ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ম । আমাদের ধর্মের প্রতি যেমন আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনি বিধর্মীদের কাছেও এই ধর্মটির মুলমন্ত্রটিকে যথেস্থ স্রদ্ধার এবং জনপ্রিয়তার সাথে দেখা হয় ,সেই কারনেই এই ধর্মের অনুসারির সংখ্যা বেরেই চলেছে ।
আজ যেই বিষয়টি আলোকপাত করতে চাচ্ছি সেটি হল একটি বিশেষ ষড়যন্ত্র এবং সাম্প্রদায়িকতা যা ইসলামের বিরুদ্ধে করা হয়ে থাকে ।
পর্দা,
এটি ইসলামি নারীর পরিচয় । দাড়ি , টুপি যেমন পুরুষের ভূষণ তেমনি পর্দা মানে বোরকা হল নারীর ভূষণ ।
এটিকে ইসলামে করা হয়েছে সম্মানিত ।
এই পর্দাকে যে শুধু ইসলাম ধর্মই সম্মানিত করেছে তা না এই পরদার প্রচলন দেখা যায় খ্রিস্টান পাদ্রি এবং জিওয়িশদের ভিতরেও । ( ছবিটি পর্যবেক্ষণ করুন )
কিন্তু প্রশ্ন হল এই পর্দা যখন কোন মুসলিম পরিধান করে তখন কিন্তু সেটা হয়ে উঠে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গিবাদের চিহ্ন অথচ এদের সাথে পরদার সম্পর্ক কথায় আমি জানি না । যদি তাইই হয় তাহলে অন্য ধর্মের ক্ষেত্রেও তাই হওয়া উচিৎ । একজন খ্রিস্টান বা জিওয়িশকেও দেখলেও তাদেরকে আমাদের বলা উচিৎ সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি ।
কিন্তু আমরা কি দেখতে পাই যখন তারা এটি পরিধান করে তখন কিন্তু এটা আধুনিকতা এবং সম্মানের প্রতিক হয়ে উঠে আর যখন মুসলিম পরিধান করে তখন তাদের অনুভুতিকে আঘাত করার জন্য বলা হয় সন্ত্রাসী এবং জঙ্গি । তাই নয় কি ?
এটি মুলত পশ্চিমাদের একটি সাম্প্রদায়িকতা । তাদের মুল লক্ষ্য হল এই ধর্মের উপর আঘাত হানা এবং ইসলামকে গ্রহ থেকে বিতারিত করা ঠিক যেমনটা দেখা যায় মুসলিম কট্টরপন্থীদের অন্য ধর্মের প্রতি ।
আসলে এই সব প্রচার যারা চালায় তারা সব ধরমেই আছেন । এদের কাজ হল এসব ঘটনার জন্ম দিয়ে এক রকম উদ্দেশ্য হাসিল ।
মুলত কোন ধর্মই আমার বিশ্বাস এরুপ অন্য ধর্মের উপর হিংস্রতার অনুমতি দেয় না তার পরও আমরা এসব দেখি বিভিন্ন ধর্মে ।
তাহলে কি ওই সব ব্যাক্তিকে ধার্মিক বলা যায় এখন সে যেই ধর্মেরই হোক না কেন ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।