১) ১০২ রানে ১ উইকেট থেকে ১৩৪ রানে অল আউট। ৩২ রানে ৯ উইকেট নেই! তার চেয়েও বড় বিষ্ময়ের, ১৩৪ রানে এ ৫ উইকেট থেকে ১৩৪ রানেই অল আউট। শেষবার সম্ভবত ২০০৩ এর বিশ্বকাপে চামিন্দা ভাসের প্রথম চার বলে বাংলাদেশের চার উইকেট হারানো দেখে এতখানি বিষ্মিত হয়েছিলাম।
২) প্রতি সিরিজে একটা জিনিস খেয়াল করি। ঠিক একটা-দু'টা প্লেয়ারের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ।
শ্রীলংকা সিরিজে এই 'যম' হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো সাঙ্গা-দিলশান। এই সিরিজের 'যম' ব্রেন্ডান টেইলর। কেবল শুরু হলো তবে আগে থেকেই প্রেডিকশন করে দেওয়াই যায়। মাসাকাদজা-জার্ভিসরা আছে কিন্তু পুরো সিরিজে ভয় টেইলরকেই। অন্য কারোটা লাগবে না, ভিডিও অ্যানালিস্ট শুধু টেইলরের দূর্বল জায়গাগুলো খুঁজতে পুরানো ক্লিপগুলো নিয়ে বসে যেতে পারেন, এখন থেকেই।
৩) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কনফিডেন্স স্রেফ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গত সিরিজ থেকে ওর আউট হওয়ার ধরণ গুলো অনেক কিছু বলে দেবে।
৪) সাকিব কেবলই ইনজুরি থেকে ফিরেছে। আবার এই উইকেটটা উপমহাদেশীয় উইকেট না। সুতরাং কথাটা খুব বাজে শোনাতে পারে।
তবে যে অল্প ক'টা ওভার করেছে সাকিব তাতে ওর আগের সেই ফ্ল্যাইট বৈচিত্র আর সহজাত আর্মারগুলো খুব মিস করতেছি।
৫) স্টিভেন ফিনের সমস্যাটা বেশ ভালোভাবেই নিয়েছে আইসিসি। বল করতে এসে নন-স্টাইক প্রান্তের উইকেট ভেঙে দিলে 'নো বল'। জার্ভিসেরও সমস্যাটা আছে। কয়েকবার করেছেও।
কিন্তু 'নো বল' ডাকতে দেখলাম না।
৬) জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে ফলো-অন করায়নি। এর পিছনের কারণটা সম্ভবত: জার্ভিস-সিঙ্গি-মেথকে কিছুটা বিশ্রাম দিতেই। বাংলাদেশের কল্যাপসের পর হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকে দেখলাম একজন লিখেছে, 'যাক ইনিংস পরাজয়ে পড়তে হলো না! :পি'। ভিন্ন মত হলেও সাধারণত কেউকে রিমুভ করি না।
কিন্তু আজকে করে দিয়েছি।
৭) রবিউল অসাধারণ বল করেছে। ব্রিলিয়্যান্ট ডিসপ্লে অফ পেস বোলিং। কোনো বাংলাদেশী পেসারের এমন বোলিং অনেকদিন দেখা হয়নি। ওর গতি প্রতি ঘন্টায় আর ৫ কিলোমিটার বেশি হলে যেকোনো পিচেই প্রতিপক্ষ দলের মাথাব্যথার কারণ হতে পারতো।
রুবেলের সাপোর্ট পায়নি আজ। পেলেও অবশ্য খুব বেশি লাভ হতো না।
৮) একটা অর্ধ শক্তির দল নিয়ে শ্রীলংকায় দারুণ খেলার রেপুটেশনটা শেষ হয়ে যেতে বসেছে। আজকেই ৩ উইকেট হাতে রেখেই ৪৪২ রানের লিড হয়ে গেছে। এই ম্যাচ জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড করতে হবে।
টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্ব রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৪১৮ রানের। আজকে ১৬ উইকেট পড়েছে। পিচের এই আচরণ থাকলে ড্র করাও বিরাট কিছুই হবে।
তবে ড্র করা থেকে জয়ের জন্য খেলা ভালো। কারণ এই পিচে ক্রমাগত ব্লক করতে গেলে বা ছাড়তে গেলে বেশি বিপদ।
৯) সাম্প্রতিক ক্রিকেট ইতিহাসে একটা কালো দিনের হাতছানি দেখা দিচ্ছে। তবে মুশফিক অ্যান্ড কোং, প্লিজ 'নেভার গিভ আপ'। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।