষ ফটোরে খাটায়। আর আমি কিনা আমার কৌলিন্যতা রক্ষায় ফটুক তুলতে আধাজল খেয়ে নেমেছি। কত পাইক-পেয়াদারা বিশাল বিশাল বড় বড় হেডমঅয়ালা মাইনসের লগে খাড়াইয়া, বইসসা ইত্যাকার পদ্ধতিতে ফটুক তুইল্লা ড্রয়িং রুমে দেয়। থুক্কু ইদানিং ফেসবুকে সব্বাইরে দেহায়্যা ক্ষমতা ও দাপটের ফেভার লয়।

আর আমি বেহুদাই কিম্ভুতকিমাকার পদ্ধতিতে ফটুক তুইল্লা ব্লগে দেওয়ানের লাইজ্ঞা অস্থির! এত কিছু ভাবলে কী অইব! পরক্ষনেই মনে হইল, কয়দিন আগেই আমাদের চেয়ারম্যান সাবে সবার ফটুক লইয়া একখানা মহান পুষ্ট পয়দা কইরা ব্লগে পুষ্টাইছে। কই আমার ফটুক তো দিল না। আরে হে দিবো কই থাইক্কা! আমার তো ফটুকই নাইক্কা। তাইলে আমারও একখান ফতুন দেওন দরকার। ইহাই কৌলীন্যতা।

মনে মনে এই যুক্তি মাইন্না লইয়া ফটুক তুলতে ঝাপাইয়া পড়লাম। হইয়াও গেলো কয়খানা সেইরম ফটুক। হেইগুলান থাইক্কা বাইছা বাইছা এইখানা ব্লগে ফটুক দিলাম। ফটুক তুইল্লা ও ব্লগে দিয়া চা বানাইয়া খাইলাম। কিন্তুক হেইহানেও সমস্যা!!!! কী করি কন! আমি ঢাকা শহরে আমার ফ্যামিলির ফার্স্ট জেনারেশন।

মানে চাচা-মামারা থাকলেই বাবা-মা এই হিসেবে আর কি! এই লাইজ্ঞা এহনো ঢাকার আভিজাত্য সম্প্রদায়ের কৌলীন্যতা 'চুপচাপ অর্থাৎ নিঃশব্দে চা পান' রপ্ত করতে পারিনি। এমন কি শব্দহীন হাসিও আয়ত্বে আসেনি। সে জন্য ওহ হ হ হ হ হ হ হ শব্দ করে চা পান করলাম লগে বিড়িও ধরাইলাম। জোরে জোরে শব্দ করে হাসলামও। হে হে এতদিন অনেকেই ভেবেছে আমি নিরাকার, আমার কোনো ফটুক নাই।

কিন্তু সবার বিশ্বাসকে জলাঞ্জলি দিয়া আজ একখানা ফটুক আবিষ্কাইলাম এবং সকলের সুবিধার্থে ফটুকখানাকে প্রোফাইল পিকচার রুপে ফেবুতে আপলোডাইলাম। কেমন হইল???????? বি.দ্রঃ এইটুকু গতকালই ফেবুতে বিজ্ঞাপন হিসেবে দিছিলাম। তাই এখানেও তুলে দিলাম। হুম, আজকাল ব্লগে পুষ্টাইবার আগে বিজ্ঞাপনও দেওন লাগে! 'আর হ্যা, আসিতেছে সুখবর! সুখবর! সুখবর! সকলের অবগতির জন্য আজই জানাইয়া রাখলাম যে এই ফটুক খানা সংগ্রহ এবং ফেবু ও ব্লগে আপলোড ইত্যাদি সংক্রান্ত বিষয়ে একখানা পুষ্ট পয়দা করিব বলিয়া স্বিদ্ধান্ত গ্রহন করিয়াছি। আপনাদের বিশেষ করে যারা বিশেষ ভাবে অজ্ঞ মানে বিশেষজ্ঞ তারা ফেবু ও ব্লগে কমেন্টানোর অনুরোধ জানাইলাম।

ইহা একটি ব্লগের পুণ্য ভুমিতে পোষ্ট পয়দা পূর্বক বিজ্ঞাপন! ইহা অবশ্যই বিশেষ বিজ্ঞাপনী সংস্থা হইতে নির্মিত। এবং আমার দ্বারা বিজ্ঞাপিত। ' ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।