যদি সব সাগরের জল কালি হতো,
আর পৃথিবীর সব গাছ লেখনী হতো। ,
আর কেয়ামত পর্যন্ত লিখে যেতাম
তবু বাংলাদেশী চোরদের চুরির খতিয়ান লেখা শেষ হতো না,
যদি সব সাগরের জল।
চুরি ডাকাতির কর্মকান্ড লিখতে গেলে লিখে শেষ হবে না। মানুষ জন্মের আগে তার শরীরে রক্তের প্রবাহ হয়। আর বাংলাদেশের জন্মের আগ থেকে তার শরীরে চুরি রক্ত ঢুকে গেছে।
বলা যায় বাংলাদেশ চোরের নার্ভ নিয়ে জন্মেছে। ১৯৭১ সাল দেশ মাটি জীবনের যুদ্ধ। তার মাঝে দেশ নেতারা যে যেভাবে পেরেছে ব্যাংক লুট করে হোক আর অন্যেরটা লুট করে হোক চুরি চামারী করে কেউবা নিজেরটা নিয়ে ভারত পারি দিয়েছ। ভারত গিয়ে কেউ জীবন বাচিয়েছে। কেউ যুদ্ধ করেছে।
কেউ বাইজি নিয়ে মালের বোতলে ডুবেছে।
জন্ম হলে বাংলাদেশ। আসলেন বাগ্মী নেতা। সত্য স্বীকার করলেন যে অন্য দেশ পায় তেলের খনি সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি। আরো স্বীকার করলেন সাত কোটি মানুষের জন্য দশ কোটি কম্বল।
আমার কম্বল গেলো কই। তার কম্বল টিও নাকি চুরি হয়ে গেছিল। কিন্তু বুঝতে পারেনি পরেতো তার গায়ে কম্বল দেখা যায় ছবিতে ওটা কোন কম্বল। চোরাই মাল নাতো। নাকি তিনিও--------।
যা হোক। স্বীকৃত মতে তার দল চোর চোট্টায় ভরা। চুরির মাত্রা এমন ছিল যে দেশে দূভিক্ষ হয়েছে। লবন চোরা আমু। যা হোক।
তার পর দেশে নানা ঘটনা কেউ ঘুপচি মারে। চুরি করে কিন্তু দেখা যায় না। চুরি চামারী কম বেশী হয়েছে। মাগার চুরির সকল রের্কড ভঙ্গ করে প্রকাশ্য চুরি করে প্যান্ট খুলে গেলো কালো বিড়ালের। তারপর দেখাগেলো চোরার আবার উচু গলা।
দেশের ধরা পরা প্রকাশ্য প্রথম চোর। আজ দেখলাম ছাগল চুরি করেছে ছাত্রলীগ।
এটা কোন নতুন ঘটনা নয় চুরির ক্রম বির্বতন। এরা শিশুলীগ থাকতে করবে মার্বেল খেলনা খাবার সহ ছোটখাটো চুরি, কিশোর লীগ হয়ে করবে বাপ ভাইয়ের পকেট চুরি, ছাত্রলীগ হয়ে করবে ছাগল যুবলীগ মুরগী চুরী, ছাগল চুরি ক্যান্টিনের খাবার চুরি টেন্ডার নিয়ে করবে রাস্তার ইট বালু সুরকী চুরি, মসজিদে গেলে করবে জুতা স্যান্ডেল চুরি, কবর খুড়ে করবে কঙ্কাল চুরি, চেয়ারম্যান মেম্বার হয়ে করবে চাউল গম চুরি, পুলিশ হয়ে করবে বাস ট্রাক হেলপারদের কাছথেকে তোলা উঠিয়ে নগদ ক্যাশ চুরি করবে, সচিব, এমপি, মন্ত্রী হয়ে করবে শেয়ার বাজারে চুরি, চাকুরীর বাজার দখল করে চুরি করবে , ব্যাংক ডাকাতি সহ পদ্মা সেতু চুরি টেন্ডারে চুরি, দেশ চালাবে তাও জনগনের ভাগ্যচুরি করে।
সেই ১৯৭১ সাল থেকে চুরি শুরু হয়েছে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে তবু চুরি শেষ হবে না।
মজলুম নেতা ভাষানীকে নাকি মুজিব ফোন করে বলেছিল, আমার ডানে চোর বায়ে চোর সামনে চোর পিছনে চোর। ভাষানী বলেছিল আরে মুজিব আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখ যেটা দেখা যায় সেটাও চোর। তবে গিনেস বুকে নাম ওঠাতো সময়ের ব্যাপার মাত্র। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চোরদের মহা সংগঠন লীগ।
সব কিছুতে চুরি বালু কনা থেকে চট্রগ্রামের পাহাড় চুরি।
পুকুর চুরি তো পুরনো কথা। পানির কনা থেকে সমুদ্র বিজয় নামক ধাপ্পাবাজীর চুরি। বড় বড় চুরি ছোট ছোট চুরি। ঘটি বাটি লোটা চুরি, ঝাটা চুরি খোসা চুরি, বাথরুমের বদনা চুরি, প্রতিষ্ঠানের নাম চুরি(জাতিয় আব্বার নামে)। সবকিছুতে চুরি চুরি, চুরির নেত্রী ডাইনী বুড়ি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।