মানুষের চলার একটা লক্ষ্য থাকে। রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতা অর্জন, খেলার লক্ষ্য বিজয় অর্জন, পরীক্ষার লক্ষ্য পাস করা। লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সবাই চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খেলার মাঠে কোনো খেলোয়াড় অসদাচরণ করলে তাকে ফাউল বলা হয়। এর জন্য শাস্তির বিধান আছে।
পরীক্ষার হলে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলে শাস্তি পেতে হয় এমনকি পরীক্ষা থেকে বহিষ্কারও করা হয়। ব্যবসার উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন। কিন্তু সেই মুনাফা ব্যবসায়ের নৈতিকতাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। কিন্তু একটি বিষয়ে কোনো আইন নেই, সেটি হলো রাজনীতি। রাজনীতিতে নৈতিকতা নেই, মিথ্যাচার আর কথার ফুলঝুড়ি দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করাই বড় কৃতিত্ব।
রাজনীতিতে অপরাধের শাস্তি নেই। বোমাবাজি, হত্যা গুম এগুলো রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার নামে প্রত্যাহার হয়ে যায়।
রাজনীতিতে কথার কোনো দাম নেই। কারণ রাজনীতিকরই বলেন এখানে কোনো শেষ কথা নেই।
রাজনীতি মানেই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়।
আমল যারই হোক সরকারের চরিত্র বদলায় না।
তাহলে আমরা যাচ্ছি কোথায়? কোনো গন্তব্য আছে আমাদের? জনগণও বলিহারি। এরাই মাটিতে দাগ কেটে নিজেরা পক্ষ তৈরি করে। আর এক্ষেত্রে সবাই চোখ থাকিতেও অন্ধ। পরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেরা পবিত্র বলে প্রমাণের চেষ্টা করি।
কিন্তু আত্মসমালোচনার বিন্দুমাত্র ধারা নেই নিজেদের মধ্যে।
অল্প বয়সে দেখেছি যারা রাজনীতি করেন তারা কতটা রোল মডেল। রাজনীতিকদের মানুষ শ্রদ্ধা করতো, ভালবাসতো। খুলনায় দেখেছি একজন নেতার জন্য বৃদ্ধ মহিলা রান্না করে নিয়ে আসতেন তার বাড়ী থেকে। পাবনায় দেখেছি, রাজনৈতিক কর্মীদের ডেকে বিনে পয়সায় চা খাওয়াতেন চায়ের দোকানদার।
আর এখন?
রাজনীতিকদের মানুষ সম্মান করে না, কিন্তু ভয় পায়। ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাজনীতিকদের নির্যাতন সহ্য করতে হয়। ফুলের মতো পবিত্র রাজনিতিকদের ব্যাভিচার দেখেও না দেখার ভান করে। আবার তাদের সাথেই পুলিশের সখ্যতা (একসময় রাজনীতিকরা পুলিশকে সচেতনভাবে এড়িয়ে চলতো)।
এই রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন আর সম্ভব নয় কারণ এর মধ্যে পলিটিক্স ঢুকে গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।