আমি বাঙালি,বাঙলাকে ভালেঅবাসি অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি আসল লিবিয়ার জনগণের জীবনে। আধুনিক লিবিয়ার ইতহাসে প্রথমবারের মত ক্ষমতা গ্রহণ করল নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এর আগে লিবিয়ার ইতিহাস মূলত স্বৈরশাসক আর একনায়কদের শাসনের ইতিহাস। গতকাল বুধবার শেষ রাতে রাজধানী ত্রিপোলিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে।
জেষ্ঠ্য পার্লামেন্ট সদস্য মোহাম্মদ আলি সেলিমের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এনটিসির নেতা মুস্তফা আব্দুল জলিল।
গাদ্দাফির পতনের পর এক বছর ক্ষমতায় ছিল এনটিস। ক্ষমতা হস্তান্তরের ফলে এখন থেকে অকার্যকর হয়ে যাবে এনটিসির কার্যক্রম।
লিবিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ক্ষমতা গ্রহণ করল।
২০০ সদস্য বিশিষ্ট নতুন পার্লামেন্ট জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও সংবিধান রচনা করার সময় পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে।
গত ৭ জুলাই এই পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাজনৈতিক দলের জন্য নির্ধারিত ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি পায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিবরিল সমর্থিত ন্যাশনাল ফোর্স অ্যালায়েন্স।
ক্ষমতা হস্তান্তর সভায় এনটিসি প্রধান মোস্তফা আব্দুল জলির তার বক্তব্যে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সময়ে লিবিয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে এনটিসি ব্যর্থ হয়েছে তা স্বীকার করছি। তবে এটাও ঠিক যে, সে সময়টা ভিন্ন রকম ছিল’
অনুষ্ঠান যখন চলছিল, তখন গাদ্দাফি পতনের সময়ে নিহতদের স্মরণে ত্রিপোলির ‘শহীদ স্কয়ারে’ মোমবাতি জ্বালিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে সাধারণ জনতা।
১৯৬৯ সাথে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন লিবিয়ার সেনাবাহিনীর ২৬ বছর বয়সী এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কর্নেল গাদ্দাফি। ৪০ বছর শাসনের পর গত বছর বিরোধীদের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পতন ঘটে গাদ্দাফি যুগের।
তবে এখনো পুরোপুরি সংকট কাঠেনি লিবিয়ার। লিবিয়ার বিভিন্ন এলাকায় এখো সক্রিয় রয়েছে গাদ্দাফি সমর্থকরা। মাঝে মাঝে তাদের সাথে সংঘর্ষ হয় এনটিসির বাহিনীর সাথে।
যাই হোক শুভকামনা রইল দেশটির আর দেশটির জনগণের জন্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।