জগতে পাঁখাঁ আছে এমন সব প্রানীই উড়তে পারেনা। আবার পাখাওয়ালা জাতির অনেক প্রানীও পাঁখা হীন জন্মগ্রহণ করেন, আজব পৃথিবী, অনেক কিছুইত ঘটে যা আমাদের বোধগম্যনয়। যেমন বোধগম্য নয় আমাদের এই ছোট বাংলাদেশের অনেক ব্যপার। আমাদেরও মাঝে মাঝে দূর্বোধগম্য কোন উপায়ে পাঁখা গজায়। কেন জানিনা।
কয়েকটি পাঁখার উদাহরণ-
* ব্লগের পাঁখা
জন্ম লগনে ব্লগের গায়ে কোন লোম বা পালক থাকেনা, থাকেনা কোন পাঁখা । তার পর তাদের লোমহীন পথ চলা দূর করতে আমরা আসি, তাদের গায়ে পালক হয়ে গজাই, আর বব্লগের দুই ডানা হয়েযায় তাদের পাখাঁ। ব্লগ উড়ে যায় দূর বিজ্ঞাপনের বাজারে। অতঃপর- পাখাঁদের কি হয়? আমরা প্রয়োজনে থাকি, অপ্রয়োজনে ঝরেযাই, অথবা ব্লগ গাঝারা দিয়ে ফেলেদেয়। আর আমরা যারা ব্লগার আছি আমাদের ত পাঁখার জোর অসাধারণ।
ডানা ঝাপটিয়েই যাচ্ছি। তবে ব্লগ কখনো পাঁখার দাপটে মরেনা। **ডোন্ট মাইন্ড**
* ব্লগার, ফেসবোকার আর কার্টুনিষ্ট এর পাঁখা-
ব্লগার ফেসবোকারত আমরাই, আমরাই স্বচেতন আর অচেতন। আল্লার গোলাম, যারা পৃথিবীতে এসে বাংলাদেশে পড়ে হয়ে গেছি পরিবার তন্ত্রের গোলাম। আমাদেরও পাখা গজায়, তখন আমরা কি করি।
তখন আমরা আমাদের সামন্ত প্রভুদের লেজে আগুন দেই। ফেসবোকের কিংবা ব্লগে, অথবা কার্টুনে। অতঃপর জেল---
রাজনীতির পাখা- এদের পাখা প্রতিদিন গজায়, এত পাখা গজায় যে বলে শেষ করা যাবেনা। এদের পাখা মুখে- এদের মুখ উড়ে বেড়ায় স্বাধীন ভাবে।
অনেকটা (কিসে যেন সারাদিন চলে আর কিসে যেন সারাদিন বলের মত।
)
ছাত্র লিগের পাখা-
এদের পাখা সিজনাল, ৫ বছর মেয়াদী, হুমায়ূন আহমেদের একটা বইয়ে পড়েছিলাম আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে নাকি ছাত্রলীগের পাখা গজায়। তারা উড়াউড়ি করে। তিনি এক ছাত্র লীগ কর্মীকে বলেছিলেন " এই, তোমরাত আ. লীগের লেজ", উত্তরে ছেলেটি বলল, " কি বলেন স্যার, আ. লীগ আমাদের লেজ" অবস্থা দৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে। ছাত্র লীগের পাখা অনেক লম্বা.। সেস
এরা কইমাছ, কইমাছ যেমন আষাঢ় মাসে উজিয়ে উঠে, তারও আ. লীগ আসলে উজিয়ে উঠে।
তাদের পাখা পানিতেও সচল।
* নেতা মন্ত্রীর পাঁখা -
বাচালের পাখা হয় দেশ জালানের জন্য, অনেকটা সাহারা আপার মত, এবং হাসিনা ভগিনির মত। সাহারা আপা কালকে বলেছেন। ঈদে বাড়ি গেলে সবার দরজা নিজ দায়ীত্বে তালা মের যেতে। ধরুন দেশে কোন বড় ক্রাইম হয়েছে, সাথে সাথে সাহারা আপা বলবেন " দেশের আইন শৃঙ্খলা ভাল" এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
উনার ধারণ া দেশে এত সব বেডরুম হত্যাকান্ড এবং ডাকাতি হচ্ছে আসলে দরজা খুলে রাখার কারণে। এটার জন্য গৃহস্বামী দায়ী। তাহলে ত দরজা বন্ধ রাখলেই হয়, খামখা সরকারকে দুষে লাভ কি ? কথা সত্য।
আরো কিছু সত্য কথা নিচে দেয়া হল-
---- কারু ব্যাডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়- ন্যাশনাল সিসটার।
---- আগের চেয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল- সাহারা মরু।
---- সরকারি দল একাই সব লোটেপুটে খাচ্ছে, দেশে যে আরো মানুষ এবং রাজ নৈতিক দল আছে সে দিকে খেয়াল কেন। - হান্নাস হাস, মহা সচিব বি, এন, পি,।
---- ছাত্র দল আগে কি করত?-- সাহারা মরু
---- নিউটাল গিয়ারে যমন গাড়ি চলেনা, তেমন দেশ ও চলেনা। -- প্রশাসন দলীয়করণ প্রসঙ্গে, - সৈয়দ মুদাসছের আলি।
---- দেশে ৮ হাজার ভিলিয়ন টাকার সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ব আছে।
নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা প্রসঙ্গে, - ন্যাশনাল আপা।
---- আমি কথা কইলে নাকি জিনিসের দাম বাড়ে, থাক আমি আর কথা বলনা, দেখি জিনিসের দাম কমেকিনা। -- ফারুক খান।
---- আবুল একজন সত্যকারের দেশ প্রেমিক- নুনের বিনিময়ে এই গুনটি আবুরপেতেই পাড়ে তাই এই গুনটি গাইলেন প্রধান মন্ত্রি।
ইত্যাদি ইত্যাদি।
*চাঁদা বাজের পাঁখা-
এটি বাংলাদেশের সর্বশেষ পাখা, যেটা গজায় বাচিবার তরে মরিবারতনেনা। কারণ তারা যানে সরকার একদিন না একদিন তাদের দিকে ফিরে থাকাবে। অবস্যয় ২০টাকা করে লাইন চাঁদা বৈধ করে দেব। ঈদের আগে বেনাপুল বন্দরে এবং পর্যায় ক্রমে দেশে বাকি ১৩ টি বন্দরে।
বাংগালির পাঁখা-
এইটা এক ভয়াকন পাখা, এই পাখার স্থিরতা নেই, অনেকটা টুনির পাখার মত।
এটি গজায় ১৮ বছর হলে, তার পর আর রক্ষে নাই। হয় সে কোন পরিবারের গোলামি বেছে নিবে না হয় এই ডাল থেকে সে ডালে থাকবে তার অবাদ বিচরণ। তার কিছু মৌসুম আছে, ভোটের মৌসুম। তখন পাখায় হা্ওয়া লাগে আমাদের। মনের আনন্দে উড়েবেড়াই আমরা ফুলের বাগান থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত, আবার পবিত্র উদ্দন থেকে ডাস্টবিন পর্যন্ত।
কথায় আছে পিপিলিকার পাঁখা হয় মরিবার তরে-
কিন্তু আমাদের এত পাখা কেন হয়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।